পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-Qや SMAeeAMAMAMAMMMAAA AAAA AAAASSAAAAAAS AAAAA AAAA AAAASAAAA মেম সাহেব ঘরে ঢুকিলেন এবং মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই বাহির হইয়া আসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে একটা খালি condensed milk এর টিন ঠন্‌ করিয়া গাড়ীওয়ালার কামানো মাথার উপর আসিয়া পড়িল। দর্শকবৃন সমস্বরে হৈ হৈ করিয়া উঠিল। গাড়োয়ান সুবিধা নয় দেখিয়া তৎক্ষণাৎ গাড়ীর উপর চড়িয়া বসিল এবং মেম সাহেবের উদ্দেশে অতি অশ্রাব্য গালিবর্ষণ করিতে করিতে গাড়ী হাকাইয়া দিল । “হাম অভিযাতা থানামে রিপোর্ট করনে কো।” রাস্তার লোকে হাসিয়া বিদায় হইল । প্রভা বলিল,”লক্ষ্মীছাড়ীকে চুলের মুঠি ধ’রে কেউ আচ্ছা করে দু-ঘা দেয় ত আমি তাকে বকৃশিস দিই। সবাই এটাকে এত ভয় করে ব’লে এর আস্পদ্ধা আরো বেড়ে যাচ্ছে। আজ গাড়োয়ানকে মারছে, কাল ভদ্রলোককে ঠ্যাঙাৰে ।” হীরেন বলিল, “পুরুষ মামুযের জাত কি রকম chivalrous দেখলে ? টিন ছুড়ে মারলেও ফিরে মারে না ।” প্রভা বলিল, “মুখে আগুন chivalryর । ওটা কি মেয়ে মানুষ নাকি ? আর জন্মে ভালুক ছিল নিশ্চয়।” মেমসাহেবের মেজাজ বড় অল্পেই ওঠে-নামে দেখা গেল। চা খাইয়া, সামূনের ঘরে আদিতেই প্রভা শুনিতে পাইল তিনি বেশ মোলায়েম গলায় আয়াকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, বেবী রাত্রে এত কান্নাকাটি করিয়াছে কেন ? প্রভা ভাবিল, “একটু মেয়ে মামুষের প্রাণ ধড়ে আছে দেখছি ।’ আয় ফিরিয়া আসিয়া খবর দিল মেমসাহেবের বেশ ভাল ওষুধ জানা আছে বাচ্চাদের পেট-ব্যথার। দরকার হইলে তাহার কাছ হইতে আনা যাইবে। দিনের পর দিন কাটিয়া চলিল। উগ্ৰচণ্ডার কল্যাণ মাঝে মাঝে বিন। পয়সায় তামাসা দেখা যাহত বলিয়া প্রভার দিনগুল নিতান্ত একঘেয়ে ভাবে কাটিত না । বারাণায় চেয়ার লইয়া বসিয়া সে ইহার কাও-কারখানা দেখিত । সাহেবটির বিশেষ কাজ কৰ্ম্ম না থাকায়, তিনিও বেশীর ভাগ সময় বারান্দায় দাড়াইয় আসের-পাশের লোক দেখিতেন ; তাহার উৎপাতে প্রভাকে মাঝে মাঝে ঘরে চলিয় আসিতে হইত। তবে স্ত্রী ঘরে থাকিলে সাহেব প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড AJSJAAMAMAMAMMMAMMMAMMAMAMJJJASAJJAMMMMeMJMMMAMM MAMMeMM MMSAASAAAS AASAASAASAASAA AAAAMSMSMAAA AAAA AAAA AAAASASASS *^y- ു.'\.-ു.- _ ভরসা করিয়া আর প্রতিবেশিনী দর্শনে বাহির হইতেন না। সাম্নের ঘরে একটা গ্রামোফোন শোভা পাইত, তাহাতে বিলাতী হালকা নাচের সুর বাজাইয়া, মনের দুঃখে একলাই ঘরময় নাচিয়া ফিরিতেন। মেম সাহেব ইচ্ছা করিলেই নাচের দোসর হইতে পারিতেন। কিন্তু তাহার সেরূপ কোনো ইচ্ছা দেখা যাইত না । পিছনের ঘরে সেলাইয়ের কল টানিয়া লইয়া বসিয়া তিনি অত্যন্ত উৎসাহ-সহকারে শেলাই করিয়৷ ঘাইতেন, এবং মাঝে মাঝে চীৎকার করিয়া স্বামীর নাচের তাল ভঙ্গ করিয়া দিতেন । কত রকম-বে-রকমের মানুষই যে ইহার কাছে পোষাকের অর্ডার দিতে আসিত, তাহাও প্রভার এক দেখিবার জিনিষ ছিল। দুইটি অতিকায় মেমকে প্রায়ই দেখা যাইত। তাহাদের দোতলার সিড়ি উঠতেই লাগিত পুরা দশ মিনিট। তারপর মিনিট পাচ চেয়ারে বসিয়া তাহার। হাপাইতেন, অতঃপর আসিত কাজের কথা । অন্ত মানুষে যেমনই কাপড়ের ফরমাইশ দিক, ইহার। সৰ্ব্বধাই খুব ডগ ডগে রঙের পাতলা কাপড়ের পোষাকের ফরমাইশ দিতেন। তাহার ঘাঘরা হইত অতি ছোট, এবং উপরেও যে খুব বেশী কিছু থাকিত তাহ নহে। উগ্রচও খুব গম্ভীরভাবে ইহাদের কথা শুনিয়া যাইতেন, সম্ভবতঃ ইহারাই র্তাহার সবচেয়ে বড় মানুষ খরিদার, কাজেই খাতির ন! করিয়া উপায় ছিল না। কিন্তু তাহারা চলিয়া যাইবার পর প্রায়ই ইহার ছাড়িমুখে একটু হাসি দেখা যাইত । । সেদিন সন্ধ্যাট বর্ষাকালের পক্ষ বেশ একটু পরিষ্কার ছিল । এমন সময়টা বিফল হইতে না দিয়া প্রভ আর হীরেন বেড়াইতে বাহির হইয়া গেল। তাহাদের মেয়ে অনেক আগেই তাহার চট্টগ্রামবাসী বাহনটির কাধে চড়িয় ভ্রমণে চলিয়া গিয়াছিল। বাড়ী আগ লাইতে রহিল কেবল আয়া। বেড়াইয় এবং বায়োস্কোপ দেখিয় প্রভার যখন ফিরিয়া আসিল, তখন রাত প্রায় ম’ট । গাড়ীখন বাড়ীর কাছাকাছি আসিতেই হীরেন বলিয়া উঠিল, “ওরে বাপ রে, বাড়ীর সামনে লোক ত মন জমা হয়নি, ব্যাপারু থানা কি ?”