পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ج لاسرا প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA SAAAMS SSAAAASA SAAMAA AJMAMMMJJSAAAAAA AAAASJJJ AJJJJMMAJAMMMMAJJJJAJSAMAJSAMMMMMMAMMMMMJS ভুলিতে পারি নাই। আমাদের পরিবারে সকলে, আত্ম-পরবিচার-বিরহিত হইয় একই খাদ্য খাইতাম । এমনকি ভূত্যেরা ও আমার বাব। এবং আমরা যে-চাল খাইতাম সেই চালই খাইতেন। মনে পড়ে, একবার একটা জমিদারী কিনিয়া বাবার অল্প-বিস্তর অর্থকষ্ট উপস্থিত হয়। সেসময়ে আমাদের বাসার বরাদ্দ দুধ বন্ধ হইয়া যায়। বাবার শরীব তখন ভাল ছিল না। এই কারণে র্তাহাকে নিজের জন্ত কিছুটা দুধের ব্যবস্থা করিতে বলা হয়। ইহার প্রতিবাদ করিয়া বাব কহিয়াছিলেন, যে, তিনি জন্মে কখনও নিজে যাহা খাইতেন তাহা কমই হউক বেশীই হউক বাড়ীর অপর সকলকে-চাকরদের পর্য্যন্ত না দিয়া খান নাই। যতদিন পৰ্য্যন্ত বাসার চাকরবাকরদেরও দুধের ব্যবস্থ করা সম্ভব হইবে না, ততদিন তিনি নিজে কখনও দুধ খাইতে পারেন না। এই ভাবেই আমি বড় হইয়া উঠিয়াছিলাম। কলিকাতায় ছাত্রাবাসে প্রথম দিন থাইতে বসিয়৷ দেখিলাম যে, সকলের জন্ত মামুলী রকমে ভাল ভাজা মাছের ঝোল ও অম্বলের ব্যবস্থা ; কিন্তু কেহ কেহ ইহারই মধ্যে ডিম থাইতেছেন কেহ বা ঘি খাইতেছেন কেহ বা দই থাইতেছেন। ইহ দেখিয় আমার কি যে বিরক্তি হইয়াছিল আজ পর্য্যন্ত সে-কথা ভুলি নাই। বলা বাহুল্য, যে ক্রমে আমাকেও এই বিধানের বশবৰ্ত্তী হইয়া নিজের পয়সায় বিশেয বিশেষ আহাৰ্য্যের ব্যবস্থা করিতে হইয়াছিল । কিন্তু সেই প্রথম দিনের কথা চিরদিনের মতন প্রাণের উপরে দাগিয়া রহিয়াছে । ছুৎমার্গ পরিহার শ্ৰীহট্টে থাকিতেই হিন্দুয়ানির বন্ধন আলগা হইয়৷ যাইতেছিল। কলিকাতায় আসিয় তাহ একেবারে খপিয়া পড়িল ৷ শ্ৰীহট্টে লুকাইয়। হিন্দুর অখাদ্য খাইতাম। কলিকাতায় আসিয়া প্রকাশ্যভাবে খাদ্যাখাদ্যের বিচার পরিহার করিলাম। কিন্তু আমাদের ছাত্রাবাসের কেহ কেহ হিন্দুয়ানী ছাড়িতে রাজি ছিলেন না । বোধ হয় তাদের অভিভাবকেরাও এবিষয়ে তাহাদিগকে সৰ্ব্বদা সাবধান ও শাসন করিতে চেষ্টা করিতেন । অল্পদিনের মধ্যেই আমাদের এই ছাত্রাবাসে টুইটা দল গড়িয়া উঠিল। একদল কোন প্রকারের বন্ধন স্বীকার করিতে রাজি ছিলেন না ; আর একদল সমাজের ভয়ে প্রকাশ্বে কোন অনাচার করিতে সাহস পাইতেন না। শ্ৰীহট্টে মুসলমানের পাউরুট বিস্কুট লুকাইয় খাইতাম। এখানে যারা হিন্দুয়ানির আবরণ রাখিবার জন্য ব্যস্ত ছিলেন র্তারাও মিশ্রিগঞ্জের পাউরুটি ছাড়িয়া বামনের পাউরুট খাইতে পারিতেন না। প্রতিদিন বিকাল বেলা, রুটীওয়াল ঘরে ঘরে যার যেমন ব্যবস্থা সেইরূপ তার টেবিলে বা বিছানায় রুট রাখিয়া যাইতেন । একদিন বৈকালে শ্রীহট্ট হইতে একজন সন্ত্রাস্ত ব্রাহ্মণ তাহার আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করিবার জন্ত আমাদের মেসে আসিয়া উপস্থিত হল। সেই আত্মীয়ের বিছানাতেও টাটকা গরম পাউরুট পড়িয়াছিল, ইনি আর কোন উপায়ে এই রুটখানি লুকাইতে ন পারিয়া তাহার উপরে বসিয়া পড়িলেন । এইরূপ কৌতুককর ঘটনা মাঝে মাঝে হইত। শিক্ষিত বাঙ্গালীর সত্যানুরাগ সেকালে বিশেষতঃ পুৰ্ব্ববঙ্গের ছাত্রদের মধ্যে অসাধারণ সত্যামুরাগ ছিল । ফলতঃ দেশের সাধারণ লোকের মনেও এই ধারণা ছিল যে, ইংরেজীনবীশবাবুরা কখনও মিথ্যা কথা কহেন না। আমাদের ছাত্রাবাসে যাহারা ছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই মিথ্য কথা কহিতে চাহিতেন না। যাহারা হিন্দুর অখাদ্য খাইতেন না তারাও মনে মনে খাদ্যখিাদ্য বিচার করিতেন না। মুসলমানেরা যাহা পান তাহ খাইলে যে ধৰ্ম্ম নষ্ট হয়, এ বুদ্ধি তাহাদের বিন্দু পরিমাণেও ছিল না। সমাজের বিরুদ্ধে যাইবার সাহস তাহাদের ছিল না। তারা নিজেরাই সরল ভাবে ইহা স্বীকার করিতেন। অদ্যদিকে সমাজ-বিরুদ্ধ কাৰ্য্য করিয়া আপনার জাত বঁাচাইবার জন্য ইহঁারা মিথ্যার আশ্রয় লইতে চাহিতেন না। এইজন্যই এক মুসলমানের পাউরুটি ছাড়া হিন্দুর অখাদ্য অন্ত কোন খাদ্য ইহঁরা খাইতেন না। আর পাউরুটি বিস্কুট থাইতেন এইজন্য যে একথা লইয়া প্রীহট্টের সমাজে কোন কথা উঠবার আশঙ্কা ছিল না। একবার আমাদের মেসের পাচক ব্রাহ্মণ আসেন নাই, কে রাধিবে এই প্রশ্ন উঠিল। একরূপ বাল্যকাল হইতেই