পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ъсъ. SAMAAA AAAAS AAAASS আরম্ভ করিলেন। নীচের ভীড়ের মধ্যে খুব অবাধে হাসি টিট কারি চলিতেছে দেখিয়া সাহেব একবার স্ত্রীকে ঘরে লইয়া যাইবার জন্য হাত ধরিয়া একটান দিল, কিন্তু প্রবল এক গুতা খাইয়। তৎক্ষণাৎ ঘরের ভিতর চলিয়া গেল । প্রভা বলিল, “আয়াটা গেল কোথায় ? খুকী ত দিব্যি শুয়ে ঘুমচ্ছে।” চাকরের কাছে খোজ লইয়। জানা গেল, নীচের তলার মাজাজী স্ত্রীলোকটির হঠাৎ কি অসুখ হওয়ায় তাহার মেয়েট আসিয়৷ আয়াকে ডাকিয়া লইয়া গিয়াছে । সে তখন হইতে আর উপরে আসে নাই। চাকরকে বলিয়া গিয়াছিল, খুকী কান্নাকাটি করিলে তাহাকে যেন ডাকিয় আনে। খুকী নিশ্চিন্ত হইয়। ঘুমাইতেছে দেখিয়া চাকরও আর তাহাকে ডাকিতে যায় নাই । প্রভা বলিল, “যা গিয়ে ডেকে আন । দিব্যি বসে আড্ডা দিচ্ছে আর কি ?” চাকর নীচে চলিয়া গেল আয়াকে ডাকিতে। একটু পরে আয় তাহার সহিত উপরে আসিয়া উপস্থিত হইল । প্রভা শুনিল মান্দ্রাজী স্ত্রীলোকটির হঠাৎ প্রসববেদনা উপস্থিত হইয়াছে, কিন্তু ঘরে তাহার স্ত্রীলোক আর কেহই নাই। অগত্য সে আয়ার শরণাপন্ন হইয়াছে। গৃহিণীকে বহুৎ সেলাম জানাইয়া সে অনুরোধ করিতেছে যেন আয়াকে আজ রাতট। তাহার কাছে থাকিতে দেওয়া হয়। প্রভ আয় দ্বিরুক্তি মাত্র না করিয়৷ তাড়াতাড়ি আয়াকে নীচে -পাঠাইয়। দিল । রাত্রেও দুই একবার সে নীচের তলার কাত রানির শব্দে জাগিয়া জাগিয়া উঠিতে লাগিল । সকালে উঠিয়া দেখিল আয় কখন আসিয়া স্নানাদি করিয়া কাজে লাগিয়া গিয়াছে। প্রভা তাড়াতাড়ি তাহার কাছে গিয়া জিজ্ঞাস করিল, “ওর বাচ্চ হ’য়ে গেছে ? কি বাচ্চা হ’ল ? ছেলে না মেয়ে ?” আয় বলিল, মেয়েই হইয়াছে। তাহার গলার স্বরে ভয়ানক একটা নিরুৎসাহ প্রকাশ পাইল। প্রভা ভাবিল, ছেলে না হইয়া মেয়ে হইয়াছে, তাই বুঝি এত দুঃখ । সে বলিল, “Lছলেও যা মেয়েও তা । মেয়ে হ’লে কি আর হয়েছে ?” আয় বলিল, সুস্থ সবল মেয়ে হইলে ত কথাই ছিল so প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড SMMSMMAMMMMMAMASAJS না। কিন্তু এ মেয়ে হইয়াছে কুৎসিৎ বিকলুঙ্গি, এ বাচিয়া থাকিলে মা বাপের অশেষ দুঃখের কারণ হইবে । প্রভা দুঃখিত হইয়া বলিল, “ওম, তাই নাকি ? আমি আবার মেয়ে দেখতে যাব ভাবছিলাম।” আয় বলিল, “যেয়োন মা, ওর মা লজ্জা পাবে, এমন মেয়ে হওয়া মায়েরই লজ্জা । কেউ দেখতে গেলে বড় কান্নাকাটি করবে। তার খুব জর এসেছে, এখন চুপচাপ থাকাই ভাল।” প্রভা জিজ্ঞাসা করিল, শিশুটি কি রকম বিকলাঙ্গ । আয়া বলিল, তাহার ঠোট কাটা, এবং একটা পা বাকা । জন্ম গ্রহণ করিতে সে মাকে অত্যন্ত যন্ত্রণ দিয়াছে। মেয়ের বাবা এমন সস্তান হওয়াতে রাগ করিয়া বাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছে, স্ত্রীলোকটিকে দেখিবার কেহ নাই । প্রভা বলিল, “কি সৰ্ব্বনাশ! মানুষ এমন শয়তানও হয় ? এই নে ছুটে টাকা, মেয়ে মানুষটাকে দুধটুধ কিনে দিয়ে আয় । তার কাছে এখন কে আছে ?” আয় বলিল যে, উপর তলার মুসলমানী এখন আছে, সে এখনও খানিকক্ষণ থাকিতে পারিবে, দুপুরে আয় যাইবে । ততক্ষণে আশা করা যায়, স্ত্রীলোকটির গুণধর স্বামী ফিরিয়া আদিবেন। আয় টাক লইয়া দুধ ইত্যাদি কিনিতে চলিয়া গেল । প্রভা শয়নকক্ষে ফিরিয়া যাইতেছে, এমন সময় মেমসাহেবের গলা শুনিয় দাড়াইয় গেল । তিনি চীৎকার করিয়া কাহাকে যেন জিজ্ঞাস করিতেছেন, মান্দ্রাঞ্জী আওরতের কি বাচ্চা হইয়াছে। উপর তলার সেই মুসলমান মেয়েটি তাহার কথার উত্তর দিয়াই তাড়াতাড়ি ভিতরে চলিয়া গেল। মেমসাহেবের কৌতুহল তখনও চরিতার্থ হয় নাই বোঝা গেল, কারণ তিনি সব বিষয় বিশদভাবে জানিবার জন্তই বোধ হয় পিছনের লোহার সিড়ি দিয়া নামিতে আরম্ভ করিলেন। প্রভা খানিকক্ষণ বারান্দায় দাড়াঃ য়াই রহিল। নীচের তলায় অকস্মাৎ ভয়ানক চেঁচামেচি সুরু হইয়া গেল। হিন্দি, ইংরেজী এবং তামিল ভাষার ঝড়ের মধ্যে সে বুঝিয়াই উঠিতে পারিল না যে, ব্যাপার কি হইতেছে। কিন্তু মেম সাহেবের গলা চাপ পড়িবার নয়, তাহার মিহিমুরের