পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রাজরোষ ۹سو!رات দেখিয়া দূত কহিলেন, “বিবাহে আপনার সম্মতি জানিয়া মগধরাজ আনন্দিত হইবেন । শুভ দিন স্থির হইলে যথোচিত সমাদরের সহিত আপনাকে রাজধানীতে লইয়। যাইবেন।” ক্রোধে বিরূপাক্ষের সর্বাঙ্গ জলিয়া যাইতেছিল। কিন্তু ওঝার সম্মুখে সর্প ফণা তুলিয়া কি করিবে ? প্রকাশ্বে রাজা কহিলেন, “কিছু দিন পরে হইলে ক্ষতি কি ? ব্যস্ত হইবার কি প্রয়োজন ? "সে কি কথা মহারাজ ! শুভ কৰ্ম্মে কি বিলম্ব করিতে আছে ? আপনি লজ্জার অঙ্গুরোধে এমন কথা বলিতেছেন ।” স্থির অথচ সতর্ক পুরোহিত পাশে দাড়াইয়াছিলেন। কহিলেন, 'মগধরাজ যেরূপ আদেশ করিবেন তাহাই হইবে ।’ রাজ। একবার পুরোহিতের দিকে আর একবার দূতের দিকে চাহিয়া বাকুশূন্ত হইয়া রহিলেন । দূত অহচরদিগের সঙ্গে চলিয়া গেলেন । তখন রাজা মনোভাব গোপন করিবার চেষ্টা না করিয়া সক্রোধে পুরোহিতকে কহিলেন, "এ সমস্ত আপনাদের ষড়যন্ত্র !" পুরোহিত কহিলেন, 'ষড়যন্ত্র ত অসৎ কৰ্ম্মের জন্ত করে । সৰংশে বিবাহের ব্যবস্থা করা কি অসৎ কৰ্ম্ম ? “বিবাহ করা না করা, যে কোন সময় করা আমার ইচ্ছ। এ বিবাহ আমি করিব না।’ ‘মহারাজের ইচ্ছা ; প্রতিশ্রত হইয় প্রত্যাখ্যান করিলে মগধরাজ কারণ জানিতে চাহিবেন ।” “আমাকে আপনি শাসাইতেছেন ? ‘আমি দরিদ্র ব্রাহ্মণ, আমার সাধ্য কি, মহারাজ ! কিন্তু মগধরাজ রাজাম্নে প্রতিপালিত পুরোহিত নহেন, এ কথা আপনি কেমন করিয়া বিশ্বত হইবেন ? রাজা ক্রুদ্ধ হইয়া প্রাসাদ হইতে নিম্ফাস্ত হইয়া পদব্ৰজে নগরে চঙ্গিলেন। তিনি এক যাইতেছেন দেখিয়া দুইজন ভল্পধারী রাজসৈনিক তাহার অমবর্তী ट्झेल । উদয়ন প্রভাত-কালে উঠিয়া নিজের গৃহে আসিয়াছেন, রাত্রে কোন বন্ধুর গৃহে শয়ন করিয়াছিলেন। এখন ষে ব্যক্তির সহিত কৰ্ম্ম করিবার কথা তাহার গৃহে গমন করিতেছিলেন। পথে রাজার সহিত দেখা ! উদয়ন পথ ছাড়িয়া দিয়া বিনীতভাবে অভিবাদন করিলেন । যে ক্রোধানল রাজার হৃদয়ে এতক্ষণ ভস্মাচ্ছাদিত ছিল উদয়নকে দেখিবা মাত্রই তাহ হবিযুক্ত হুতাশনের স্তায় প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিল। গর্জন করিয়া সৈনিকদ্বয়কে কহিলেন, ‘এই ব্যক্তিকে বন্দী কর ।” সৈনিক দুইজন এমন চমকিয়া উঠিল যে, তাহাদের ভল্ল হস্ত হইতে পড়িতে পড়িতে রহিল। সংযত হইয়া একজন কহিল, “কাহাকে, মহারাজ }' প্রশ্নের কারণ ছিল। পথ সঙ্কীর্ণ, লোকের গমনগমন ত ছিলই, আবার রাজার সিংহনাদ শুনিয়া পথিক চমকিত হইয়৷ দাড়াইল । দুই চারি জন উদয়নের পাশেই দাড়াইল । রাজা অঙ্গুলি দিয়া উদয়নকে নির্দেশ করিয়া দিলেন। সৈনিকের তখনও বুঝিতে পারে না। পথ চলিতে যাহাকে-তাহাকে বন্দী কর। কি রকম বিচার । উদয়ন চোর-দস্থ্য নহেন, সস্ত্রান্ত বংশের সস্তান, রাজার জ্ঞাতি, কোথাও কিছু নাই, পথের মধ্যে র্তাহাকে বন্দী । রাজার মস্তিষ্কের বিকার হয় নাই ত ! হয়ত রাত্রে প্রমোদের অধিক বাড়াবাড়ি হইয় থাকিবে । নাগরিকগণও বিস্মিত হইয়। দেখিতে লাগিল। রাজার চরিত্র সকলেই জানিত, প্রজার শ্রদ্ধা দিন দিন হ্রাস হইয়া আসিতেছিল । একজন সৈনিক সাহস করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি অপরাধে, মহারাজ ?? রাজা চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “তোমরা আদেশ পালন করিবে, প্রশ্ন করিবার কে ?” সৈনিক স্তব্ধ হইল। একজন পথিক কহিল, "আমরা জিজ্ঞাসা করিতে পারি, কি অপরাধে এই ব্যক্তিকে বন্দী করিতেছেন ? তাহা হইলে তুমিও বন্দী হইবে।” পশ্চাৎ হইতে এক ব্যক্তি কহিল, "এমন রাজা না হইলে এমন বিচার করে কে ? নগরক্ষদ্ধ লোককে বন্দী कब्रिएलहें उ छ्छ !'