পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ۷۰۹ م. م. م. م , , , , -- স্তুপের মধ্যে বাস করিতে বিলুমাত্র আপত্তি দেখা যায় a । প্রভা প্রায়ই দেখিত ঐ মুগন্ধে আমোদিত গলির ময়লার রাশের মধ্যে কোনো মতে একটুখানি স্থান করিয়া লইয়া কোনো একটি বৰ্ম্মিনী লোহার উকুনে রান্না করিতে বসিয়া গিয়াছে। উপর হইতে এখনি যে তাহার ডেকচিতে অতি অকথ্য রকম ময়লা আসিয়া পড়িতে পারে, সেদিকে তাহার লক্ষ্যই নাই। দেখিয়া প্রভার গা ঘিন ঘিন করিয়া উঠিত, ভাবিত, “তোমরা কেবল পালিশ ক’রে খোপা বাধতে, আর রং বেরঙের রেশমী লুঙ্গি পৰ্বতেই শিপেছ, কিন্তু আসলে এতবড় পেত্নীর জাত জগতে নেই।” এ বাড়ীটিতে ময়ল ফেলিবার গলি নাই, দেখিয়া সে খুসিই হইল। পিছনে একটা উঠানের মত জায়গা, সেখানে তিন চার সার তারের উপর নীন রংএর এবং নানা ফ্যাশনের কাপড় শুকাইতেছে। কোথাও পোপার অাদুড়া আছে। উঠানের পরেই কতক, গুলি কাঠের ঘর, তাহাতে বাড়ীওয়ালার দারোয়ান চাকর প্রভৃতি থাকে, দুচার ঘর গরীব ভাড়াটিয়াও থাকে। প্রভার আগমন জানিতে যে এ পাড়ায় কাহারও বাকি নাই, তাহ সে বাহির হইয়াই বুঝিতে পারিল। কাঠের ঘরের দোতল হইতে একটি পশ্চিমী মুসলমান স্ত্রীলোক তাহাকে এক দুষ্টে দেখিতেছিল। তাহার কোলে একটি ক্ষুদ্র শিশু । স্ত্রীলোকটির বয়স হইয়াছে, সাম্নের চুল কিছু কিছু পাকা । প্রভাও তাহাকে লক্ষ্য করিতেছে দেখিয়া, সে ভাব জমাইবার ইচ্ছায় এক গাল হাসিয়া বলিল, “সেলাম, আন্ম৷ ” কি ভাবে তাহার সহিত আলাপ করিবে ভাবিতেছে এমন সময় ঘোরতর কালে রংএর একটি মন্দ্রিাজী বালিকা, এক রকম ছিটকাইয়াই ঘর হইতে বাহির হইয় পড়িল। উঠানের মধ্যে পড়িয়া, পা আছড়াইয়া সে যেরকম তারস্বরে চীৎকার আরম্ভ করিল, তাহাতে বোঝা গেল ঘরের ভিতর একটা বিষমরকম বিপ্লব বাধিয়া থাকিরে। হঠাৎ পাশের বারান্দায় সেই কালো মেমসাহেব আসিয়া দাড়াইল। চীৎকার করিয়া বলিল, “এ মাজাজী শুষ্কারক জাত, ক্যা দিনরাত চিল্লা-চিল্লি কর্তা ? চুপসে রহে ।” তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়াই বালিকার অমন প্রবল আৰ্ত্তনাদ একেবারে থামিয় গেল। তাহার মাও তাড়াতাড়ি বাহির ذدسسه د SAJJAJJASAJJJSAASAASAA AAAS উগ্ৰচণ্ড প্রভা বুঝিল পাশেই Ꭽ☾Xy হইয়া আসিয়া মেয়েকে হিড়বিড়, করিয়া টানিয়া ঘরের ভিতর লইয়া গেল। প্রভার মেয়েও মায়ের পাশে আসিয়া দাড়াইয়াছিল, দুজনের দিকে আগের মত গম্ভীর ভাবে হঠাৎ বীরগনায় সেই কালে মেম সাহেব আসিয়া দাড়াইল তাকাইয়া মেমসাহেব ঘরে চলিয়া গেল। প্রভা দেখিল, মহিলাটি মিথ্যা খ্যাতি অর্জন করেন নাই। গালাগালির ওস্তাদী অস্তুতঃ তাহার যথেষ্টই আছে। সেদিন আর উগ্ৰচণ্ডার বিশেষ সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। বেলা বারোট-একটায় দরজা জানলা বন্ধ করিয়া তিনি গাড়ী চড়িয়া কোথায় যেন বাহির হইয়া গেলেন। রাত্রে প্রভার ঘুমাইবার পর ফিরিয়া থাকিবেন, কারণ, তাহার আগমন-সংবাদ তাহারা জাগিয়া থাকিতে আর পাইল না। পরদিনও দিনের বেলাটা একরকম কাটিয়া গেল, সন্ধ্যার সময় পাশের বাড়ীতে আবার আসর জমিয়া উঠিল। কলহের ।