পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br念や SAMJAMMAJJJAMAJJAMMAAJAAA AAAAAS S চ’লে গেল। বড় দারোগার বাসায় লেগেছে।... ...ঝ"াট মারি নেমকহারামীর মুখে —” নিস্তার আরো ভালো । ভাব নাই ছিল, না জানি এ আবার কেমন হবে।-••••• একটা ক’রে ঝি পালায়, আর আমার বুক কাপে।. সবারই দেখেছি, গোড়ার দিকৃটায় দিনকতক বেশ বনিবনাও, হাসি-খুলী ; তারপর যত দিন যায় তত তাদের নিজের নিজের আসল চেহার বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু নিস্তার বেশ–ভারিক্কি ভদ্র চেহারা, যেন জজ গিন্নি, মুখখান গোল, চোখ দুটো ভাসা ভাসা, ক্টাটুদাই মোটাসোট, রং আধ ফসর্ণ ; হাত-পায়ের গড়নে দিব্যি একটা শ্ৰী।— নিস্তারের বাড়ী গোটে। গোঁটে কোথায় কে জানে ? নিস্তার বললে,-“সে নৈহাটি থেকে সাত কোশ পূবে।" ...তারপর একটুখানি কি ভেবে বললে, “বড় দুঃখু, মা ।” কোথায় যে দুঃখু টের পাইনে। নৈহাটি থেকে গেীটে সাতকোশ পূবে, সেট এমনই কি দুঃখের কথা!—কিন্তু বলতে বলতে তার চোখের কোণে জল জমে ; দেখে মনে হয়, দুঃখটা তার গায়ের ভিতরে কোথাও, নৈহাটি থেকে সাতকোশ পূবে ব’লে নয়।. কি বল্ব তাই খানিক ভেবে বললাম, “দুঃখু কার নেই বলো, মেয়ে! আমার কি কম দুঃখু—একটা দিন এমন যায় না যেদিন মনটা স্বচ্ছন্দ ঠেকে, যা’ চাই আজ সব আমার আছে ।” নিস্তার কথা কইলে না, ঘাড় নামিয়ে রইল । আমি বললাম,—“নেই-নেই দুঃখু আর ঘোচে না ; কেবলি হাত ড়ে বেড়াই, কিসে দু'পয়সা সাশ্রয় হবে।-- বুড়ু আদুল গায়ে থাকে, তার আর দুটাে পেনি হ’লে ভালে৷ লাগে ; ফুটে৷ ইজার তার চাই ; উনি ছেড়া জামা প’রে বেড়ান ; বুড়র দুধে দি বার্লি মিশিয়ে ; বুক ফাটু ফাটু করে —এমন হতভাগীর পেটে এসেছিলি—” হঠাৎ থেমে যেতে হয়, আমার চোখেও জল এল । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড AAAAAA AAAA AAAAMeMMJMMAeJAAA AAAA AAAAA নিস্তারের দুঃখের কারণটা একদিন সন্ধ্যাবেলা বেরিয়ে পড়ল।...বুড় ঘুমিয়েছে, উনি প্রাইভেট পড়াতে বেরিয়ে গেছেন ; আমি রাধ ছি— ost ভাত চাপিয়ে হাওয়ায় এসে একটু বসেছি। নিস্তার বললে,—“এই পোড়া পেট কেন বিধি দিয়েছিল জানিনে, মা। পেটের দায়ে মানুষ কি না করছে বলো ! লাঠালাঠি, ফাকিবাজি, মামলা মাদাগত—সবই ত ঐ পেটের জন্তেই সৃষ্টি হয়েছে ; গাড়ী বলে ঘোড়া বলো, হাওয়াগাড়ী বলে, রেলগাড়ী বলে, নেী ক’ বলে, জাহাজ বলো—মামুষের পেটের খোরাকে বোঝাই হয়েইত সব ছুটোছুটি করছে ; তাতেও কুলোয় ন—আবার শুনছি উড়ে জাহাজ হয়েছে। নয়, বেীমা ?” আমি বললাম, “তা ত সত্যিই। পেট না থাকূলে কে কার বলে। পেট আছে ব’গেই তা মাম্বব মানুষের বশ ।” নিস্তার বললে, “পেট মানে না বলেই ত ছুটে বেরিয়েছি ছেলে দুটোকে একৃলা ফেলে ।” —“তোমার ছেলে আছে নাকি ?” —“তোমাদের পায়ের ধূলোর আশীৰ্ব্বাদে আছে, ম, দুটি ।” —“বড় হয়েছে তারা ?” —“বড়টি আঠারে বছরের, ছোটটি গেল মাঘে চোদোয় পড়েছে।” বলে নিস্তার ক্ষোস্ ক’রে একটা নিঃশ্বাস ফেললে। —“কি করছে দুটো ছেলেমানুষ এক এক তাই আমি ভাবি দিনরাত, মী। তাদের পিসি আছে, সে চোখে ভালো দেখে না । অসুখ আছে বিমুখ আছে -- .. । সেবার ধীরুর হাম হ’ল বোশেখ, মাসে, হামের পর হল আমাশ... সেই থেকে তার কাহিল ভাবটা যায়নি আজ ও । কি যে করছে তারা, আর কেমন আছে কে জানে।—” ব’লে দুর্ভাবনায় নিস্তার যেন মুষড়ে পড়ল । শুনে আমারও মনে হ’ল ম-হারা হয়ে ছেলেরা সহায়হীন হয়ে পড়েছে ঠিকই।...আমার বুড় যত বড়ই হোক, আমি তার কাছে নেই, তার এমন দুরবস্থাত ভাবতেই পারিনে। বিয়ের পর আলাদা কথা ; তখন ত