পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ভাগ্যচক্র \ఫి(t একটি মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করতে চাচ্ছিস, তাহলে কি আর তিনি তোকে এই মেয়েকে বিয়ে করবার জন্তে জোর করবেন ?” অতুল মুখটা অত্যন্ত বাক৷ করিয়া বলিল, “আহ, কিযে প্ল্যানই বের করলে! আমার বাবাকে তুমি কি একটি রোমান্সভক্ত নব্য ছোকরা ঠিক করেছ? তার কাছে গিয়ে এই সব কথা বললে, তিনি খড়মের এক বাড়ীতে আমার পিলে না ফাটিয়ে দেন ত ঢের। তারা হচ্ছেন সব মান্ধাতার আমলের মানুষ, বিয়ে-টিয়ের ব্যাপারে স্বাধীনতার পক্ষপাতী মোটেই নন। স্ত্রী শুধু স্বামীর পত্নী নয়, সে পরিবারের বউ, সুতরাং সমস্ত পরিবার মিলে তাকে নিৰ্ব্বাচন করবে, এই হচ্ছে তাদের আইডিয়া ।” গিরীশ বলিল, “তা বেশ ত। কিন্তু তুইও ত সে পরিবারের একজন ? তোরই বা কোন কথা খাটবে না কেন ? যাই বল, তোকেই ত স্ত্রী নিয়ে ঘর করতে হবে ?” অতুল বলিল, “নিজের বিয়ের কথায় কথা বলতে যাওয়া নাকি ভয়ানক বেহায়ামী।” গিরীশ বলিল, “তবে কি ঘোড়ার ডিম আমাকে দিয়ে করাতে চাস, তাই বল না।” অতুল বলিল, “বাবা বলছেন, তিনি তার বন্ধুকে কথা দিয়ে রেখেছেন ব'লে সে ভদ্রলোক মেয়ের জন্যে আর অস্থা পাত্র খোজেননি। এখন আমি যদি বিয়ে না করি তাহ’লে বাবার মাথা অত্যন্ত হেঁট হ’য়ে যাবে। তবে আমি যদি মেয়েটির জন্যে অন্য উপযুক্ত পাত্র ঠিক ক’রে দিতে পারি, তাহ’লে তিনি আর আমাকে বিয়ের জন্তে জোর করবেন না, একথাও তিনি বলেছেন। মেয়ের বাপের টাকাকড়ির থ্যাতি আছে, কাজেই বর পাওয়া বাংলা দেশে বেশী শক্ত হওয়া উচিত নয়।” গিরীশ খাট ছাড়িয়া গাফাইয়া উঠিল। বলিল, “তুই এই মতলবে আমাকে এখানে নিয়ে এলি নাকি ?” অতুল বলিল, “তাই যদি হয় ত ক্ষতি কি ? তুই না বলিস যে, সব ভদ্র বাঙালী ছেলেরই এখন পূৰ্ব্ব পুরুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত-স্বরূপ কালো আর গরীব মেয়ে বিয়ে করা উচিত ? এত তবু শুধু কালে, গরীব নয়। তুই সব দিক দিয়েই ঠকৃবি না।” গিরীশ ভাবিয়া দেখিল সে এই রকম কথা বলিয়াছে বটে। কিন্তু তখনও সে ললিতাকে দেখে নাই। এখন তাহার পক্ষে অন্য মেয়ে বিত্ত্বাহ করা অসম্ভব । ললিত হয়ত হিমালয়ে বসিয়া তপস্বিনী গৌরীর মত তাহারই ধান করিতেছে । আর সে কি নী টাকার লোভে অন্য মেয়ে বিবাহ করিতে যাইবে ? এমন মহা পাপ সে কখনও করিতে পারিবে না। অতুলের কথার উত্তরে সে বলিল, “সে তথন যা বলেছি, বলেছি। আমার মত এখন বদলে গেছে ।” অতুল অবজ্ঞাভরে বলিল, “জানাই ছিল। বক্তিমে করা এক, আর কাজে করা এক। কিন্তু তোর সঙ্গে ত - ঢের ঢের ছেলের আলাপ আছে ; তার মধ্যে এমন একটাও কি খুঁজে বার করতে পারবি না যে রূপের বদলে । রূপে নিয়েই খুসি থাকবে ?” গিরীশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়। বলিল, “ভা পারব না কেন ? কিন্তু সে ত আর এখানে ব’সে হবে না। আমায় তাহলে কলকাতায় ফিরতে হয়। টাকার লোভে বিয়ে করবে, এমন ছেলের অভাব কি ? বেশীর ভাগ বাঙালীর ছেলেই তা করতে রাঙ্গী হবে।” অতুল বলিল, “মেয়ে যে দেখতে একান্ত কুৎসিৎ, তা তাদের নাই বা বললি। মাঝারী গোছের বললেই চলবে। টাকার কথাটা খুব ফলিয়ে বলিস।” গিরীশ বলিল, “আচ্ছ, কালকের ট্রেনেই তা হ’লে ফেরা যাবে।” অতুল বলিল,“বাপ রে, তাড়া দেখ। রীতিমত ভড়কে গিয়েছিস্ দেখছি। এখন কলকাতায় গিয়ে কাকে পাবি ? সব ত যে যার বাড়ী চলে গেছে, কলেজ খুলবার আগে কোনো শৰ্ম্মার টিকিও দেখতে পাবি না। তার চেয়ে আর দুটো দিন থেকে যা না একলা একলা আমার ও পুেট ফুলে মর্বার জোগাড় হয়।” বন্ধুর সঙ্গস্থখ উপভোগ করার উৎসাহ গিীশের অত্যন্তই জুড়াইয়া গিয়াছিল। গুৰু ভয়তার খাতিরে সে