পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ভাগ্যচক্র ప్రిఫిళి বলিল, “তুই লক্ষ্মীছাড়া এখানে কি ক’রে এলি রে ? আমি ত ভাব ছি যে, মাসখানেক হ’ল তুই দূর হয়েছিল।” অতুল ভিতরে ঢুকিয়া রুমাল দিয়া মুখ ও ঘাড় মুছিতে মুছিতে বলিল, “দুর ত হয়েইছিলাম, কিন্তু কাল আবার সেখান থেকেও দূর হয়ে এসেছি। ঢের মাতৃপিতৃস্নেহ উপভোগ করা গিয়েছে বাবা। হাড় জালিয়ে তুলেছিল। না ব’লে ক’য়ে, সোজা লম্ব দিয়েছি।” গিরীশ বলিল, “বেশ আছিস্ ছোড়া। এদিকে যে বুড়ে মা বাবা ভেবে মরূবে ?”

  • আরে, একট। চিঠি লিখে রেখে এসেছি, বিশেষ কিছু ভাববার নেই। একটু চট বে এই যা।” বলিয়। অতুল সিড়ির দিকে অগ্রসর হইল।

গিরীশ তাহার সঙ্গে চলিতে চলিতে বলিল, “কিন্তু ব্যাপারখানা কি খুলে বল ত ? বাড়ী যাবার জন্যে ত হেদিয়ে মরছিলি । তার পর হঠাৎ এসব কি ?” অতুল বলিল, “বিয়ে হে বিয়ে। তারা আমার জন্যে এক ক’নে ঠিক করেছেন। খুব নাকি যোগ্য পত্রিী, অবন্ত তাদের মতে । কিন্তু টাকার জন্তে আর সব বিসর্জন নিতে আমি অন্ততঃ রাজী নাই। তাও যদি টাকাট আমার হাতে আস্ত ত কথা ছিল। যাবেত বুড়ে বাপের পকেটে । কিন্তু সে যাক। আসল কথা হচ্ছে যে, আমার আর একটি মেয়েকে ভারি পছন । কিন্তু কৰ্ত্তগিল্লির মোটেই মত নেই। বক্‌বকানি শুনে যখন দুই কান ভৰ্ত্তি হ’য়ে উঠল, তখন সোজাসুজি স’রে পড়লাম।” সিড়ি পার হইয়। দুইবন্ধুতে গিরীশের ঘরে আসিয়া পেীছল। গিরীশ বলিল, “পাচ মিনিট সবুর কর । চাকর হতভাগ কোথায় ষে গিয়েছে ঠিকান নেই, ষ্টোভট। আমিই ধরিয়ে ফেলছি। এক টিন বিস্কিট ছিল সেট। গেল কোথায় ?” অতুল ধপ, করিয়া গিরীশের বিছানায় বসিয়া পড়িয়, ভাঙ্গ। তালপাতার পাথায় হাওয়া খাইতে আরম্ভ করিল। বলিল, “ধুত্তোর, রাখ এখন তোর আতিথ্য। গরমে গ'লে যাবার জোগাড় হলাম, এখন আমার চায়ের দরকার নেই। চাকর আস্থঙ্ক, তারপর বরফ লেম্বনেড জানিয়ে খাওয়া যাৰে । এখন ৰোস্ দেখি, একটু কথা বলতে দে।” متسلسنوسيا গিরীশ তাছার পাশে বসিয়া বলিল, “কি বলবি বল্‌ ৷” অতুল বলিল, “দেখ, তুই ত এক মন্ত কবি মানুষ। রোমান্সে তোর মাথার থেকে পায়ের কড়ে আঙ্গুল অবধি ঠাস। আমার একটু কাজ ক’রে দে না ? এ বেশ তোর লাইনেই হবে।” গিরীশ বলিল, “কি করতে হবে শুনি ? তুমি বাছা যদি ভেবে থাক, যে, খুব ওজস্বিনী ভাষায় বক্তৃত ক’রে, আমি তোমার মা বাবার মত বদলে দেব, আর তার টাকা-কড়ির সব ভাবনা ভুলে তোমায় যত খুসি কবিত্ব করতে দেবেন, তা হ’লে তোমার একটু ভুল হয়েছে। বক্তৃত করাটা আমার লাইন মোটেই নয়। বরং বিয়ের কবিতা-টবিত লিখতে হয় ত বল ।” অতুল পাথার বাড়ী তাহার মাথায় এক ঘা দিয়া বলিল, “যে আজ্ঞে, কবিতার অর্ডার দেবার জন্ধেই আমি এতদূর ছুটে এসেছি আর কি ? বাজে ইয়ার্কি না মেরে, এখন কথাটা শোন। আমার পিতাঠাকুর ধে ক’নেটি ঠিক করেছেন, সেটি দেখতে নাকি সাক্ষাৎ রক্ষাকালী । কিন্তু মেয়ের বাপ আমার বাবার ছেলেবেলাকার বন্ধু, আদ্যিকালে এক ক্লাশে পড়েওছিলেন বুঝি। তাছাড়া বুড়োর টাকাকড়ি বেশ কিছু আছে ব’লে শোনা যায়। আমার বাবার আশ। যে, মেয়েই টাকাকড়ি সব পাবে, কিন্তু সে গুড়ে বালি হে! আমি তলে তলে সব সঠিক খবর পেয়েছি। বিয়ের সময় গহনাগুটি, টাকাকড়ি কিছু পাবে অবশু, কিন্তু ঐ পর্ঘ্যশুই । মেয়ের ম মরেছে অনেক কাল, বাপ বুড়ে আবার বিশ্বের চেষ্টায় আছে, মেয়ের বিয়ে অবধি অপেক্ষ। তবে গ্ৰন্থ দেখি, শুধু শুধু এক কাল-পেচা ঘাড়ে করবার আমার fo দরকার ?” গিরীশ নারীজাতির মহা ভক্ত। এমন অবজ্ঞার স্বরের কথা শুনিয়া সে অতুলের উপর মহা চটিয়া গেল। বলিল, “তুমি নিজেও ত আর ময়ূরবাহন কাৰ্বিকটি নও ? অষ্ঠের রূপের বেলা বড় যে কড়াকড়ি দেখছি ?” অতুল বলিল, “আমি কাৰ্ত্তিক ৰি হকুমান সে কথা ; হচ্ছে না। আমি যেমন আছি, আছি। কাউকে ক্ষ