পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS পরভৃতিক QS& প্রমীলার রাজ্য, নিতান্ত বাচ্চা ছাড়া, পুরুষ জাতীয় কোনো জীব নেই, সে দিক দিয়ে খানিকটা safe ; আর রেঙ্গুনে আমাদের চেনা-শোনা বাঙালী আরো দু-চার ঘর আছেন, প্তারাও তোর খোজ খবর নিতে পারবেন। দেশে থাকলে বেশী মাইনে তুই পাবি না। বড় জোর একশ', তাও পাওয়া খুব শক্ত । গিরীটিকে মানুষ ভাল মনে হ’ল, তাই তোর কথা বললাম। তিনি ত তোকে না দেখেই রাজী, এখন তুই রাজী হ’লেই হয় । এরা মাস খানিক পরে কলকাতা যাবে, সেখান থেকে বৰ্ম্মায় ফিবে । তুই যদি কাজটা নিতে চাস, তা হলে আমি তোকে নিয়ে গিয়ে এদের সঙ্গে জালাপ-পরিচয় ক’রে দেব। তাদের কথায়-বাৰ্বায় বুঝলাম :- smart, up-to-date NITRĒ ga piš, sa অতিশয় বেশী modernism বোধ হয় তাদের হজম হবে না । এক কথায় তার ঠিক তোর মত একটি মানুষ চায়। এখন তোর পছন্দ হ’লেই হয়। চিঠির উত্তর এখানেও দিতে পারিস, কি আমি ফিরবার পর মুখেও বলতে পারিস্ । কেমন আছিস্ ? আমরা সব এক রকম। বৃষ্টির জালায় কিছু আর ভাল লাগে ন । লাবণ্য চিঠিখান। শেব করিয়া কৃষ্ণ ভাবিতে লাগিল কি তাঙ্গর করা উচিত। টাকার লোভ যে না আছে তা নয়, আবার দেশ ছাড়িয়া যাইতেও ইচ্ছা করে না। কিন্তু চিরকালই এই পঞ্চাশ টাকার কাজে তাহার চলিবে নাকি ? আমেরিকা কি বিলাত যাইতে পারিলে যথেষ্ট সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু টাকা যোগাড় করিতে হইবে তাহার নিজেকেই । সুতরাং এই ধরণের চাকরী করা ছাড়া উপায় কি ? মানুষগুলি কেমন কে জানে ? কোনো বিপদ আঁপদ ঘটবে না ত? বাড়ীতে পুরুষমানুষ কেহ নাই, এ একটা সুবিধার কথা। কিন্তু তবু অনেকখানি বিপদের সম্ভাবনা স্বীকার করিয়াই তাহাকে যাইতে হইবে । জগতে তাহার আপনার বলিতে যখন কেহই নাই, তখন অত ভাবিলে আর SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA AAAA AAASAAA SAS A SAS SSAS SSAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS চলে কই ? তাহাকে আগ লাইবার মানুষ যখন ভগবান রাখেনই নাই, তখন ক’নে বউ হইয়া থাকার লোভ তাহাকে ছাড়িতেই হইবে। মনে যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করিয়া সংসারে অকুষ্ঠিতভাবে চলাফের করা ছাড়া উপায় কি ? সে চাকরীট লইবেই ঠিক করিয়া ফেলিল, যদি বাড়ীর লোকগুলিকে দেখিয়া শুনিয়া তাহার পছন্দ হয়। লাবণ্যকে চিঠি লিখিয়া আর কাজ নাই। দুদিন পরে ত সে আসিয়াই পৌছিবে। ঢং টং করিয়া চায়ের ঘণ্টা বাজিয়া গেল। খাট ছাড়িয়া উঠিয়া, পাদুখান একজোড়া মখমলের চটর ভিতর ঢুকাইয়া কৃষ্ণা নীচে চলিয়া গেল। আন্তরিান্তে ফিরিয়া আসিয়া তাহার আর ঘর গোছানোর কাজে ভিড়িতে মোটেই মন গেলন । কেবলি মনে হইতে লাগিল, এম্বরে আর ক'দিন আছি ? ছুদিন বাদেই পেট্রিক্ষাপটুলি বাধিয়া কোন পথে বাত্রা করিতে হইবে ঠিকান নাই। নিতান্ত না করিলে নয়, এমন গোট কয়েক কাজ সারিয়া সে বেড়াইতে চলিয়া গেল । মাঝের ক’টা দিন অনেকরকম ভাবনাই সে ভাবিয়া মইল। কিন্তু যাওয়াটাই শেষ পর্যন্ত স্থির রহিল। শুধু কলকাতা আর গিরিডি, গিরিডি আর কলকাতা করিয়া কতদিন কাটান যায় ? অচেন অদেখা দেশের টান যেন তাহার শিরায় শিরায় এখন হইতেই বাজিতে আরম্ভ করিল। লাবণ্য ফিরিয়া না আসা পর্য্যন্ত সে বড় অস্থিরভাবে দিন কাটাইতে লাগিল। কোনো কাজেই সে মন দিতে পারে ন। কেবলি মনে হয়, দুদিনের জন্য কেন আর கு' হাঙ্গাম করা। অথচ চারিদিকের অব্যবস্থা আর বিশৃঙ্খলা ভিতরে ভিতরে কেবলি তাহাকে পীড়া দিতে থাকে। যাই হোক, কোনমতে মাঝের চারপাচটা দিন কাটিয়া গেল, লাবণ্যও কলিকাতায় আসিয়া পৌছিল। স্কুলের কাজ সারিয়া ফেলিয়া, চ খাইয় সে লাবণ্যের সঙ্গে দেখা করিতে যাইবে বলিয়া বাহির হইয়া পড়িল। ফিরিতে রাত হইলেও হইতে পারে, এজন্য মেটনকে তাহার ঘরে খাবার রাখিয়া দিতে, এবং দরোয়ানকে গেট খোলা রাখিতে উপদেশ দিয়া গেল ।