পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] মনোনিবেশ করছিলেন ও মান ষড়যন্ত্রে যোগ न्डि স্বর করেছিলেন । ধৰ্ম্মপ্রচার চললেও মহানুভব ভিক্ষুদের ংখ্যা কমে আসছিল। ঠিক এই সময়ে ( খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে জাপানে দু'জন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির আবির্ভাব হয়। এদের নাম দেঙ্গীয়ে (Dengyo) সনেট-গুচ্ছ b-8a ও কো-বো। এরা এসেই জাপানের উন্নতির দু'টি নূতন ধারার সৃষ্টি করেন ও সেই ধারা বেয়ে জাপান বড় হ'য়ে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে তার শো-তোকুর ইচ্ছাই পূর্ণ করেন। দেঙ্গীয়া ও কো-বোর কীৰ্ত্তিকলাপ ও কো-বোর প্রতিষ্ঠিত কোইয়াসান আশ্রমের কথা বারান্তরে বলবার ইচ্ছা থাকুলো । সনেট-গুচ্ছ শ্ৰী মোহিতলাল মজুমদার পয়ার মঞ্জীর পুলিয় রাখ, অয়ি ভাষা ছন্দ-বিলাসিনী ! কত কাল নৃত্য করি ভুলাইবে মধুমত্ত জনে— দোলাইয় ফুলতল্প, ভুরু-পকু বাকায়ে সঘনে, চপল-চরণ-ভঙ্গে মজাইবে, মুকুত-হাসিনী ? আনো বীণা সপ্তস্বরা~—স্বৰ্ণতন্ত্রী, তন্দ্রী-বিনাশিনী, উদার উদাত্ত গীতি গাও বসি হৃদ-পদ্মাসনে— ঘে-বাণী আকাশে উঠে, শিখা যার হোম-হুতাশনে, পশে পুনঃ রসাতলে—মানুষের মৰ্ম্ম-নিবাসিনী ! করি উচ্চ শঙ্খধ্বনি, এনেছিল শ্ৰীমধুসূদন পয়ারের মুক্তধারা এ বঙ্গের কপিল-আশ্রমে, ‘বলাকার মুক্তপক্ষ গতি-ভঙ্গী ধরিয়া নুতন পশিল সে মহাহর্ষে সঙ্গীতের সাগর-সঙ্গমে ! এখনো শুনিব শুধু নিবরের নূপুর-নিক্কণ ? কোখায় জাহ্নবী-ধারা—কুলে যার দেবতারা ভ্রমে ? পৌর্ণমাসী আজ দীর্ঘ পৌর্ণমালী যাপিয়াছি বিজন-বাসরে— সুন্দরের কোজাগর, নিদ্রাহীর নিদাঘ-শর্করী ! পরিণাম-রমণীয় দিবসের দীপ্তি অমুসরি’ উঠেছিল পূর্ণশশী মেঘমুক্ত গাঢ় নীলাম্বরে। বিধু পিয়াইল সবে জ্যোৎস্না-সীধু যামিনী-অধরে— খুলে ছিড়ে খসে গেল তারকার দিঘী সাতনরী ! তার পর সম্বরিল নীবি-বাস চমকি শিহরি’— হেরিয়াছি সেই রঙ্গ রূপসীর, প্রতরে প্রহরে ! শেষ হ’ল সুদাপান,—মান হাসি আরও যে মধুর : পাণ্ড, কপোলতলে পূৰ্ব্বাশার আসন্ন আভাস, একটি অশ্রুর মুক্ত দোলে হের, নয়নে বধূর— পূর্ণ-সুখ পূর্ণিমার মুখে যে কি মাধুরী উদাস ! অস্ত গেল নিশানাথ, বনে বনে পড়ে দীর্ঘশ্বাস, দিগন্তে ছড়ায়ে প’ল বিধবার কোঁটার সি দুর! ভোরের আলেী নিশা অবসান হ'ল । যত পার্থী আছিল যেখানে ডাকিতেছে একসাথে, আননের কি কলকুজন – দিকে দিকে মৌন-স্তব্ধ অঙ্গরার নুপুর-নিক্কণ স্ফটিক-আকাশে যেন সচকিত প্রতিধ্বনি হানে! বাতায়নে দাড়াইল্প শয্যা ত্যজি উষার আহবানে, শিশুর ক্ষীরাধুগন্ধী অধরের হাসি অতুলন হেরিলাম দিবামুখে—প্রভাতের প্রথম কিরণ, নিষ্কলঙ্ক,বর্ণহীন—শুধু আলো, নিশা-অবসানে!