পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bතවද්‍ය २ বৎসর চার পাচ পর একদিন রায়বাবুদের আঙ্গিনায় আছড়াইয়া পড়িয়া গিরিবালার মাত কাদিয়া জানাইল যে, আজ একমাস হইতে রাত্রিতে তাহার ঘুম নাই। সমস্ত রাত্রি তাহার বাড়ীর চারিপাশে লোকের পায়ের শব্দ শোনা যায়, ভয়ে তাহার গা ছম্ ছম্ করিতে থাকে। .তিনপুরুষ, আগে রায়বাবুরা ছিলেন গ্রামের জমিদার ; জমিদারী এখন বাস্তুভিটার সাড়ে সাত বিঘা জমিতে আসিয়া ঠেকিয়াছে। দেউড়ী এখনও আছে কিন্তু দারোয়ান নাই। তথাপি এখনও বদন রায় মহাশয়কে অনেক অভিযোগ শুনিতে হয়। কিছুদিন পূৰ্ব্বেও বিচার করিয়া জরিমানা ও নজর বাবদ কিছু প্রাপ্তি ছিল, কিন্তু সম্প্রতি ফজল মিঞা বঁাশচিট ইউনিয়ানের প্রেসিডেন্ট হওয়াতে প্রাপ্তির পথ একেবারে রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। কাজেই এখন বিচার না করিয়া রায়-বাবু শুধু পরামর্শ দিয়া থাকেন। দারোগাকে সকল কথা জানাইবার উপদেশ দিয়া তিনি বুড়ী মানদাকে বিদায় করিয়া দিলেন, দরকার হইলে তাহার পক্ষে হইয়া দারোগাকে দুই কথা বলিবেন, এ ভরসা দিতেও ক্রটি করিলেন না । এইবার মানদা বিপদে পড়িয়া গেল। দারোগ হাকিম। তাহার সহিত কি করিয়া কথা বলা যায় ? অনেক ভাবিয়া একদিন সে এক কাঠা সরু ধানের চিড়া লইয়া গ্রামের চৌকীদার নছর সেখের শরণ লইল। উপঢৌকন পাইয়া খুনী হইয়া নছর সেখ দিন কয়েক রোদ হইতে ফিরিবার পথে নিতাই মাঝির বাড়ীর নিকটে হাক দিয়া গেল বটে, কিন্তু তাহাতেও গিরিবালার মাতার অস্বস্তির কারণ ঘুচিল না। অবশেষে, বিনা পারিশ্রমিকে নছর সেখের ধান ভানিয়া ও গাছের মৰ্ত্তমান কলা উপহার দিয়া বুড়ী একদিন তাহাকে দারোগার নিকট লইয়। যাইতে নছর সেখকে রাজী করিল। - - সুযোগও ঘটিয়া গেল। পাশের গ্রামেই দারোগ সাহেব তদন্তে আসিয়াছিলেন। নছর সেথকে অগ্রবর্তী করিয়া কালী গাইয়ের এক ঘটি দুধ হাতে বুড়ী গিয়া সেখানে উপস্থিত হইল। সম্মুখে আসামী ও ফরিয়াদী পক্ষের অনেকগুলি সাক্ষী যুক্তকরে দণ্ডায়মান ; তাহাজের সম্মুখে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ AA AMMMAJM AMAJAJJAAASAASAASAAJSS SSJJSJJSJJJJSAMSAMeeeAMAMJJJJS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAAAAA ء می۔۔۔بی۔....ہرتا۔۔م۔-ی۔ সদ্যগঠিত ছোট বংশমঞ্চে দারোগ সাহেব বসিয়া। মঞ্চের সমুখ দিক্কার একটা খুটিতে বাধা একজোড়া মুরগী, পিছনের খুঁটিতে বিরাটু কৃষ্ণকায় এক খাসী বাধা। গম্ভীর মুখে দারোগ সাহেব লিখিতেছিলেন। মুরগী ও খালীর সহিত এক ঘটি দুধের তুলনা করিয়া বুড়ী মনে মনে শঙ্কিত হইল ; পরক্ষণেই নছর সেখের ইঙ্গিত মাত্রে দারোগা সাহেবের দুই পা জড়াইয়া ধরিয়া অশ্রুপাতের সঙ্গে-সঙ্গে বুড়ী আপনার বক্তব্য বলিতে আরম্ভ করিল। দারোগ সাহেব অৰ্দ্ধেক শুনিয়াই কহিলেন, “মেয়ের বয়স কত ?” “এই যোল বছর, হুজুর ! সোমৰ্ত্ত—” “এখন যাও। সরেজমিন তদন্ত করব। হ্যা, তারপর আসামীর দুই নম্বর সাক্ষী বাটু দপ্তরী।" বাটু দপ্তর আসিয়া সেলাম করিয়া দাড়াইল । নছর বুড়ীকে লইয়া গিয়া কানে কানে কহিল, “সাঝে বাড়ী থেকে। জেলের বেটী, দারোগ৷ সাহেব যাবেন।” বুড়ী অকুলে কুল পাইয়া মা মনসার নামে পাচ পয়সার বাতাস মানৎ করিয়। ঘরে ফিরিল। মায়ের মুখে সমস্ত শুনিয়া উচ্ছসিত আনন্দে গিরিবালা খানিক কাদিল । তাহার পর বেড়ায় টাঙ্গানো সত্যনারায়ণের ছবিখানির সম্মুখে গলবস্ত্রে প্রণাম করিয়া কহিল, “লজ্জ-নিবারণ হরি! লজ্জ নিবারণ কর, ঠাকুর ” তথন সন্ধ্যা। তুলসীতলায় প্রদীপ দিয়া গললগ্ন বস্ত্রাঞ্চলে বার বার মাটিতে মাথা ঠেকাইয়া গিরিখালা সম্ভবতঃ কোনো প্রার্থনা জানাইতেছিল, এমন সময় দারোগা সাহেব আঙ্গিনায় প্রবেশ করিলেন। জুতার শব্দে মুখ ফিরাইয়৷ দারোগাকে দেখিয়া গিরিবালা মুহূর্তের মধ্যে ঘরের পিছনে অদৃশ্ব হইয় গেল। মানদ রান্নাঘর হইতে তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া আসিয়া দাওয়ায় একখানি মাদ্রর বিছাইয় দিল। দারোগ সাহেব আসন লইয়া সমস্ত শুনিয়া গিরিবালাকে ডাকিলেন। পরণের ছোট কাপড়খানির চারিদিক সাম্‌লাইতে সাম্‌লাইতে সঙ্কুচিত গিরিবালা আসিয়া দাড়াইল। দুই চক্ষুর সমস্ত শক্তিকে একত্র করিয়া সন্ধ্যার স্তিমিত আলোকেও দারোগা সাহেব ভালো করিয়া গিরিবালাকে দেখিয়া লইলেন । মেয়েটি দেখিতে নিতান্ত মন্দ