পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 لا سرb AAAAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA AAAAAS SSAS SSAS ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ^* খৃষ্টাব্দে থ-ব-দ’র এক রাজা শ্ৰী-প-দ-দো-অ-ল-প-মে (শ্ৰীপদ ধরবর্ষণ ? ) চীন-সম্রাটের সভায় এক রাজদূত পাঠাইয়াছিলেন। ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথমার্দ্ধের জাভার ইতিহাসের খবরও আমরা পাই চীন বিবরণে। জাভার উত্তর-পশ্চিমাংশে তখন লন-গ-সু নামে এক রাজ্য ছিল। লোকের বলে-“চার শত বৎসর আগে এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল ; এক সময় এমন হইল যে, এক রাজা তার শাসনে সকলকে উত্যক্ত করিয়া তুলিলেন। তাহার এক আত্মীয় ছিলেন খুব বুদ্ধিমান—প্রজারা তাঙ্গরই অনুগত হইয়া পড়িলেন * * * রাজা তখন সেই আত্মীয়কে রাজ্য হইতে নিৰ্ব্বাসিত করিলেন ; সেই নিৰ্ব্বাসিত ব্যক্তি ভারতবর্ষে গিয়া এক রাজ-কন্যাকে বিবাহ করিয়া বসিল। লন-গ সু'র রাজা যখন মারা গেলেন তখন দেশবাসীরা সেই নির্বাসিত রাজাতীয়কে রাজা হইবার জন্য ডাকিয়া আনিল।” এই রাজার পুত্র চীন-সম্রাটের নিকট একখানি পত্র প্রেরণ করিয়াছিলেন—সেই পত্রটি বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের শাস্ত স্নিগ্ধ সুরে সিক্ত। ষষ্ঠ শতাব্দীতে পশ্চিম জাভার প্রতিপত্তি কমিয় মধ্যজাভাই শ্ৰী ও সমৃদ্ধিতে উন্নত হইয় উঠিতেছিল। চীনের তাঙ বংশের ইতিহাসে দেখিতে পাই, মধ্য-জাভায় কলিঙ্গরাজ্য বলিয়৷ এক নূতন রাজত্বের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। জাভার এই বালী ও কলিঙ্গরাজ্য হইতে চীন-সম্রাটের সভায় ৬৩৭ খৃষ্টান্ধ হইতে ৬৪৯ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বারবার দূত প্রেরিত হইয়াছিল। ৬৭৪ খৃষ্টাব্দে এই কলিঙ্গরাজ্যের প্রজাসাধারণ সীমা’ নামে এক মহিয়সী নারীকে রাজসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিল। তাহার সুশাসন এমনই ছিল যে, পথে কোনো জিনিস পড়িয়া থাকিলেও কেউ কুড়াইয়া তুলিয়া লইত ন। একজন আরব সর্দার একবার একটি স্বর্ণথলিক। এই রাজ্যের সীমার মধ্যে পথের উপর রাখিয়া দিয়াছিলেন । পথযাত্রীরা কেহই উহা কুড়াইয়া তুলিয়। লয় নাই এবং তিন বৎসর পর্য্যন্ত উহ। এমন করিয়াই পড়িয়া ছিল । একদিন রাজকুমার উহার উপর দিয়া ডিঙ্গাইয়া গিয়াছিলেন বলিয়। রাণী সীমা এত ক্রুদ্ধ হইয়াছিলেন যে, তিনি কুমারের হত্যার আদেশ দিয়াছিলেন। পরে একট প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ ASAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড مردم - مس - মীমাংসা হয় এবং কুমারের পদতলের যে অংশ ঐ স্বর্ণখলি স্পর্শ করিয়াছিল তাহা কাটিয় ফেলা হয় । জাভার এই কলিঙ্গ রাজ্যের কথা এর পরে আমরা আর শুনিতে পাই না। জাভায় প্রাপ্ত সৰ্ব্বপ্রাচীন শিলালিপির তারিখ ৬৫৪ শকাব্দ ( ৭৩২ খৃষ্টাব্দ ); সেই শিলালিপি হইতে আমরা সেই সময়কার কিছু কিছু খবর পাই এবং ইহার অক্ষর একেবারে এই সময়ের কম্বোজরাজ ভববৰ্ম্মণের শিলালেখ’র অক্ষরের অনুরূপ। ইহাতে কুঞ্জরকুঞ্জ নামক পবিত্র তীর্থে একটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠার কথা আছে এবং সন্নহ ও সঞ্জয় ( পিতা ও পুত্র ) নামে মধ্য-জাভার দুই রাজার নাম আছে। ডিয়েঙে উপত্যকার শৈব-মন্দিরগুলি বোধ হয় এই সময়েই স্থাপিত হইয়াছিল। সঞ্জয় সুমাত্র, বালি, মালয় দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি দেশে আপন প্রভূত প্রভাব ও রাজত্ব বিস্তার করিতে পারিয়াছিলেন বলিয় জাভার অপেক্ষাকৃত পরবর্তী সাহিত্যে বিস্তৃত উল্লেখ পাওয়া যায় । পূৰ্ব্ব জাভার দিনয় নামক স্থানে ৬৮২ শকের (৭৬০ খৃষ্টাব্দে) আর-একটি শৈব শিলালিপি পাওয়া গিয়াছে— তাহাতে অগস্ত ঋষির একটি মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠার খবর জানিতে পারি। ব্রাহ্মণভক্ত, অগস্ত্য-পূজক রাজ গজয়নের আদেশে এই মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল—“এই বৎসর বর্ষার বারিপাতের আকাক্ষায় সুদৃশু মহর্ষিভবনে কুম্ভলগ্নে দৃঢ়চিত্ত রাজা কর্তৃক এই অগস্ত্য কুম্ভযোনির মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইল।" একশত বৎসর পরের আর একটি শিলালিপিতেও আমরা অগস্ত্য ঋষির উল্লেখ দেখিতে পাই ( ৭৮৫ শক ৪৬৩ খৃষ্টাব্দ ) । এই শিলালিপি কিছু সংস্কৃত ও কিছু কবি ভাষায় লিখিত। জাভায় অগস্ত্যের নাম হইতেছে বেলাইঙ'; এই নামেও সেখানে তাহার পূজা হইত। ঋষি অগস্ত্য স্বয়ং “ভদ্রলোক” নামে এক মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন বলিয়৷ এই শিলালিপিতে উল্লেখ আছে এবং সঙ্গে সঙ্গে অগস্ত্য ঋষির এক বন্দন-গীতিও তাহাতে স্থান পাইয়াছে। মধ্য-জাভায় এই সময় খৃষ্টাব্দ অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে পুরাতন শৈববংশের পতনের পর সুমাত্রার এক মহাযানপন্থী বিরাট রাজবংশের অভু্যদয় হইতেছিল। চীনদেশের