পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b^ురి AMA AAJJAMAAASA SAAAAS AA SAASAASAASAA AAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAMAJSAASAASAASAASAA প্রভা দুঃখ করিয়া বলিল, “আহা, মেয়েটি নেই বুঝি ?” মেয়েটি ঘাড় নাড়িয়া বলিল, “না।” এ বিষয়ে তাহার কথা বলিতে হয় ত কষ্ট হইতেছে মনে করিয়া প্রভা ঘরে চলিয়া গেল । আয়ার অতটা ভদ্রতা জ্ঞান ছিল না, সে দাড়াইয়া কথা বলিয়াই চলিল। উগ্ৰচণ্ডার অনেক কথাই সেদিন সে শুনিয়া আসিল । অল্প বয়সে ইহার এক মাতাল মান্দ্রাজী সাহেবের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাহার টাকা ছিল অনেক, কিন্তু মদ খাইয়া সে প্রায় সবই উড়াইয়া দিয়াছিল। মেমের বয়স তখন অল্প, এতখানি মেজাজও হয় নাই, স্বামীকে সে ভয় করিয়াই চলিত, তাতার প্রহারও মুখ বুজিয়া সহ করিত । বিবাহের তিন চার বৎসর পরে ইহার একটি সন্তান হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে সে জন্মিল বিকলাঙ্গ হইয়া। সাহেব ত রাগে প্রায় পাগল হইয়া উঠিল, এবং রাগটা ঝাড়িল সবই স্ত্রীর উপর। শিশুর উপর ঝাড়িতেও তাহার আপত্তি ছিল না, কিন্তু স্ত্রী মাঝে পড়িয়া সব রাগটা নিজের গায়ে টানিয়া লইত, কাজেই ছোট মেয়েট বাচিয়া যাইত। এই রুগ্ন বিকলাঙ্গ শিশুকে কেহই দেখিতে পারিত না, ভালবাসিত না, তাই সে যেন মায়ের বড় একান্ত আপনার ধন হইয়া উঠিয়াছিল। ব্যাস্ত্রীর মত হিংস্র স্নেহে সে সন্তানকে আগলাইয়া থাকিত, কাহাকেও মেয়েকে দেখিতে শুদ্ধ দিত না। স্বামী বাড়ী হইতে বাহির হইলেই সে মেয়ের জন্য শেলাই করিতে বসিত। সেলাইয়ে হাত ছিল তাহার অসাধারণ। পাড়ায় এত সুন্দর পোষাক আর কোনো শিশুর ছিল না। কিন্তু হায়, এমন অসাধারণ কুৎসিৎও আর কোনো শিশু ছিল না। মেয়েকে সাজাইয়া-গুজাইয়া সে ঘরের ভিতরই লইয়া ফিরিত, কখনও কাহারও সামনে বাহির করিত না। কিন্তু হতভাগিনীর ভাগ্যে এই সামান্ত মুখটুকুও সহিল না। অতিরিক্ত মদ খাইয়া আসিয়া সাহেব একদিন কন্যাকে খাট হইতে ঠেলিয়া নীচে ফেলিয়া দিল। দুৰ্ব্বল প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ SAJJAMMMMMAMMJMMA SAJSJJJJJSJJMMMAMJSMSMMMSMSMSMAJM MAJJMMSAAAAAAAS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড শিশু এ আঘাত সাম্‌লাইতে পারিল না, তাহার জীবন-দীপ সেইখানেই নিভিয়া গেল। উগ্ৰচণ্ডার জ্ঞান হইল পরদিন থানার এক ঘরে। সে না কি স্বামীকে কাঠ কাটিবার দা দিয়া এমন এক ঘ লাগাইয়াছে যে, তাহার এখন জীবন সংশয়, সে হাসপাতালে আছে । বিচারে অবশ্য সে খালাস পাইল, কিন্তু স্বামীর ঘর, আর তাহাকে করিতে হইল না । যে আইনের বন্ধনে সে বাধা ছিল, সে আইনই তাহাকে স্বামীর কবল হইতে মুক্ত করিয়া দিল । -খাওয়া পরার ভাবনা তাহার হইল না, সেলাই করিয়৷ সে বেশ উপার্জন করিতে লাগিল। কিন্তু স্বভাব তাহার একেবারে বদলাইয়া গেল। মানুষ জাতটাকেই সে যেন কাটিয়া-কুটিয়া শেষ করিতে পারিলে বাচে। পুরুষ মানুষ দেখিলে তাহার হাড় জালা করিত, সুস্থ সুন্দর শিশু দেখিলে সে ঘৃণায় মুখ ফিরাইত। তাহার মুখও যেমন খুলিল, হাতও তেমনি চলিল । অথচ এমনি মানুষের মন, যে, মানুষকে এত ঘৃণা করা সত্ত্বেও সে নিঃসঙ্গ থাকিতে পারিল না। বসিয়া খাইবার লোভে এই সাহেব ছোকরা তাহাকে বিবাহ করিয়াছে এবং অদ্যান্য খাদ্যের সঙ্গে মারও দিব্য খাইয়া চলিয়াছে। ছোট বোনেরও থাকিবার জায়গা নাই, তাই সেও এখানে পড়িয়া মার হজম করে । এমন সময় বড় মেমসাহেব বাজার করিয়া ফিরিয়া আসিলেন । বোনকে দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া চীৎকার zofol afloor, “What are you staring at like an owl ?” সে বেচারী তাড়াতাড়ি ঘরের ভিতর পলাইয়া গেল । প্রভা ভাবিল, বাহিরটি ত কালো পাথরের পাহাড়, কিন্তু আজ ইহার অস্তরের স্নেহনিঝরিণীর সন্ধান পাওয়া গেল। কত কালের হারানো মেয়ের স্মৃতি আজও তাহাকে মাঝে মাঝে নারীর আসনেই টানিয়া আনে। ইহার পর হইতে উগ্ৰচণ্ডীকে গাল দেওয়া সে ছাড়িয়াই দিল ।