পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४२० ।। ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ - - AASAASAASAASAASAASAASAAAS বিলুপ্তির শেষ সীমায় আসিয়া দাড়াইল। মজ্যপহিতের সৰ্ব্বশেষ রাজা সম্বন্ধে আমরা বিশেষ কিছু জানি না। হয়ম্বুরুকের পৌত্রী মুহিতার রাজত্বকালে কেদিরি রাজ্য মজ্যপহিত, অধীনতা হইতে মুক্তিলাভ করিল। মুহিত’র কনিষ্ঠ ভ্রাত কৃতবিজয় চম্পারাজ্যের এক রাজকুমারীকে বিবাহ করেন। এই রাণী ইসলাম ধৰ্ম্মের অত্যন্ত পোষকতা করিতেন এবং ইহারই কল্যাণে ইসলাম ধৰ্ম্ম জাভায় সৰ্ব্বপ্রথম প্রতিপত্তি লাভ করিতে আরম্ভ করে। ইনি ১৪৪৮ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন । চম্প-রাজকুমারীর ইসলাম ধৰ্ম্মের এই পোষকতার সমুচিত প্রতিদান মুসলমানের দিতে পারে নাই—তাহাদের এই অকৃতজ্ঞতায় মজ্যপহিতের শেষ সম্রাট অত্যন্ত ব্যথিত হইয়াছিলেন। ১৪৭৮ খৃষ্টাব্দে মজ্যপহিত রাজ্যের ধ্বংসের পর সম্রাট মৃত্যু-শয্যায় শুইয়া শুইয়া আক্ষেপ করিয়া বলিয়াছিলেন, 'আমি স্বপ্লচক্ষে দেখিতেছি সমুদ্রের ওপার হইতে বিজাতীয়ের আসিয়া এই রাজ্য অধিকার করিয়৷ লইবে’–ওলন্দাজের আসিয় তাহার এই ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সফল করিয়াছে । কিন্তু শিলালিপি বিশ্বাস করিতে হইলে বলিতে হয় মজ্যপহিত রাজ্যকে ধ্বংসের কুক্ষিগহবরে টানিয়া নামাইয়ছিলেন জনৈক হিন্দু রাজা রণ-বিজয় । রণ-বিজয় ছিলেন কেদিরির রাজা ; এই কেদিরি রাজ রাণী মুহিত’র রাজত্বকালেই সৰ্ব্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণ: করিয়াছিল । ১৫২১ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত মজ্যপহিত রাজধানী অটুট ছিল, কিন্তু প্রধান প্রধান রাজবংশ সকলই বালিদ্বীপে পলাইয়৷ গিয়াছিলেন । রণ-বিজয়ের বংশ বেশী দিন রাজত্ব করিতে পারেন নাই—ইস্লামের মুক্তস্রোত সকল রাজ্য, রাজবংশকে ভাসাইয়া লইয়া গেল। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষপাদ হইতেই জাভা ও সুমাত্রায় ইস্লাম-আধিপত্যের সুত্রপাত হইল । -- বালিদ্বীপের ইতিহাস ইতিমধ্যে অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত হইতেছিল । ১৪৭৮ খৃষ্টাব্দে মজ্যপহিত রাজ্য ধ্বংসের কিছুকাল পূৰ্ব্বেই কয়েকজন শৈব ব্রাহ্মণ বালিদ্বীপে পলাইয়৷ গিয়াছিলেন। বালির ব্রাহ্মণের বলেন র্তাহারা পদগু (পণ্ডিত) বাহু রভু (অচিরাগত) নামক জনৈক ব্রাহ্মণের বংশ-সস্তৃত। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ | [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড MAeAMAAAS ۳۰ارہ مین*مہ "م ، এই ব্রাহ্মণের পঞ্চপত্নী ছিলেন। তাহারই পাচপুত্র হইতে বৰ্ত্তমান বালির ব্রাহ্মণের পাচটি শাখ। বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে বলিয়া জনশ্রুতি আছে। বালিদ্বীপে বৌদ্ধধৰ্ম্ম এখনও বিদ্যমান, কিন্তু হিন্দুধৰ্ম্মের মত এতটা প্রতিপত্তি লাভ করিতে পারে নাই। উৎসব উপলক্ষে চারিজন শৈব ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের সঙ্গে সঙ্গে একজন পঞ্চম বৌদ্ধ ভিক্ষুক ও আহবান করা হয় । ব্রাহ্মণদের বলা হয় ইদু ক্ষত্রিয়দের বলা হয় দেব, বৈশুদের বলা হয় ‘গুষ্টি এবং শূদ্ৰদের বল হয় ‘বাপে মেমে' ( বাবা মা )। বালির হিন্দুরা বহুদিন জাভাকে ভুলিতে পারে নাহ, অসীম কৃতজ্ঞতায় তাহাকে স্মরণ রাখিয়াছিল, কিন্তু রাজায় রাজায় যুদ্ধের আর বিরাম ছিল না। দিনের পর দিন যুদ্ধে ও রক্তপাতে পূৰ্ব্ব জাভা ও পশ্চিম বালি জনশূন্ত প্রাস্তরে পরিণত হইল ; এবং তাহাতেও যখন জাভাদ্ধাপে বাণিরাজ্যের বিস্তৃতি সম্ভব হইল না তখন বালির রাজার পূৰ্ব্বদিকে লম্বক প্রভৃতি দ্বীপ বিজয়ের চেষ্টায় আত্ম-নিয়োগ করিলেন । বালিদ্বীপে হিন্দু রাজারা আজও রাজ্য করিতেছেন—ভারতবর্যের বাহিরে একমাত্র বালিদ্বীপেই আজও হিন্দুরাজত্ব বিদ্যমান আছে । বেদের কোনো কোনো অংশ মাত্র বালিদ্বীপে প্রচারিত ও প্রচলিত আছে। ব্ৰহ্মাণ্ড পুরাণের সমগ্রটুকুর সহিতই বালিদ্বীপের হিন্দুরা পরিচিত। সেখানে প্রচলিত “তুতুর” নামক গ্রন্থভাগ-সমুহে ভারতবর্ষের ধৰ্ম্মশাস্ত্র, দণ্ডনীতি, রাজনীতি বিষয়ক প্রাচীন সংস্কৃত পুস্তক হইতে বিবিধ সংগ্রহ সন্নিবিষ্ট আছে। বালিদ্বীপে সংস্কৃত সাহিত্য প্রচলনের প্রমাণ ইহা হইতে অধিক আর কিছু আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নাই । বালিতে “কবি”-ভাষার রামায়ণ (উত্তরকাণ্ড ছাড়া ) প্রচলিত আছে। রামায়ণের (উত্তরকাণ্ড ) লইয়া পৃথক গ্রন্থ আছে । বালির লোকের মহাভারতের নামও জানে না, কিন্তু “কবি”-ভাষায় লিখিত মহাভারতের ছয়টি পর্কের প্রচলন আছে। জাভা, সুমাত্রা ও বালিদ্বীপে ভারতীয় রাজা ও রাজংশের ইতিহাস পুৰ্ব্ব ভারতমহাসমুদ্রে বৃহত্তর ভারতের । এক অধ্যায় মাত্র। রাজার নাম, রাজ্যের নাম, রাজবংশের مج- مي- &&