পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] --১৭:৩০, ১৪ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ১ - ১ --- ৮-xx অর্থাৎ—“বহুদিন পরে সুরদাসের রচিত গান গেয়ে বন্ধুকে মনে পড়েছে, তাই লিখছেন–আজ আমার অঙ্গে কি মুরের (অর্থাৎ বীরের ) তীর (শর ) লাগল ন মুরদাসের বেদন আমায় অধীর করেছে। আজ কি সুরদাসের সহিত আমার মিলন হয়েছে যে, আমার শরীরে একটি অনুভূতি জেগেছে।” উত্তরে সুরদাস নিম্নলিখিত চিঠি লিখে পাঠান— “ৰিখন৷ এছ ৱিয় জান কয়, শেৰ ন দিন্থে। কান, ধরা মেরু সব ডোলতো, তানসেন-কি তান ।” অর্থ—“বিধাতা পূৰ্ব্বে জেনেইত শেষকে (অর্থাং বাস্তুক নাগ যার মস্তকে এই পৃথিবী অবস্থিত আছে ) কান ( কৰ্ণ ) দেননি। শেষ নাগকে কান দিলে সে তানসেনের অপূৰ্ব্ব সঙ্গীত শুনে মাথা দোলাতে আর সমস্ত পৃথিবীটা পাছে চুরমার হয়ে যেতো।” উভয় উভয়ের গুণে ও নিবিড় প্রেমে মুগ্ধ হয়ে বোধহয় এই পত্রগুলি লিখেছেন । হিন্দীভাষাকে যে-সব মুসলমান কবি আপনার মাতৃভাষা ক'রে নিয়েছিলেন তাদের নাম এপালে দিচ্ছি। তার হচ্ছেন —আমির খুসরু, মালিক মুহম্মদ জায়ণী, বাদশাহ আকবর, কাদের বৎস, সুদার রহীম খানপান, উসমান, সৈয়দ ইব্রাহিম, মুমারফ, আহম্মদ, আবদর রহমান, জলীগ, ইয়াকুব খাঁ, জুলফিকর, অনওর খাঁ, আজম শাহজাদ, সৈয়দ গুলাব নবী, তালেব আলী, নবী ও আলম। এর খুব উর্দুদরের কবি প্রতিভাশালী সাহিত্যিক ছিলেন এবং এদের রচিত গ্রন্থাবলী হিন্দী ভাষায় গৌরব বাড়িয়ে দিয়েছে। হিন্দীভাষাতে নানা প্রকারের প্রবাদ-বচন, আখ্যায়িক, ভিখারীর গান, বারমাস্ত ও স্ত্রীআচারের বহুপ্রকারের গান পা ওয়া যায় । মীরাবাঈ ও অন্যান্য হিন্দী কবি し”のx3) AASAASAASAAMASAMeMMAeAAAA تر*م ء - حملہ-میم "بر x عمل مxجب ہم x ہےہم x را مد ۹-ر سن ۹ م. به ع ছিলেন। তার গানে বাৎসল্য-রসের প্রাচুর্য্য দেখা যায়। এখানে তার একটি গান উদ্ধৃত করছি । “ऽिग्लिब ठूह कारे । চকই কি শুন বাণী, কহত যশোদ। রাণী 灣ic州 C電召研f潮州則 ब्रदि कि कि३१ छानि, कभशिनौ विकलाभि, কুমুদিনী সকুচনি, দধি মধত, বাল । সুবল, সুবাহু যত, বস্ত্র পয়গত, দোয়ে ঠাড়ে টেয়ত লাল গোপাল । নন্দদাস বলিহারী, উঠে। বৈঠে গিরিধারী এসে কোই দেখে চাহে নয়ন বিশাল ।” মৰ্ম্মার্থ —“পাখী ডাকৃছে । চক্রবাকীর স্বর শোনা যাচ্ছে । যশোদারাণী তার ছেলেকে বলছেম—জাগো খোকন—এখন বিছানা ছেড়ে ওঠে। স্বৰ্যকিরণ দেখে কমলিনী বিকশিত হ’ল আর কুমুদিনী সঙ্কুচিত হ’ল । ঘরে ঘরে এখন ব্ৰজঙ্গনাগণ দধি মন্থন করছে । শ্রীকৃষ্ণের সুবল সুবাহু যত সপা বস্তু পরে দ্বারে দাড়িয়ে গোপাল বলে ডাকৃছে। নন্দদাস প্রভাতী সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে বলছেন গিরিধর এখন তুমি উঠে বোসো—এমন স্বৰ্গীয় দৃপ্ত দেখে নয়ন চরিতার্থ করে ।” এক ভাষার কবিতা বা সঙ্গীত অন্ত ভাষায় যথাযথ অনুবাদ করা যায় না। হিন্দী-প্রেমিক বাঙ্গালী পাঠক দেখতে পাবেন—কী মাধুৰ্য্যই ন নন্দদাস এই কয় লাইনের গানে ঢেলে দিয়েছেন। অপার, অফুরন্ত মাতৃস্নেহের প্রস্রবণ যেন মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়—এই কয় লাইন পড়তে গেলে তাই মনে হয় । রবীন্দ্রনাথের “শিশু ভোলানাথ” ও দাশরথি রায়ের *শুন ব্রজরাজ, স্বপনেতে আজ দেখা দিয়ে গোপাল কোথায় লুকালে”প্রভৃতি কয়েকটি গান বাদ দিলে বাঙ্গলায় বাৎসল্যভাবের বা মাতৃস্নেহের বড় বেশী গান বা কবিতা খুজে পাওয়া স্বাবে না । হিন্দী সাহিত্যের রত্নাগারের এক-একটি রত্ন এমনি চোখ তুলসীদাসের ভাই নন্দ দাসও একজন শ্রেষ্ঠ কবি ঝলসিয়ে দেয় আর মনে অপূৰ্ব্ব পুলকের সঞ্চার করে । تعيشجعتي يتعبيعي حجم كتجة