পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তবে ভগবানের কৃপায় সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন আমরা চেষ্টা করলে কি গল কঠিন কাজও করতে পারি না ? আজ মেথর-পাড়া গিয়েছিলাম। মেথর ছেলেরা দাড়িয়ে রবীন্দ্রের রাণী-উৎসবের সেই পরিচিত—বাঙলার সাটা ইত্যাদি, গানটী গাইলে । শুনে মনে হ’ল—সত্যি মাটী যাদের দ্বারা পুণা হ’তে পারে তাদের আমরা দূরে রেখেছি। যখন ছোট ছিলাম, মা, দিদি, দিদিম এর সব করেছেন যা মেথররা করে, কিন্তু তারা ছোট স্বননি । বিদেশীরা আমাদের নোংরা বলে খোট দেয়, আমরা রাগ করি। কিন্তু বস্তুত: ভ্রমণ করতে করতে দুৰ্গন্ধ পেলেই আমরা বুঝতে পারি কোন গামের নিকটে এসেছি । বাংলার মাট বাংলার জল পবিত্র রাপ বার দিকে আমাদের যথেষ্ট দৃষ্টি নাই । অনেক আগে থাকৃতেই জানতাম, বকুড়ায় কুণ্ঠরোগীর সংখm অত্যন্ত বেশী। শুনেছি, সেন্সাস রিপোর্টে ন লেপা আছে তার চেয়ে ৪। ৫ গুণ বেশী। কি করলে তার না বাড়ে তার চেষ্টা করা উচিত । সমস্ত চেষ্টা গ্রামের লোকদের নিজেদের করা উচিত। সাদের কুণ্ঠ হয়েছে তাদের সমস্ত আলাদা ব্যবস্থ করা উচিত। তাদের ব্যবহৃত গেলাদ, পাবার পাত্র, কাপড়-চোপড় অষ্ঠকে ব্যবহার করতে দিতে নাই —এবিষয়ে হিন্দু আচার ভাল ছিল : । আজকাল আমরা মানি ল । এ টো পাত্রে জল ইত্যাদি খাওয়া, ছোট ছেলেদের মুখে মুপের পান দেওয়া, এসব অনেকেই করে-কে বলতে পারে কার শরীরে কি রোগ আছে ? কণ্ঠ সম্বন্ধে খুবই সাবধান হওয়া উচিত । মরকন্নার অনেক বাবস্তী সম্বন্ধে আমাদের পাশ্চাত লোকদের কাছে শিগ বার আছে । পাশ্চাত দেশে দেখেছি-পরিস্কার তকতকে রান্নাঘর, আমাদের দেশে এ দো ভিজে রান্নাঘর-এবিষয়ে তার শ্রেষ্ঠ । তাদের পায়খানা—স্নানের ঘর-সবই পরিষ্কার । আমাদের দেশের যারা বড় লোক, তাদের অনেকের এবিষয়ে দৃষ্টি কম। আর অনেক ক্ষেত্রে তা অস্পৃষ্ঠাতায় বিশ্বাস থেকেই হয়েছে। একটি বাড়ীর কথ। বলি, সেখানে পুৰ্ব্বে মধ্যভারতের এক রাজা ছিলেন । স্নানের ঘর, শৌচাগার কী বি ঐ অপরিস্কার ক’রে রেপে গিয়েছিলেন । তা রাজা হ’লে কী হয় । মেথর গেলে অপবিত্র হবে । অনেক দিন মেথর লাগিয়ে তবে তাকে ব্যবহার্ষ্য করতে হয়েছে । আমি জেনীভায় যখন ছিলাম, তখন সেখানে মানের খরচ রোজ হ’ত পাচদিক, একটাকা দু তান । আমি বাঙালী, কাজেই দণ্ডটা আমার রোজই দিতে হ’ত । পরিস্কার পটুথটে ঘর । টব প্রভৃতি অতি পরিষ্কার। নিতা নূতন ধোওয়া তোয়ালে । একদিন দেখি, স্বানের ঘরে খটায় খুব ভাল বিছানা পাতা রয়েছে । জিজ্ঞাসা করে জানলাম, পূৰ্ব্ব রাত্রে খুব লোক বেশী হওয়ায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঐ ঘরেও জায়গা দিতে হয়েছে—তা বলে ঘরটি মোটেই শোবার অনুপযুক্ত নয়। এসব দিকে দৃষ্টি রাপা খুবই দরকার । একবার জনৈক বিখ্যাত ডাক্তার বলেছিলেন, "সভ্যতার একটি মাপকাঠী পায়খানা কোন দেশে কী রকম।" ইউরোপের সর্বত্র পাকপ্রণালী ও খাইবার সময় বতট এক, আমাদের দেশের একটা জেলা, সহর, গ্রামেও কখন কখন ততটা এক নয়। যে যে কারণে ইউরোপে কাজের সুবিধা হয়, স্বাস্থ্য ভাল থাকে, এই দুটি তার মধো উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে পাকপ্রণালীর এত প্রভেদ আছে, যে, ঝাল থাইতে অনভ্যস্ত লোকেদের কোন কোন প্রদেশে ও জেলায় যাওয়াই কঠিন হয়। পাইবার সময়ের পার্থক্যও খুব বেশী। অনেক বাড়ীতে এক-একজন এক-একসময়ে খান। ইহাতে কাজের অসুবিধা হয়, এবং খাওয়াইবার ভার যাহাঙ্গের উপর, তাহদেরও অসুবিধা হয়। >>8->" বাঁকুড়ার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বক্তত సిరి : বাকুড়া কলেজ হষ্টেল ছাত্রসন্মিলনী কর্তৃক প্রদত্ত অভিনন্দনের উত্তর অতীতের গৌরবকে ভিত্তি ক’রে কেবল তার উপর প্রতিষ্ঠিত পাৰ্বতে চেষ্টা করা হিতকর নয়। অতীত-গৌরব-স্মৃতির একমাত্র সদ্ব্যবহার এই, যে, উহা আমাদের এই বিশ্বাস জন্মায়, যে, আমাদের দেশের এই সাটা, জল, বাতাস, তাকাশেই, যাদের রক্ত আমাদের শিরায় প্রবাহিত, তাদেরই দ্বারা মহৎ কাজ হয়েছিল ; সুতরাং আমাদের দ্বারাও হতে পারে। পূৰ্ব্বাপেক্ষা বড় উন্নত মহৎ অবস্থাতেও পোছতে পারা যায়। সংস্কৃত শ্লোকে আছে– “মানুষ সৰ্ব্বত্র জয়ের ইচ্ছা করে ; কেবল ছুটি জায়গা ছাড়–শিষ্য ও পুত্রের নিকট ছাড। মানুষ চায়, সে মা কিছু বড় জিনিষ করবে, তার থেকে বড় কাজ করবে তার শিষ্য, তার পুত্র। তারা তাকে পরাস্ত করবে, বেশী জ্ঞান কীৰ্ত্তিলাভ করবে, মহৎ হবে, এ আশা মানুষ করে । আমাদেরও পূৰ্ব্বপুরুষদের মুখ উজ্জ্বল গৌরবময় ক’বৃতে হবে। অবনত মুখ ছেলে হ’য়ে থাকলে কি তা পারা যায় ? যায় ন। আমরা তাদের থেকেও বড় কীৰ্ত্তি স্থাপন করব। তাদের উপদেশ পালন ক’রে আরও বড় কাজ ক’রে যাব-জগৎ জানতে পারবে—এর ডাদেরই সন্তান যারা বড় কবি হয়েছিলেন, বড় দার্শনিক হয়েছিলেন, যার ঋষিত্বে পৌঁছেছিলেন। কেবল পূর্বগৌরব স্মরণ করে চুপ করে থাকলে বা তা নিয়ে অহঙ্কার কালে বড় হওয়া ঘালে না। খুব বড় জমিদারের ছেলে সব হারিয়ে কুঁড়েধরে বাস করার সময় যদি পুৰ্ব্বপুরুষদের গৌরবমাত্র সার ক’রে দস্ত ক'রে বেড়ায়, তাতে কি কেউ মনে করে যে সে পুৰ্ব্বপুরুষদের গৌরব ঠিক রাখতে পেরেছে ? স্মৃতি রক্ষা করতে হবে, তাকে উজ্জ্বল করতে হবে। উপায় জ্ঞান, কৰ্ম্মপ্রেরণা, সাধনা । জ্ঞান যে জিনিষ, প্রেরণ নে জিনিষ, সেটা ভগবানের প্রদত্ত আলো-বাতাসের মন্ত--তাকে ভাগ করার যে নাই । এটা জাপানের আলো কি জাৰ্ম্মানীর স্মলো সে বিচারের উপায় নাই—সব জায়গার জ্ঞানই নিতে হবে। শুধু গ্রহণে অপমান আছে, দানও করতে হবে। যে জ্ঞান পাশ্চাত্য থেকে পাব, সেটা উপায় স্বরূপ ক’রে তাকে আরও বেশী পুষ্ট ক’বৃব। তার উপায়ও চেষ্টা করতে হবে। একটা চরিত্রগত গুণ চাঙ্গ—যাতে জ্ঞানলাভ হয় ; তার জন্তে শ্রদ্ধাবান হ’তে হবে । শ্রদ্ধাবানেরাই জ্ঞানলাভ করতে পারে। অন্য দিকে অন্ধবিশ্বাস ও অনুকরণ ত্যাগ করতে হবে, প্রয়োজন হ’লে পুরাতনের মায়া ত্যাগ করতে হবে। যুবকদের সাম্নে দীর্ঘ জীবনপথ পড়ে রয়েছে। মহতী চেষ্ট্র তার করুন : তাদের সিদ্ধিলাভ হবে ও দেশ ধন্ত হবে । বিধাতা উপর পতাকা বাদের হাতে দেন, পতাকী-বহনের শক্তিও তৃণদের দেন । বাংলার অন্ত অনেক স্থান অপেক্ষা বাকুড়ার স্বাস্থ্য অপেক্ষীকুত ভাল, তা যুবকদের চেহারা দেখলেই বুঝা যায়। পূৰ্ব্বে বাকুড়া আরও স্বাস্থ্যকর ছিল। তখন এখানে কলেজ ছিল না । কাজেই আমাকে ক'লকাতা গিয়ে প’ড় তে হ'ল অণর সার্থী পেলাম ডিসূপেপ পিয়।। এখানে ক'লকাতার ছেলেদের থেকে ভাল স্বাস্থ্য ও তাঞ্জা ভাব দেখতে পাচ্ছি। এই রে সুযোগ, এটা একটা ঋণ । এ সুযোগ আমরা ছেলেবেলা পাই নাই । যারা পেয়েছেন, তারা যেন শিক্ষা সাঙ্গ হ্যার পর তা শুধ বার চেষ্টা করেন। এক-একটা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যত খরচ হয়, তা কেবল ছাত্রদের বেতল থেকে কুলীয় না। কাজেই কিছু টাকা ঐ গরীব রুগ্ম নিরক্ষর প্রজাদের নিকট প্রাপ্ত টেক্স থেকে দেওয়া হয়। কতক এদেশের ও বিদেশের অস্ত লোকের দেন।