পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t్సలిసి AJJJJAMMMMAMMMAJSJJJJAJAMJAAAJAJJJJAABJMAJJJAAA AAAAA ব’লতে বোঝা গেল এ জাত-ফরাসী নয়, আর জার্মান বলতে পালে যেন খুসি হয় মনে হ'ল। জিজ্ঞাসা করতেই আমার অনুমান যে ঠিক তা প্রমাণ হ’ল—এর বাড়ী Alsace আলসাস প্রদেশে, নববিজিত জার্মানভাষী অংশে মুলিsfērā (Mulehousen )এ ৷ আমার ভাঙা ভাঙা জার্মানকে মাঝে মাঝে ফরাসীর জোড়াতাড়া দিয়ে খানিক এর সঙ্গে আলাপ করলুম। তার জার্মান জাতীয়ত্ব সম্বন্ধে বেশ সচেতন আর সাভিমান ব’লে মনে হ’ল, আর ফরাসীরা যে এই জার্মান ভাষার—তার মাতৃভাষার—ইস্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করে দিয়েছে, সেবিষয়ে এর যে প্রচ্ছন্ন একটু দরদও আছে, সে-কথা স্পষ্ট করে না বললেও ধরা গেল। এই যুবক যে লেখাপড় ভালো জানে তা নয় ; তবে কবির নাম শুনেছে। জার্মান ভাষার বইও দুচার খান পড়েছে। জার্মান যার মাতৃভাষা তাকে তা জোর ক’রে ভুলিয়ে ফরাসী বানাতে হবে, এই যে ফরাসী সরকারের কার্য্যনীতি আলসাসে অনুস্থত হ’চ্ছে, এর অন্তরালে জার্মান-ভাষী লোকেদের যে চাপা একটা আপত্তি এবং রাগ আছে, সেটা ধুইয়ে ধুইয়ে উঠে আবার যুদ্ধের দাবাগ্নিরূপে হয় তো কোনও দিন দেখা দেবে। এইরকম বৰ্ব্বরতা—একটা জাতের ভাষা আর সভ্যতাকে আর-একটা ভাষার আর সভ্যতার চাপে নিষ্পেষিত ক’রে তাকে ধ্বংস ক’রে দেবার চেষ্টা—এটা অনেক বার অনেক জাতের মধ্যে ঘটেছে ; ইংরেজ এ চেষ্টা করেছে আয়ালণ্ডে, রুষ করেছে পোলাগুে, জাপান এখন নিষ্ঠুরভাবে করছে কোরিয়াতে। ভারতের বাইয়ে প্রায় সব জাত করেছে—ক’রছে। জাহাজের অন্ত চাকর-বাকরদের মধ্যে আনামী রাধুনী আছে, তাদের উপরে ফরাসী হেড-রাধুনি (chef) শেফ। আনামী লোক খুব। এরা সব চুপেসারে নিজ নিজ কাজ ক’রে যাচ্ছে, সকলের মুখগুলি কোনও রকম ভাবদ্যোতক নয়,—মোঙ্গোল ধাজের মুখ, যার থেকে মনের ভিতরের কোনও পরিচয় পাওয়া যায় না বলে। কিন্তু cair###*# ...tira-Rico =>I good humoured, অর্থাৎ খোলাখুলি দিলখুশ প্রাণ, দেখে তাই ব’লেই মনে झीं । ; -

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASASAAAAAS AAAAASAAJJJA JeSeeMMMAMABeMS SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS আমাদের জাহাজ ছাড়লে বৃহস্পতিবার বিকালে। জাহাজের কতকগুলি অফিসারের মধ্যে প্রিয়-দর্শন একটি ভদ্রলোক এসে আমায় বললেন, “মসিও তাগোর-এর যাতে কোনও কষ্ট না হয় আপনারা দেখবেন ।” অামি ধন্যবাদ দিয়ে তার এই কুশল-দেখানার প্রত্যুত্তর করলুম। তারপর তিনি বললেন যে, এই জাহাজে তার একটি বন্ধু যাচ্ছে, সে ফরাসী সেনাদলের অফিসার, নামটি Jean Jacques Neuville ( ঝ"-ঝ্যক্ স্তোভিল্ )। ইনি একজন চিন্তাশীল লেখক, ইংরেজী জানেন, কবির সঙ্গে এর আলাপ হতে পারে কি ? এই বলে এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ভদ্রলোকটি বেশ। অল্প-বয়সী যুবক, মরক্কোতে কিছুকাল ছিলেন, মরক্কোর জীবন আর ওখানকার মুসলমান জগতের ভাব-পরম্পরাকে অবলম্বন ক’রে একখানা উপন্যাস লিখেছেন । এর সঙ্গে ২ ৩ দিন ধ’রে বেশ খানিকক্ষণ ক'রে নানা বিষয়ে আলাপ হ’ল—কতক ফরাসীতে, কতক ইংরেজীতে। ইনি বললেন যে, ফরাসীদের মধ্যে আর ফরাসী পড়ে বুঝত্তে পারেন এমন অন্য ইউরোপীয়দের মধ্যে কবির সম্বন্ধে তার জীবনী তার লেখা ইত্যাদি জানার জন্য খুব একটা কৌতুহল আছে—কিন্তু দুঃখের বিষয় তেমন ভালো বই একখানাও এ পর্য্যন্ত লেখা হ’ল না—যাতে যে পারিপাশ্বিকের মধ্যে কবি বড়ো হ’য়ে উঠেছেন তার একটা স্পষ্ট ছবি থাকে, আর তার সব বইয়ের গোড়া থেকে আরম্ভ ক’রে র্তার ভাবৎ লেখার একটা ধারাবাহিক পরিচয় থাকে, আর আরও ভালো ক’রে খুটিয়ে আলোচনা করতে সাহায্য করার জন্য যথোপযুক্ত প্রমাণ-পঞ্জী থাকে। তিনি ইংরেজ লেখক Thomson (টম্সনের ) ছোটে বই যেখান ভারতবর্ষের এক খৃষ্টীয় মিশনর সম্প্রদায়ের প্রকাশিত একটি গ্রন্থমালার অন্তভুক্ত হয়ে বেরিয়েছে, সেখানা পড়ে দেখেছেন, কিন্তু সে-বইখানি তার আদৌ ভালো লাগেনি—টম্সন-এর সহানুভূতির অভাব আছে বলে তার মনে হয়, আর ভাবে বোধ হয় লেখক কবির ভাষাও ভালো বোঝেন না। আমি বল্লুম যে, তিনি অনুমান করেছেন ঠিক, আর টম্সন হালে আর-একখানা বই বা’র করেছেন, সেটা অারও বড়ে, কিন্তু সেটাও ভালো হয়নি—বইখানাতে খবর যা আছে তা বেশীর ভাগ পরের কাছ থেকে নেওয়া