পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wసి 8 প্রবাসী--ভাদ্র, Nరిలి8 [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমি জোর করে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করছি না ?” গিরীশ জিজ্ঞাসা করিল, “মেয়েটিকে নিজে দেখেছ ?” তাহার কবিত্ব-প্রবণ মন এরই মধ্যে একটি অবজ্ঞাত, অনাদৃত, কালে মেয়েকে ঘিরিয়া উপন্যাস রচনা করিতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছিল। করুণায় তাহার মন বেশ খানিকটা ভিজিয়া উঠিয়াছিল। অতুল বলিল, “আমি দেখিনি হে, তবে আমার এক ফ্রেও দেখেছে। সেই-ই ত সব খবর আমায় এনে দিল ।” গিরীশ বলিল, “তা বেশ। কিন্তু আমায় যে কি করতে হবে, সেইটাই মাঝখান থেকে শোনা হ’ল না।” তাহার বন্ধু বলিল, “সেসব এখনও ঠিক করিনি ভেবে। মোট কথা, তুই চলু আমার সঙ্গে, তারপর একটা প্ল্যানূ জুটেই যাবে। তোর মাথায় ত নানারকম বুদ্ধি খেলে, একটা কিছু কি আর ভেবে ঠিক করতে পার্বি मी ? গিরীশ বলিল, “বেশ, আমি যাচ্ছি চল । আমার ত গরমে আর বিরক্তিতে হাড় ভাজা হ’য়ে এল। কিন্তু ট্যাক আমার খালি, তা বলে রাখছি বাবা। রেলওয়ে কোম্পানী ত আমার খণ্ডর নয় যে মুখ দেখেই যেতে দেবে ?” অতুল বলিল, “নে নে আর রসিকতা করতে হবে না। চারটে টাকার জন্তে সব অচল হ’য়ে যাবে আর কি ? কাল সন্ধ্যায় ট্রেন, বুঝলি ? ঠিক সাড়ে ছটায়। এখান থেকে তোকে নিয়ে যাব, ন তুই সোজা ষ্টেশনেই দাবি ?”

  • আমি সোজা ষ্টেশনেই যাব এখন, তোকে আর এভদূর আসতে হবে না,” বলিয়া গিরীশ বন্ধুকে বিদায় . করিয়া দিল । সে যাইবামাত্র নিজের মাথায় একট। চড় মারিয়ু বলিয়া উঠিল, “যা ছোড়াকে বরফ লেমনেড দিতে ভুলেই গেলাম। যাক, বিয়ের চিন্তায় এখন এত ভরপুর হয়ে আছে, যে, ও সব গ্রাহের মধ্যেই আনৃত্ত্বে

” পরদিন সন্ধ্যায় গাড়ী ডাকিয়া, পোটুলা পুট লি সমেত তাহাতে চড়িয়া গিরীশ যেন হাফ ছাড়িয়া বাচিল । অতুলের বাড়ী যে গ্রামে, সেটি বিশেষ বড় নয়, কিন্তু দেখিতে বেশ ছবিধানির মত। ট্রেন হইতে তাহার শোভা দেথিয়াই ত গিরীশ মজিয়া গেল। বন্ধুকে বলিল, “এমন জায়গায় লোকে স্বর্থী না হ’য়ে যায় না । কি চমৎকার দৃপ্ত দেখ ত ! চোথ যেন জুড়িয়ে যায়।” অতুলের তখন কবিত্ব করিবার অবকাশ মোটেই ছিল না। সে তখন টাকা আনা পাইয়ের হিসাবে ব্যস্ত । গিরীশের কথার উত্তরে সে অতি সংক্ষেপে বলিল, “দৃখতে পেট ভরে না হে ।” অতুলের বাবা মা গিরীশকে সাদরেই অভ্যর্থনা করিয়া লইলেন । কিন্তু তাহার আকস্মিক আবির্ভাবে তাহার যে বেশ খানিকট অবাক হইয়াছেন, তাহা তাহাদের ধরণ-ধারণে বোঝাই গেল। অতুল কিন্তু বাচিয়া গেল। পরের ছেলের সামনে ঘরের ছেলেকে গালাগালি করা চলেন, কাজেই তাহার মা বাধা মনের রাগ মনেই রাখিয়৷ দিলেন। খাওয়া দাওয়া সারিয়া দুই বন্ধুতে গিয়া অতুলের ঘরে লম্বা হইয়া শুইয়া পড়িল। অতুলের একটি ছোট বোন আসিয়া তাহদের জন্ত পান রাখিয়া গেল । এখন তাহাদের বুহেভেদ করিবার উপায় ঠিক করার পালা। কিন্তু গিরীশ চট করিয়া কিছুই ভাবিয়া পাইল না । অতুল অভ্যস্ত আশান্বিত ভাবে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া আছে দেখিয়া সে বলিল, “কিছু প্ল্যান করবার আগে আমার ত সব কথা ভাল ক’রে জানা দরকার ?” অতুল বলিল, “তোমার জানতে বাকি আছে কি ?” গিরীশ জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা, এটা ত ঠিক যে তুই সে মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে কবি না ? এবং আর একটি মেয়েকে বিয়ে করতে তুই একেবারে জীবন পণ ক’রে বসেছিস এটাও ঠিক ত?” অতুল একটু ইন্ডস্তুত করি। বলিল, “হ্যা, তা এক ब्रकभ ठेिकई ।” গিরীশ বলিল, “তা হ’লে তুই তোর বাবার কাছে সব কথা খুলে বল না । তিনি যদি জানেন যে, তুই অন্ত