পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] সম্পাদকের চিঠি Գs রবিবার, লীগের সব অফিস বন্ধ থাকিবে । লওনে স্যার অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় এই স্বপরামর্শ দিয়াছিলেন, যে, ২১ দিন আগে গিয়া আবশ্বক মত লীগের কোন কোন কৰ্ম্মচারীর সহিত পরিচয় করিয়৷ লওয়া ভাল । সেইজন্ত আমি ১লা সেপ্টেম্বর লগুন হইতে রওনা হইব ভাবিয়াছিলাম । সেই দিনের জন্ত টিকিটও কেনা হইয়াছিল । যিনি টিকিট কিনিতে গয়াছিলেন, তাঙ্গকে আমার বসিবার জায়গা রিজার্ত করিতেও বলিয়াছিলাম। কিন্তু কোন কারণে তাহা না হওয়ায়, বসিবার জায়গা না পাইতেও পারি ভাবিয়া, দোসরার জন্ত জায়গা রিজার্ত করিয়া তবে রওনা হই । বিদেশে অল্পদুর যাইতে হইলে আমি অধিকাংশ স্থলে তৃতীয় শ্রেণীতে যাইতাম, দু’এক স্থলে দ্বিতীয় শ্রেণীতেও গিয়াছি ; কিন্তু বহুদূর যাইতে হইলে প্রথম শ্রেণীতে যাইতাম । যাহাজের বয়স বেশী এবং স্বাস্থ্যও খুব ভাল নয়, বিদেশে তাহাদের যথাসাধ্য সাবধান হওয়া ভাল । এইজন্তু প্রথম শ্রেণীর টিকিট কিনিয়াও, আমি জায়গ রিজার্ভ না করিয়া রওনা হই নাই । শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচৰ্য্য আশ্রমের ভূতপূৰ্ব্ব শিক্ষক শ্ৰীমান্‌ শশধর সিংহ এবং আমেরিকায় শিক্ষাপ্রাপ্ত ( বর্তমানে রেজুনপ্রবাসী ) ঐমান ডাক্তার স্ববোধকুমার নাগ, এম-ডি, আমার জিনিষপত্র ওজন করাইয়া আমাকে ভিক্টোরিয়া ষ্টেশনে গাড়ীতে তুলিয়া দিলেন। লওনের ভারতবর্ষ-সংক্রাস্তু একটি অফিসের অন্যতম কৰ্ম্মচারী ক্রমান নলিনীকান্ত রায় গাড়ী ছাড়িবার আগেই আসিয়া জুটিয়াছিলেন । ইহার ও অন্ত ২১ জন বাঙালী যুবক লণ্ডনে আমার অঙ্ক সাহায্যও করিয়াছিলেন । অধ্যাপক স্বরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত মহাশয় আমেরিক রওনা হইবার জন্ত ব্যস্ত ছিলেন ; তাহার নিকট হইতে আগেই বাসায় বিদায় লইয়াছিলাম। যে ট্রেনটিতে উঠিলাম, তাহ ডোভার পর্য্যস্ত যাইবে । তাহার পর জাহাজে ইংলিশ প্রণালী পার হইয়া ক্যালেতে আর-একটা ট্রেনে উঠিয়া প্যারিস ধাইতে হইবে । প্যারিস হইতে জাবার আর-একটা ট্রেনে জেনীভা। ডোভার*ीभौ dन िcाशिणाभ cव* श्रांब्रांभजांब्रक । षांजौcमब्र প্রত্যেকের জন্ত খুৰ পরিষ্কার গদী অাট: এক-একটি চেয়ার ও সাম্নে টেবিল । টেবিলে লেখাপড়া চলিতে পারে, আবার খাইবার সময় খাওয়াও চলে ; অন্ত ট্রেনের মত খাইবার জন্য ভোজনের গাড়িতে যাইতে হয় না। আমার যাহাতে বেশ রুচি হয়, এরূপ খাদ্য ট্রেনে কমই পাওয়া যাইত বলিয়া আমাকে যখন দুপুর বেলা একজন রেলেয় লোক খাইব কি না জিজ্ঞাসা করিল, তখন বলিলাম, না । ডোভারে নামিয়া দেখিলাম, জাহাজে যাইবার পথে একটা ফাটকের কাছে সব যাত্রীরা একটা ছোট ফারমে নাম ধাম জাতি গন্তব্যস্থান প্রভৃতি পূরণ করিতেছে। আমিও পূরণ করিয়া ফাটকের সমীপস্থ কৰ্ম্মচারীকে দিলাম। সে ব্যক্তি উহা ফিরাইয়া দিয়া বলিল, ব্রিটিশ স্কাশন্তালদিগকে ঐ কার্ডটা পূরণ করিতে হয় না। আমি ইহাতে গৌরব অহুভব করিলাম না। বড়মানুষদের বাড়ীর আশ্রিত অমুগত ব্যক্তি ও ভৃত্যবর্গ যদি আপনাদিগকে বড় ঘরানা মনে করে, তাহা হইলে ব্যাপারখানা যেরূপ দাড়ায় ; আমরা আপনাদিগকে ব্রিটিশ ন্যাশষ্টাল বা ব্রিটিশ সিটিজেন মনে করিলেও প্রায় সেইরূপ অবস্থা ঘটে। জাহাজে ইংলিশ প্রণালী পার হইবার সময় আমার সামুদ্রিক পীড়া অর্থাৎ বমনেচ্ছা প্রভৃতি কিছু হয় নাই। জাহাজের ডেকে বসিয়া থাকিবার সময় আমার একটা ছোট ব্যাগ যেঞ্চির তলায় গড়াইয়া পড়িয়াছে দেখিয়া আমি সেট। তুলিয়া আমার অন্যান্ত জিনিষপত্রের উপর রাখিলাম। আমাকে উহা তুলিতে যাইতে দেখিয়া একটি ইউরোপীয় মহিলা ও একটি ইউরোপীয় ভালোক তাহা তুলিয়া দিতে আসিয়াছিলেন। আমি তাহাদিগকে ধন্যবাদ দিলাম। তাহায়া কোন দেশের জানি না। ক্যালে হইতে প্যারিস যাইবার ট্রেনেও এইরূপ শিষ্টাচার দেখিলাম। টেনের যে কামরায় আমি ছিলাম, তাহাতে ७क िcयोझो वा बरौँझ्नो हेफेरब्राभौग्न भश्जिा श्रिजन ख একটি ইউরোপীয় যুবকও ছিলেন। যুবকটি বোধ হয় তাহার পুত্র। গাড়ীতে যতবার আমার গায়ে ও মুখে রোজ পড়িতেছিল, ততবার মহিলাটি যুবকটিকে পদ্ধ tानिघ्न आफ़ोण कग्निब निrउ यणिरङश्रिणम । नाॉब्रिग