পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বলিল। অন্নক্ষণের মধ্যেই তাহার সাজাইয়া গুছাইয়। দুজনের ভাত দিয়া গেল। লাবণ্য বলিল, “তোর আসার খবর মাসীমার কাছে পৌঁছে গেছে, দেখেছিস্ ? অন্যদিন যেখানে তিন চারটার বেশী তরকারী থাকে না, সে স্থলে আজি আটটা নটা তরকারী । এরই মধ্যে ভদ্রমহিল। কখন এত রাধ লেন জানিন৷ ” কৃষ্ণ বলিল, “খুব চমৎকার রাখেন সত্যিই, আমার ঘাস-পাত খাওয়া মুখে খুবই ভাল লাগছে।” যে মেয়ে দুটি ইহাদের পরিবেশন করিতেছিল, তাহাদের ভিতর একটি হঠাৎ অদৃপ্ত হইয় গেল এবং অল্পপরেই বাটতে করিয়া আরো তরকারী আনিয়া উপস্থিত করিল। কৃষ্ণ ত ব্যাপার দেখিয়, প্রায় খাওয়া ছাড়িয়া পলাইলার জাগাড় করিল । বলিল, “রান্ন। ভাল বলেছি বলে কি আমি একলাই বোর্ডিং শুদ্ধ মানুষের খাবার থেয়ে যাব ? তোদের মাসীমা কি ভেবেছেন আমি ভাট-বামুনের মেয়ে ?” মেয়ের এবং লাবণ্য মিলিয়া অনুরোধ-উপরোধ করিয়াও তাঙ্গকে আর বেশী কিছু পাওয়াইতে পারিস না । কৃষ্ণ বথন বোর্ডিংএ ফিরিল তখন রাত অনেক । মেয়ের সব গুইতে চলিয়। গিয়াছে, দুএকটি শিক্ষয়িত্রীর ঘরে তখনও আলো জলিতেছে। নিজের ঘরে ঢুকিয়া জুত-মোজা ছাড়িয়া কৃষ্ণা ঘুমাইবার জোগাড় করিতে লাগিল । জানলাগুল ভাল করিয়া খুলিয়া দিল যাহাতে একটু বাতাস ঘরে আসিতে পারে। তাহার পর বিছানায় গুইয়া পড়িয়া আবার নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তায় মন দিল । অর্থের প্রলোভনে সে ত চলিলু, কোথায় কোন অচেনা অজানা মানুষের মধ্যে। ইহার পর তাহার ভাগ্যে কি যে আছে তা কে বলিতে পারে ? কিন্তু জন্মাবধিই ত তাহার প্রতি বিধাতা বিরূপ, তাহার জন্য প্রথম হইতেই ঘর কোথাও ছিল না। এখন আর ঘরের মায়া করিলে তাহার চলিবে কেন ? দুদিনের অতিথির মতই সে সব জায়গায় যাইবে, আসিবে, মায়ার বন্ধনে বঁাধিতে কেহই তাহাকে চাহিবে না। মরণের দিন পর্য্যন্ত এমনই পরভৃতিক SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS HAAASAASAASAASAASAASAAAS A SAAAAS AAAAAS SJSJSJAMHHS HSHHAA SAAAAASA SAAAS AAASASAAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAASASASS Գ:ՏԳ একাকিনীই হয়ত সে থাকিবে । ভালবাসা পাইবার আকাঙ্ক, ভালবাসিবার আকাঙ্ক, নারীর হৃদয়জুড়িয়া থাকে সৰ্ব্বদাই, সে আকাঙ্ক্ষারও পরিতৃপ্তি কি কখনও হইবে না ? সকলের বাহিরের ঘরের অতিথি সে হইবে, আদরও পাইবে, কিন্তু কাহারও হৃদয়ের অন্তরতম স্থানে তাহার প্রবেশাধিকার কি ঘটিবে না ? ভাবিতে-ভাবিতে কখন ষে সে ঘুমাইয়া পড়িল, তাহ নিজেই বুঝিল না। সকালে উঠিয়া মন হইতে সকল দ্বিধা সংশয় সে ঝাড়িয়া ফেলিয়া দিল। নিতান্ত কিছু অলঙ্ঘনীয় বাধা যদি না জোটে তাহা হইলে সে বৰ্ম্মায় যাওয়াই স্থির করিম, ফেলিল । সংশয়ের দোলায় ছলিয়। লাভ নাই কিছুই। একবার সাহসে ভর করিয়া সে দেখিতে চায়, অদষ্টে তাতার ভাল কিছু আছে কি না। যাই হোক, এই স্কুলের চাকুরীতে সে ইস্তফাক্ট দিবে। সেই দিনই সে পদত্যাগপত্র লিথিয়া সেক্রেটারীর কাছে পাঠাইয়া দিল। অন্যান্ত শিক্ষয়িত্রীরা মহা ঠাট্টার ধূম লাগাইয়। দিল । লাল সাড়ী, জাম, কিনিয়া দিবার, গহনা গড়াইয়া দিবার জন্য সবাই তাহাকে সাহায্য করিতে প্রস্তুত, এ কথা সে ক্রমাগতই শুনিতে লাগিল । কৃষ্ণ হাসিয়া বলিল, “লাল না হোক, অন্ত রংএর শাড়ী জামা কিছু হয়ত শীগগিরই দরকার হতে পারে। তখন আপনাদের সাহায্য নিশ্চয়ই পাব। গহনাটার সম্প্রতি ত কিছু দরকার দেখছি না, পরে যদি হয় ত, আপনাদের জানাব ।” একজন শিক্ষয়িত্ৰী জিজ্ঞাসা করিলেন, “মিস্ রায় কি সাহেবের ঘর আলো করতে যাচ্ছেন ? গহনা-গাটির দরকার নেই ?” কৃষ্ণ বলিল, “দাহেবের এমন মতিচ্ছন্নে ধরেনি। আমি । অন্য একটা ঘরে যাচ্ছি বটে, এবং কতকটা আলো দান করার উদ্দেশ্বেই, কিন্তু সাহেবকে নয়, দুটি ছোট মেয়েকে ” তাহার সর্থী অপ্রস্তুত হইয়। বলিল,“নাঃ, আপনি নেহাৎ বেরসিক। এতদিনেও সাহেব জোটাতে পালেন না ?” ( ক্রমশঃ ) somor

  • a :-8