পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] চট্টল, অলৌকিক ঘটনার প্রাচুর্যে ধৰ্ম্ম-সাহিত্য ভারাক্রান্ত হইল। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের সূচনা দেখা দিল। এইরূপ তরলতা ও চঞ্চলতার অবস্থায় শক্তিবাদের ভিত্তি স্থাপনা। তন্সের উচ্চ অঙ্গে শক্তির ব্যাখ্যা অতি পবিত্র, কিন্তু কোন জটিল শাস্ত্রের মীমাংসায় প্রবৃন্তু হটবার পূৰ্ব্বে সহজ কথায় শক্তির কল্পনা বুঝিবার চেষ্টা করা যাঠতে পারে। কোন ব্যক্তি যদি একটি পাটকেল তুলিয়৷ ছুড়িয় ফেলে তাহ হইলে সেই লোষ্ট্ৰখণ্ড কিছু দূপে গিব। পড়ে। নিক্ষেপকারী ও পতিত পাটকেলের মধ্যে ব্যবধান হষ্টল কেমন করিয়া ? যদি সে ব্যক্তি পাটকেল তুলিয়া হয়। BBS BB BB BBB BBS BBB tmBB BBBBB সম্বন্ধ বেশ বুঝিতে পারা যাহত । কি এক্ট লে বল-প্রয়োগ তাহার প্রক্রিয়। প্রয়োগকৰ্ত্ত, হঠতে স্বতন্ত্র হইয়া গেষ্ট । পাটকেলটি ফেলিলে আর ফিরান যায় না, লে ফেলে SSBBBB SBB BBS BBB S BBBB BBB BBB BB


م.

孪、氹 ـة و 1 و శ్రోగి বাকী আর মুক্ত বাণ নিরন্তু কব; যায় না, অতএব কাজ বিশেষ বিবেচনা করিয়া করা উচিত । পাটকেলটি নিজের শক্তিতে এক স্থান ভক্টতে অঙ্গ BBB BDS B BBBBB BBBB BBBSBBB BBB শরীর হুষ্টতে মুক্ত হইয় পাটকেলকে আশ্রয় করিয়াড়ে এবং তাহাকে বহন করিয়া দূরে হয়। গিয়াছে। বিজ্ঞান বলে যে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকিলে সেই পাটকেলের কোন কালে পতন হইত না । নিতান্ত স্থল কথায় শক্তির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব এইরূপ করিয়া কল্পনা করা ৰাষ্টতে পারে । এই দুষ্ট স্থানে আর একদিক হইতে শক্তি বলিতে সৃষ্টির স্ত্রী ভাব বুঝিতে হুইবে । এই কারণে স্বষ্টির মুলে পুরুষ ও প্রকৃতির কল্পনা । বিশ্ব-জগতের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় এই ত্রিবিধ ভার ত্রিমূৰ্ত্তির হস্তে হস্ত, ইহাদের তিন ভাৰ্য্যা শক্তিস্বরূপ । যেমন গুহ-সংসারে গৃহিণীর ক্ষমতা অধিক, গৃহিণী না থাকিলে সংসারের অসংখ্য খুঁটিনাটির সামঞ্জস্ত হয় না সেইরূপ এই বৃহৎ বিশ্ব-সংসারে শক্তিরূপিণী দেবীদিগের কার্যকরী ক্ষমতা ও প্রাধান্ত অধিক। উপাসনা-পদ্ধতিতে প্রত্যেক দেবী অথবা শক্তির স্বতন্ত্র স্থান । ব্ৰহ্মার পূজা নাই সুতরাং ব্ৰহ্মাণীরও পূজা হয় না। গঙ্গার পাবনী শক্তির উপাসনা। স্বর্গের অলকনন্দ, মহাদেবের জটাবিহারিণী, ভগীরথের আদ্য শক্তি 영업영 শঙ্খনাদের অনুবৰ্ত্তিনী হইয়া ভস্মাবশিষ্ট সগর-বংশকে উদ্ধার করেন । সেই কারণে ভাগীরথী কলুমনাশিনী, আবহমান পুরাকাল হইতে কোটি কোটি নরনারী গঙ্গার খরস্রোতসলিলে পাপ মনোমালিন্ত ক্ষালন করিয়া আসিতেছে । লক্ষ্মীর পূজা পারলৌকিক মঙ্গলের জন্য নয়, ইহ সংসারে বিহু রক্ষার উল্লেখে। গৃহস্থ এই চঞ্চল দেবীকে নানা উপচারে পূজায় প্রসন্ন করিয়া গৃহের অধিষ্ঠাত্রী দেবী করিয়া রাপিবার প্রয়াস করে। লক্ষ্মীর পূজা পরে ঘরে, কিন্তু কেহ তাহার নিকট পরলোকে কুশল প্রার্থনা করে ন;, কেহ তাঙ্গর নিকট মুক্তি-কামনা করে না, তাহার সেবায় ত্যাগস্বীকার করে না । তিনি ও কাহার ও ঘরে বাধা থাকেন ন। যে ঐশ্বৰ্য-গব্বিত মুঢ় মনে করে, সে হীরামাণিক্যের লৌহপেটিকায় লক্ষ্মীকে বন্দিলী করিয়াছে তাহাকে সৰ্ব্বস্বাস্ত পথের ভিখারী করিয়া হান্তচঞ্চল দেবী লঘু পদক্ষেপে গৃহাস্তরে প্রবেশ করেন। শক্তিদিগের মধ্যে শিবানী প্রধান । ইনি সকল শক্তির মুলীকৃত, সকল শক্তি ইহাতে নিহিত আছে। ধৰ্ম্মক্ষেত্রে সকল বিশ্বাসেই এইরূপ পরম্পরা দেখা যায়। বহু হইতে এক, এক কষ্টতে বহু, আবার বহু একের আশ্রয় গ্রহণ করে । অন্ততঃ এ দেশে এইরূপ ঘটিয়াছে। বহু সহস্র বৎসর ব্যাপিয়া ধৰ্ম্ম-চিন্তার বিরাম ছিল না, সেইজন্য ধৰ্ম্মের ধারা বহুমূগী ! শিবের শক্তি বলিতে প্রধানতঃ সুন্দরীশ্ৰেষ্ঠ পাৰ্ব্বতীকেই বুঝায়। যুগল মূৰ্ত্তিতে সৰ্ব্বত্র হরগৌরীর উল্লেথ—অৰ্দ্ধেক গলায় হাড়মালা, অদ্ধেকে গজমুক্তার মালা ; অৰ্দ্ধাঙ্গে বিভূতি, অপরাঙ্গে মলয়জ পঙ্ক, অদ্ধ দিগম্বর, অন্ধ পট্টবস্ত্র। সগল নাম করিতে হরপাৰ্ব্বতী, গৌরীশঙ্কর, শিবদুর্গ বলি ! প্রাচীন কাব্যে নগেন্দ্র-নন্দিনী উমার রূপ বর্ণনা অতুলনীয়—পর্যাপ্তপুষ্পস্তবকাবনম্র সঞ্চারিণী পল্লবিনী লতেব—প্রচুর পুষ্পস্তবকে নম্র পল্লবযুক্ত গতিশালিনী লতার হায় দুর্গ, জগদ্ধাত্রী, অন্নপূর্ণ এই ত্ৰিবিধ রূপে মহেশ্বরের শক্তি প্রকাশিত । শিব শব্দের অর্থই শুভ, এই কারণে র্তাহার মঙ্গলময় সৌম্য মূৰ্ত্তি । তিনি আদিনট এইজন্ত তিনি নটনাথ । কিন্তু ভোলানাথ মহাদেবের অরি-এক মুক্তি আছে, ত্রিশূলধারী, সৰ্ব্বলোকভয়ঙ্কর, সংহার-মূৰ্ত্তি, ভৈরব, রদ্র, মহাকাল। এই রুদ্র ।