পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어 어\ কিছু। আর কিছু নয়, গাধার বিশেষ কোনো সৌন্দৰ্য বা মহত্ব আছে তা নয়, কিন্তু তার সত্তা তার চিত্তকে সুস্পষ্টভাবে স্পর্শ করত বলেই তিনি অমন ব্যস্ত হ’য়ে উঠতেন। তিনি যদি আর্টিঃ ত’তেন তার নিজের মনের ব্যগ্রতা দিয়েই গাধাটাকে আঁকতেন, গাধাট ষোড়শী নারী ব’লে নয় বা পরমধাৰ্ম্মিক তপস্বী ব’লে নয়, কিন্তু সে তার চোখে-পড়া, মনে-লাগা গাধা ব’লেই। নিষ্কাম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ঐ গাধাটার ফোটোগ্রাফ নেয় কিন্তু আৰ্টিষ্ট্রের সাগ্রহদৃষ্টি ছবি আঁকে,— ফোটোগ্রাফে গাধাটাকেই দেখি,বৈজ্ঞানিকের চিত্ত দেখিনে— ছবিটিতে গাধাটাকে দেখি আটিষ্টের চিত্তের মধ্যে— অর্থাৎ শুধু তার সংবাদ জানতে পাইনে, তার আদর বুঝতে পাই । “বর্তমান যুগে আর্টিষ্টের এই আদরটি দূরে-নিকটে বড়োয়ছোটোয় ছড়িয়ে যাচ্চে। যে আদর ধন-মান কুলশীল রূপগুণের দর যাচাই করে, এ তার চেয়ে অনেক বড়ে ; এ সত্তার আদর। এই জিনিষটার দাম এত বেশী যে, এখনকার অনেক আটঃ ইচ্ছা ক’রেই তাদের চিত্র ও মুর্তি থেকে শিবকে সুন্দরকে বর্জন করেন, পাছে কেউ মনে করে তার লোভে না পড়লে সত্যকে দেখতে পান না, পাছে কেউ ভাবে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড র্তার সত্তার বিশুদ্ধ সম্মান দেখাতে চান না, মানুষকে লোভ দেখাতে চান । এটাও হ’ল বাড়াবাড়ি। মনে আছে আমার কোনো আত্মীয়ার সাংঘাতিক পীড়ায় বাধ্য হ’য়ে একজন বিশেষজ্ঞ মিশনারী চিকিৎসককে ডাকতে গিয়েছিলেম।-- তিনি বললেন, তিনি ধনীর চিকিৎসা করেন না। অর্থাং পাছে কেউ বলে ধনীর মর্যাদা রাখবার লোভে বা ধনের লোভে তার চিকিৎসা, এইজন্য পরম বিপদে ও ধনীর ঘরে তিনি যান না, ভুলে যান ধনীও মানুষ, দরিদ্রতম মানুষেরই মতো। ইঙ্কলে-পড়া এক বালিকা আমার নামত পরীক্ষার উপলক্ষে জিজ্ঞাসা করেছিল তিন পাচে কত, আমি জবাব দিয়েছিলেম পরতাল্লিশ । এই উত্তবে অত্যন্ত অবজ্ঞা প্রকাশ করাতে তর্ক ক'রে ব&ে|ছিলেম, খুব সরু সরু পাচেও পনেরো আর তার চেয়ে তিন গুণ বহরের পাচেও পনেরো, এ ও কি সস্তব ? অামার কুতর্কের উত্তরে বালিকা বলেছিল পনেরোর প্রত্যেক এককতো একই, তা সে সরক্ট হোক আর মোটাই হোক, আধুনিক আটষ্ট্রের কুতর্কেরও সেই উত্তর,--অর্থাৎ সত্তাপ আদর যদি আর্টের লক্ষ্য হয় তবে সুন্দর সত্তাকে ও সত্ত্ব বলে মানতে হবে।” আদ্য শক্তি শ্ৰী নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সকল শক্তির আধার যিনি, যাহাকে সৰ্ব্বশক্তিমান বলিয়া আমরা নমস্কার করি, তাহা হইতে শক্তির স্বতন্ত্র অস্তিত্বের কল্পনার কারণ কি ? এই দুই বিশ্বাসে কালের দীর্ঘ ব্যবধান, বেদান্তের স্তর পুরাণের স্তর অপেক্ষা অনেক গভীর। বিশ্বের সর্বত্র যেমন ক্রমবিকাশের নিয়ম ধৰ্ম্ম-জগতেও সেইরূপ, প্রথমে উন্মেষ, কালে পূর্ণ বিকাশ। বৈদিক যুগের প্রারম্ভে বিক্ষেপের অবস্থা, বিস্ময়ের বিহবলতা, নিসর্গের ক্রিয়া-বৈচিত্র্যে বহু দেবতার কল্পনা । অগ্নিতে এক দেবতা, বায়ুতে আর, বজ্রধারী পর্জন্তদেব তৃতীয় দেবতা। ইহাদের তুষ্টির জন্য হোম বজ্ঞের সৃষ্টি। ক্রমে দৃষ্টি বহির্জগৎ তইতে অন্তর্জগতে আকৃষ্ট হইল। উপনিষদকারগণ এই পরিদৃশুমান বিশ্বের একমাত্র কারণ নির্দেশ করিলেন। এক তিনি, অদ্বিতীয় তিনি, নিত্য তিনি, অক্ষর তিনি। প্রগাঢ় চিন্তা, গভীর ধ্যানের ফল স্বরূপ ব্ৰহ্মবাদের বহু শাখা-প্রশাখা হইল। আবার কালক্রমে বিশ্বাসের সম্প্রসারণ হইল। পৌরাণিক যুগে বেদান্ত কালের তীক্ষ অন্তদৃষ্টি, ভাষার সংক্ষিপ্ত সারবত্তা কতক পরিমাণে লুপ্ত হইল। কল্পনার প্রসার বাড়িল, অবতারবাদের স্বষ্টি