পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আর লেখক কিছু ভালো করে না বুঝে কেবল নগ নেড়ে গল্পীপন ক’রেছেন যেন তিনি মস্ত একজন সমঝদার । রবীন্দ্রনাথ এখন আমাদের এত কাছে আছেন যে, আমরা ক্টকে জাৰ্ম্মান পণ্ডিতের অমুমোদিত পথ ধ’রে তার জীবনীকগ। আর তার কাব্যকথা বিশ্লেষ ক’বৃতে পারি না। তবে আমাদের লেখকদের মধ্যে দু-চার জনে তার সম্বন্ধে ছোটোপাটো প্রবন্ধ লিখে তার কবি-প্রতিভার দিগদর্শন করাতে চেষ্টা করেন—যদিও বড়োভাবে কেউ কিছু করেন নি। আর আমাদের মধ্যে দু-চার জন আমাদের বয়সের রসঞ্জ বিদ্বান ব্যক্তি আছেন, যার নিজেদের মাতৃভাষার সাহিত্য বেশ ভালো জানেন, তার ঐতিহাসিক চচ্চা ও ক’রেছেন, আর তার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃত আর এক বা একাধিক ইউরোপীয় সাহিত্যের রীতিমত ভাষাজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেছেন, —সামখেয়ালী ভাবে নয়, discipline হিসাবে অর্থাৎ উদেশ্ববান শৰ্মশাল শিশিক্ষু হয়ে আলোচনা করেছেন,= আমাদের আশা আছে যে, তার রবীন্দ্রনাথের কাব্য-প্রতিভাকে শিক্ষিত অভিরূপোচিত রস-বিশ্লেষের দ্বার, বিশ্বের রসিক লোকের সামনে অনেকট এই প্রতিভারই উপযুক্ত প্রয়োগবিজ্ঞানের দ্বার উপস্থিত করতে পারবেন । স্বদেশবাসী ৪ বিশ্ববাসী যাদের কাছ থেকে এই কাজ আশা করতে পারে, তাদের মধ্যে বিশেষ ক'রে সুদৃদ্ধর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্ৰীক্ত সুশীলকুমার দে, আর প্রাক্ত স্থবোধচন্দ্র মুখোপাপ।ায়ের কপাই মনে হ’চ্ছিল । বিদ্যাপতি-সম্পাদক বঙ্গসাহিত্যিকাগ্রগণ্য শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীদন্ত নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত মহাশয় কর্তৃক লিখিত রবীন্দ্রনাথের সম্বন্ধে যে উপাদেয় প্রবন্ধটি গত জুলাই মাসের মডার্ণরিভিউতে প্রকাশিত হয়েছে, যাতে অন্য বিধয়ের মধ্যে কবির “উৰ্ব্বশী” কবিতার একটি চমৎকার ইংরেজী অনুবাদ আছে, আর বাঙলা তথা বিশ্বসাহিত্যের ঐ চরম রসসৃষ্টিটির একটি সম্পূর্ণ সৌন্দৰ্য্য-বিচার আছে, সেটি মডার্ণ-রিভিউ থেকে ছিড়ে নিয়ে সঙ্গে রেখেছিলুম, দরকার হলে যোগ্য পাত্রের কাছে তার আলোচন ক’বো ব'লে। সেটি আমার হাতে কাছেই ছিল, আর ছিল সঙ্গে সঙ্গে পরলোকগত রবিদত্তের কৃত ঐ “উৰ্ব্বণী" কবিতারই আর একটা অনুবাদ-এই ছটা ঐযুক্ত হোভিল-কে পড়তে দিই। তিন দিন এই প্রবন্ধ لا: سسسسوا ما لا যবদ্বীপের পথে هن سرا আর অনুবাদ তিনি রাখেন, চতুর্থ দিনে বললেন যে তার চমৎকার লেগেছে,—এগুলি যদি আমি তাকে স্বত্বত্যাগ ক'রে দিতে পারি তাহলে অতি আনন্দের সঙ্গে তিনি গ্ৰহণ ক'রে নিজের কাছে রাখেন। বসু বাহুল্য, আমি তাকে এগুলি তপনি দিয়ে দিলুম। কবির সঙ্গে হোভিল-এর আলাপ করিয়ে দিলুম। টু-একদিন অনেকক্ষণ ধরে কবির সঙ্গে এর কথাবাৰ্ত্ত হয় —বিশেষ ক’রে ইউরোপের আজ-কালকর &ড়াইয়ের পরের অবস্থ নিয়ে—কোন দিকে ইউরোপের মনের গতি এখন চ'লছে, শেয়ং কি, কি ক’রে তার সাধনা চ’লতে পারে— এই সব বিষয় নিয়ে । একটা বিষয়ে ইনি কবিকে একট প্রশ্ন করলেন— (yellowperl) পীতাঙ্ক ব, পীত-ভয় অর্থাৎ চীন জাত থেকে কোন ও সত্যিকারের আশঙ্ক ইউরোপের আছে কি ন । কবি বললেন, peril ব’ল্লে যে কথা বোঝায়, যে, একটি শক্তিশালী জাত তার মানোয়ারী জাহাজ, তার সেপাই বন্দুক কামান, তার মিশনারী ঔপনিবেশিক বেনে, সত রাজ্যের গোক শঙ্কর নিয়ে আর একটি জা’ত, যে জা’ত মোটেই এদের চায় না, তার ঘাড়ের উপর একটি উৎপাতের মতে প" আর তার মধ্যে একটা কায়েমী স্থান নিয়ে আরব) রজনীর সিন্দুবাদের উপাখ্যানের (Old Man of the Sea) সাগর পারের দ্বীপের বুড়োর মতন তার ঘাড়ে চেপে গু-হাতে তার গণ-টিপে রেপে গট হ’য়ে ব’সে রইল, এই যে (predatory instinct) cez sfs söi z’as žētaistą জা’তেরক্ট কীৰ্ত্তি। ইউরোপ এই ক’রে সারা দুনিয়াটার উপরে চেপে বসে আছে, জগতে একটি মস্ত সত্যিকারের white pril রয়েছে । এশিয়ার কোনও জাত কখনও এমন করতে চেষ্টা করেনি—হালে যদি কেউ ক’রে থাকে তো কোরিয়াতে জাপান করেছে, তাও ইউরোপের অনুকরণে। চীনের শাস্ত শিষ্ট জাত—এরাই একমাত্র সভ্য জাত যাদের মধ্যে কাটাকাটি যাদের ব্যাবসায় এমন সৈনিক-সেনানীর স্থান সমাজে উচ্চ স্থানে কস্মিন-কালেও ছিল না—সেপাইকে এরা ভারাটে গুণ্ড আর গলাকাটার সামিল ক’রে দেখেছে । এই চীন চায় যে, সে তার নিজের বিরাট দেশের মধ্যে তার প্রাচীন রীতিনীতি নিয়ে নিজের