পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ہیں۔ یہ یہ - بہت م.x یہ عہ، ...، حم * -*.*.*.*.* - ع۔ بی ۔ یہ بہ مہم ہم م*بی۔یہی ہیہ یہ تہہ ہی۔ উদ্দেশ্যে জাভা যাত্র করিয়াছেন। জাভার ইতিহাস ও জাভায় ভারতীয় সাধনা ও সভ্যতার উপনিবেশ স্থাপনার অপূৰ্ব্ব অদ্ভূত তথ্য তাহার কবিচিত্তকে মুগ্ধ ও বিস্মিত করিয়াছে । খৃষ্ট-জন্মের পূৰ্ব্বে বোধ হয় জাভার সঙ্গে ভারতবর্ষের কোনো সম্বন্ধ স্থাপিত হয় নাই । রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে—সুগ্ৰীব যেখানে তাহার বানর সৈন্তকে পাঠাইতেছেন চারিদিকে সীতার অন্বেষণে—যবদ্বীপের উল্লেখ আছে, কিন্তু ফরাসী পণ্ডিত সি লভ্য লেভি বলেন, রামায়ণের ঐ অংশটুকু প্রক্ষিপ্ত এবং এই প্রক্ষেপ কিছুতেই খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর আগে নয়। গ্ৰীক জ্যোতিৰ্ব্বিদ টেলেমি (খৃষ্টায় দ্বিতীয় শতাব্দী) ব্যবদিউ বলিয়া যবদ্বীপের উল্লেখ করিতেছেন। ‘যবদিউ যে ববদ্বীপ এসম্বন্ধে কোলে সন্দেহই থাকে ন যখন দেখি ‘যবদিউ’ অর্থে তিনি বলেন, ঘে-দ্বীপে যব উৎপন্ন হয় । চীনা সাহিত্যে এ কথার উল্লেখ আছে যে, ১৩২ খৃষ্টাব্দে ইয়ে-তিয়োর (Yetio) এক রাজ্য, তিয়াও পিয়েন, ( দেববৰ্ম্মণ ? ) চীন দেশে এক দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন ; চীন-সম্রাট তিয়াওপিয়েনকে একটি স্বর্ণমোহর দ্বারা পুরস্কৃত করিয়াছিলেন । পণ্ডিতের মনে করেন, এই ইয়ে-তিয়ে নিশ্চয়ই খবদ্বীপ। এইজন্ত মনে হয় খৃষ্টীয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দী হইতেই সংস্কৃত ঘবদ্বীপ নাম বিদেশে প্রচারিত হইয়া পড়িয়াছিল । ঘবদ্বীপের ইতিহাস সম্বন্ধে সর্বপ্রাচীন শিলালিপি যাহা পাওয়া গিয়াছে তাহ ঘবদ্বীপে নয়—বাণিও দ্বীপে। তাহাতে কোনো তারিখ খোদিত নাই, কিন্তু অক্ষরের নমুন দেখিয় মনে হয় তাহার বয়স খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর পরে কিছুতেই হইতে পারে না এবং সে অক্ষর অনেকটা দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন পল্লব শিলালিপি ও চম্পাকস্কোজের সর্বপ্রাচীন শিলালিপি অক্ষরের অনুরূপ । বোর্ণিও দ্বীপের এই শিলালিপিগুলি বেশ শুদ্ধ সংস্কৃত ভাষায় লেখা এবং তাহা হইতে কোনো এক রাজবংশের পরিচয় আমরা পাই—যাহার প্রতিষ্ঠাতা হইতেছেন অশ্ববৰ্ম্মণ এবং তাহার পুত্র রাজাধিরাজ মূলবৰ্ম্মণ। মুলবৰ্ম্মণ বাহুমুবর্ণক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন, সেই যজ্ঞের যুপ-কার্টও শিলালেখগুলির সঙ্গে পাওয়া গিয়াছে । > z\○一ーや ヘ ঘবদ্বীপে ভারতীয় উপনিবেশ ూృS) SASAJJSJAAA AAAAS AA SAASAASAASAAAS .جماعت احمہرحمت ‘محم.یمم معتبرہہ بیہ۔-می می তার পরেই আরও কতকগুলি শিলালিপিতে পশ্চিম যবদ্বীপের রাজা পূর্ণধৰ্ম্মণের নাম পাওয়া যায়। অক্ষর দেখিয়৷ অনুমান হয় খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে তিনি রাজত্ব করিতেন এবং এই অক্ষরগুলিও প্রাচীন পল্লব গ্রন্থাক্ষরের অনুরূপ। এই শিলালিপি হইতে জানিতে পারি যে, পূর্ণবৰ্ম্মণ বর্তমান ব্যাটাভিয়ার সন্নিকটে তরুম নগরের রাজা ছিলেন এবং তিনি চন্দ্রভাগ ও গোমতী নামে দুইটি খাল কাটাইয়াছিলেন। দুইটি শিলালিপিতেই পূর্ণবৰ্ম্মণের পদচিহ্ন খোদিত আছে—সেই পদচিহ্নকে আবার বিষ্ণু-পদচিহ্নের সঙ্গে তুলনা করা হইয়াছে। দুইটি কথা এস্থানে লক্ষ্য করিবার বস্তু—চন্দ্রভাগা ও গোমতী এই দুইটিই উত্তর ভারতের দুইটি নদীর নাম। অনুমান হয়, এই রাজবংশ উত্তর ভারতের কোনো রাজবংশের শাখা। এই ঔপনিবেশিক রাজবংশের রাজার কি করিয়া মাতৃভূমির সঙ্গে যোগ রাখিয়৷ চলিতেন এই নামগুলি হইতে তাহাও অসুমান করিতে পারা যায়। আর-একটি জিনিসও লক্ষ্য করিবার মত— শিলালিপিতে আপন পদচিহ্ন অঙ্কিত করিয়া তাহার সঙ্গে বিষ্ণুপদের তুলনা করিবার মতন দুঃসাহসও এই ঔপনিবেশকদের ছিল ; ভারতবর্ষের কোনে রাজা অথবা সম্রাটের এতবড় স্পষ্কার প্রমাণ আমরা কোথাও পাই না । খুব সম্ভব এই পূর্ণবৰ্ম্মণের সময় অথবা তার কিছু পূৰ্ব্বে চীন পরিব্রাজক ফাহিয়ান্‌ সিংহল হইতে পশ্চিম জাভায় আসিয়া পদার্পণ করিয়াছিলেন। ফাহিয়া তার ভ্রমণকাহিনীতে বলিয়াছেন যে, সে-সময় যবদ্বীপে ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের প্রতিপত্তি খুব বেশী ছিল, বৌদ্ধধৰ্ম্মের ততটা ছিল না। যবদ্বীপ হইতে দুইশত হিন্দু বণিকের সঙ্গে জলপথে জাহাজে চড়িয়া তিনি ক্যান্টনে গিয়াছিলেন ৪১৩ খৃষ্টাব্দে । কাশ্মীরকুমার শিল্পী গুণবর্মণ ৪২৩ খৃষ্টাব্দে জাভা গিয়াছিলেন এবং খুব সম্ভব তিনিই সেখানে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন। জাভ হইতে তিনি চীনে গিয়াছিলেন জাহাজে চড়িয়—“নদী” নামধারী একজন হিন্দু ছিলেন তার মালিক। তার পরে জাভার উল্লেখ যেখানে পাই সেও চীনা সাহিত্যে । প্রথম মুঙ বংশের ইতিহাসে দেখা যায়, ৪৩৫