পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উৎক্ষিপ্ত ( in relief ) বা সাধার। চিত্রাঙ্কণ ; চিত্র বা আলেখ্যের মধ্যে উজ্জ্বলবর্ণ ধাতু, খনিজ, মুক্তাগুক্তি ইত্যাদি ঘন পদার্থের (solid ) খণ্ড সংযোজন ;~—এইরূপ বিভিন্ন প্রথায় ভূষিত লেপ কারুকার্যের নিদর্শন জাপানে পাওয়া যায় । চীনদেশেও নান, প্রকার লেপ কারুকার্য্যের প্রথা প্রচলিত আছে। তন্মধ্যে কোরোমাগুেল ( Coromandel Lacquer ) প্রথায় প্রস্তুত শিল্পদ্রব্যাদিষ্ট প্রসিদ্ধ। এই প্রথামতে প্রথমে মস্তণ কাষ্ঠগাত্র শ্বেতাভ মৃত্তিকাজাত বর্ণ ও বাণিদের সংমিশ্রণে প্রস্তুত “কাই” দ্বার। ( স্তরে স্তরে ) আচ্ছাদিত হয় । তাঙ্গর উপর কয়েকস্তর কৃষ্ণ বর্ণ বাণিদের আচ্ছাদন দেওয়া হয়, যাহাতে লেপ আচ্ছাদনের উপরিভাগ গাঢ় কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে । চিত্রাঙ্কণের সময় শিল্পী উপরের কৃষ্ণবর্ণ লেপ বুলি দ্বারা কার্টিয় নীচের শ্বেতবর্ণ প্রকাশ করে । তাতার পর সেই অনাবৃত অংশ নানাবর্ণে চিত্রিত করিয়া অঙ্কনকাৰ্য্য সমাপ্ত করে। এই প্রকার লেপ-চিত্রাঙ্কণ সৌন্দৰ্য্য হিসাবে অতি উংকৃষ্ট, কিন্তু স্থায়িত্ব হিসাবে জাপানী শিল্পের কাছে ও আসে না । পাশ্চাত্য দেশসকলে চীন ও জাপানের শিল্পের সমাদর বহুকাল হইতেই আরম্ভ হয় । সঙ্গে সঙ্গে ঐ সকল দেশে ঐৰূপ শিল্পের অতুকরণেরও স্ত্রপাত হয় । কিন্তু চীন ও জাপানের শিল্পীর সহিষ্ণুতা, পুরুষানুক্রমগত অভিজ্ঞতা ও উরুশি নির্যাস ব্যবহারের গুপ্ত সঙ্কেত তাহারা কোথায় পাইবে ? সুতরাং সে দেশের লেপ-শিল্প অনুকরণ হিসাবেই উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে, শিল্প হিসাবে বিশেষ কিছু নয়। সেখানের শিল্পী মুরাসারে দ্রবীভূত নামাবর্ণের ও বর্ণহীন গাল, ও তাহার সঙ্গে কপূর, নানা প্রকারের ধূপ ইত্যাদির মিশ্রণ ( Mixture ) দ্বারা লেপ কাৰ্য্য করে। প্রথমে কাষ্ঠের গাত্র শিরীষ কাগজ ইত্যাদি দ্বারা মসৃণ করা হয় । তাহার পরে এক “পোছ’ মিশ্রিত লাক্ষীন্দ্রব প্রয়োগ করা হয়। ইহার উপর জিলাটিন, বিশেষভাবে প্রস্তুত “সফেদা” ও জল এই তিনের মিশ্রণে প্রস্তুত আচ্ছাদন-উপাদান ( undercoat ) বেশ সমভাবে মোট তুলির সাহায্যে লেপিত হয় । আচ্ছাদনের গাত্র অতিযত্নের সহিত মসৃণ লেপ-চিত্রাঙ্কণ - -w - --" م_ মানীজের কালু ল অঞ্চল । ভারতীয় লেপ চিত্রাঙ্কণ । করিয়া তাঙ্গর উপর তুলি দ্বারা একস্তর লাক্ষাদ্রব স্পেন করা হয় । লেপস্তর শুকাইলে তাহ শিরীষ কাগজ ও ! পামিস্ পাথরের গুড় ( Pumice Powder ) দ্বারা মসৃণ করিয়া তাহার উপর আবার আর এক স্তর লাক্ষাদ্রব, এইরূপে পাঁচ ছয় স্তর লেপ দান করা হয় । উহার উপর তৈলবণ ( Painter's oil colour ) ও তুলির দ্বারা সাধারণ তৈলচিত্রাঙ্কণের প্রথায় চিত্র বা আলেণ্য অঙ্কিত এবং তাহ শুকাইলে তাহাকে অতি সস্তপণের সহিত মন্থণ করিয়া সৰ্ব্বোপরি এক স্তর তৈল বাণিসের আচ্ছাদন সংযোগ করিলেই পাশ্চাত্য প্রথা মতে লেপ-চিত্রাঙ্কণ সমাপ্ত হয় । সাধারণ চিত্রাঙ্কণে কেবল মাত্র দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বিস্তার ( two dimensions ) wicz: i fioIo, fotât, föÇA ateía ছায় ও বিভিন্ন ংশের আয়তন প্রভেদ অর্থাৎ পরিপ্রেক্ষিত ( Perspective ) দ্বারা তৃতীয় দিকে forgiosa ( third dimension ) একটি কৃত্রিম অনুভূতি দান করেন। ভাস্কৰ্য্যশিল্পে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, ও স্কুলত৷ বা বেধ এই তিন দিকেরই প্রকৃত বিস্তার থাকে ।