পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գշ8 উপরের হস্তাক্ষর দেখিয়াই কৃষ্ণা বুঝিল চিঠিখানা লাবণ্যর। মনে মনে হাসিয়া বলিল, “বাপ রে, কি অসাধারণ বন্ধুপ্রীতি ! সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় চিঠি হাজির ৷” ঠিক এই সময় ঢং ঢং করিয়া স্কুলের ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। হাতের কাজ অসমাপ্ত রাখিয়া চিঠিখানা বন্ধ অবস্থাতেই একটা দেরাজে ঢুকাইয়া দিয়া, কৃষ্ণ তাড়াতাড়ি জুতা মোজ পরিয়া নীচে নামিয়া গেল। লম্বা ছুটি-ভোগের পর, আবার একটানা পাচ ঘণ্টা চীৎকার করিয়া পড়াইতে তাহার বেশ পরিশ্রম বোধ হইতে লাগিল । মেয়েগুলি দেড়মাস মা-বাপের আদর থাইয়া আরো যেন বেয়াড় হইয়া আসিয়াছে। অধিকাংশই ছুটির পড়া কিছুই করে নাই। অনেক বকুনি এবং শাস্তি বিতরণ করিয়া, একেবারে শ্রাস্ত হইয়। চারটার সময় কৃষ্ণ আবার নিজের ঘরে ফিরিয়া আসিল । চা না খাইয়া আর কাজে হাত দিবেন ঠিক করিয়া সে থাটের উপর একটু গড়াইয়া লইল । লাবণ্যর চিঠি তখনও পড়া হয়,নাই। দেরাজ হইতে সেটা টানিয়া বাহির করিয়া শুইয়া শুইয়াই পড়িতে লাগিল । গিরিডি বাণীকুঞ্জ ভাই কৃষ্ণ, তুই গিয়ে গিরিডিটা একেবারে অন্ধকার হয়ে গেছে। তুই নামে কালে, কিন্তু কাজে ছিলি আলো। যা হোক, আর দিন পাচ পরে আমিও যাব মনে ক’রে, বিরহট কোনোমতে সহ ক’রে যাচ্ছি । বেড়ানোটা বন্ধই আছে, কার সঙ্গেই বা বেড়াব ? রাতদিন সেলাই ক’রে ভাইবোনদের একবছরের মত কাপড় চোপড় ক’রে দিচ্ছি, যাতে { পূজোর ছুটিতে এসে আবার না শিঙ্গারের কল নিয়ে বসতে হয় । wা লীলা, বেল, নূতন ফ্রক পরে একদিন বেড়াতে এসেছিল, দুজনকেই বেশ মানিয়েছে। থোকা নাকি তার খেলনা এরই মধ্যে ভেঙে ফেলেছে। এখন আসল কথা পাড়া যাক। তুই আমায় কাজের সন্ধান পেলে চোখ কান থোল রাখতে বলেছিলি, না ? আমি কলকাতায় না গিয়েই এক কাজের সন্ধান পেয়েছি। মাইনে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ AJMAAA AAASA SAASAASAASAASAASAAASJJAJS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • .が* c**** x.as*・ダ・ヘ**ー・ヘ******-*xダx.ax-***下、*xxx^*x-*グ、ベ*ダい*メx・ヘ*ダxメxx^*xメ*

বেশ আছে, তোর আমেরিক যাবার জাহাজ ভাড়াটাড় গোছাবার সুবিধাই হবে। তবে কাজটা তোর সুবিধার লাগবে কিনা তা জানি না । আমাদের বাড়ীর সাম্নের লালবাড়ীটা এতকাল খালি থেকে, হটাৎ এক ভাড়াটে লাভ করেছে দেখেই গিয়েছিলি । কাল অকস্মাৎ তাদের বাড়ীর এক পাল মেয়ে সন্ধ্যার সময় আমাদের বাড়ী এসে হাজির। তুই তখন সবে বিদায় । হ'য়ে গিয়েছিস । সন্ধ্যাট একরকম ক’রে কেটে যাবে, আশা করে, তাদের সাদরেই অভ্যর্থনা করেছিলাম। দুটি বউ, একটি গিন্নি, এবং গোটাচার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে । গিন্নির স্বামী মস্ত বড় মানুষ, লাখপতি একেবারে । বৰ্ম্মাতে কাঠের ব্যবসা করেন। তিনি নান। স্থানে ঘোরেন, গিন্নি ছেলে পিলে বউ ইত্যাদি নিয়ে রেজুনেই বাস করেন। ত না হ’লে ছেলে-পিলের পড়ানোর সুবিধা হয় না । বড় ছেলেণ্ডুটি বিলাতে আছে, বউদের গিল্লি নিজের কাছেই রেখেছেন । এদের ইংরেজী পড়াতে এবং গান বাজন। শেপাতে চান । তাদের ভয়, পাছে বিলাত থেকে এসে অশিক্ষিত স্ত্রীদের ছেলেরা পছন্দ না করে। কিন্তু মেমের কাছে পড়াতে সম্পূর্ণ নারাজ। একটি বাঙালী টীচার চান, ব্রান্ধ কি হিন্দু হ’লেই ভাল, ক্রীশ্চা হ’লেও খুব বেশী আপত্তি নেই। তবে গরু-টর না খায়, এমন হলেই ভাল। তাকে থাকার ঘর, খাওয়া-দাওয়া বাদে দু’শো টাকা মাইনে দিতে রাজী আছে, যদি সেলাই, গান বাজনা, পড়ানো, সবেরই ভার নিতে পারে। শুস্বামাত্র আমার তোর কথা মনে হ’ল। একাধারে এত গুণ এক তোর আছে বলেই জানি। দেখ, কবি নাকি ? খাওয়া-দাওয়ার কোনো খরচ নেই, বাবুগিরি ক’রে যদি একশ টাকাও ওড়াস, তাহলেও একশ’ টাকা মাসে save করতে পারবি। বছর খানেক কাজ করলেই তোর Passage money s T *'t# q## ! ভেবে চিস্তে কাজ করি কিন্তু বাপু । আমি শুধু সন্ধান ব’লে দিচ্ছি, এদের সঙ্গে আমার চেনা-শোনাও নেই, কেমন মানুষ, কি বৃত্তান্ত, কিছুই জানি না। মগের মুল্লক, নিতাস্ত কাছেও নয়। তোর বয়স অল্প, রূপের বালাইও কম নেই, বিপদের আশঙ্কা আছে। তবে এদের বাড়ীটা একেবারে .