পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిరిస్చి


- .-് -്- .-്- r് عہ مہ حیہ یہ ہم مہمہ ۔۔ ہہ جم .

শিক্ষা পেয়ে সকলেরই ঋণ শোধ করতে হবে। অনেক সময় আমর ২১টা ছেলেকে ক খ শিপিয়ে একটু সেবা ক'রে ভাবি বড় কাজ করলাম, বড় অনুগ্রহ করলাম। সত্যিই কি আর এ বেশী কিছু করা ? বাকুড়া মেডিকেল স্কুলের ছাত্রবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত অভিনন্দনের উত্তর এ জেলায় শিক্ষার যে অভাব আছে তা আমি জানি এবং কাল কিছু কিছু ব'লেওছি। এমন স্বাধীন দেশ আছে, যেখানে লোকসংখ্যা খুবই অল্প, অথচ সেখানে ২।৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, বহু স্কুল কলেজ আছে, বাণিজ্য, শিল্প, সন্ত্রবিজ্ঞান, চিকিৎসা ইত্যাদি শেখাবার জন্যেও অনেক বিছুই আছে। আমাদের অপেক্ষ অনেক অল্পসংখ্যক লোকের দেশে যদি তা সম্ভব হ’য়ে থাকে, তবে আমাদের সকলের কোন-না-কোন রকম শিক্ষা পাবার আশা করা আর বেশ কি ? কোন প্রতিষ্ঠান কেবল ছাত্র-বেতনে চলে না, অনেক স্থানে অন্য সাহায্যও পাওয়া যায়। পাওয়া না গেলে নিরুপায় হয়ে বেতন অনেক স্থানে বেশী করতে হয়। উপায় কি ? বাকুড়া মেডিক্যাল ইস্কুলের অনেক টাকার দরকার। কিন্তু টাকা পাওয়া বড় কঠিন। কেননা, টাকা নিতে ভাল লাগে, দিতে ভাল লাগে না । আপনার যে-শিক্ষা লাভ ক’বৃছেন, এতে জগতের বহু কল্যাণ সাধন হ’তে পাৰ্ববে। মানুষ নিজের রোগে, আত্মীয়স্বজনের রোগে যখন সাহায্য পায়, তা কোন দিনই ভুলতে পারে না। বাকুড়ায় কুষ্ঠ-রোগ ভারতবর্ষের সকল স্থান অপেক্ষা বেশী। এখানে যারা শিক্ষা পাচ্ছেন তারা কেউ কেউ অস্ত্যত্র এবিষয়ে আরো শিক্ষা লাভ ক’রে এবিষয়ে বাকুড়ার উন্নতি সাধন করুন। গঙ্গাজলঘাটতে শুনলাম, এই স্কুলের একটি ছাত্র সেই চেষ্টায় আছেন। শুনে অত্যন্ত খুলী হ’লাম। দেহমনের কল্যাণে মানুষের কল্যাণ । দৈহিক স্বাস্থ্যের উপর আত্মণর সুস্থতা নির্ভর করে, আবার আত্মার সুস্থতার উপরও শারীরিক সুস্থতা নির্ভর করে । তাহ’লেও মানুষের কল্যাণকে মোটামোটি মানদিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক স্বাস্থ্য, এই দুভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। তার একটা ভাগের ভর আপনাদের উপর । আমরা আশা করি, আপনার! এই ভার বহনের উপযুক্ত হবেন । {বাকুড়া মেডিক্যাল ইস্কুলটি সুন্দর স্বাস্থ্যকর খোলা জায়গায় প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড অস্ত্রচিকিৎসা ও অন্ত সৰ্ব্ব অবস্থিত । হাসপাতালে শক্ত শক্ত রোগের চিকিৎসা হইতেছে । বিস্তর রোগীর উপকার হইতেছে । সাধারণের ইহার অর্থসাহায্য করা উচিত। ] অভয়-আশ্রমের প্রাঙ্গণে লাঠিখেলার পর বক্তৃতা অনেকে মনে করিতে পারেন, যুদ্ধে যা কাজে লাগে না, এমন যে লাঠিখেল, তার কি প্রয়োজন আছে ? কিন্তু এটা ভুল। লাঠিখেলায় শরীর হস্থ ও দৃঢ় হয়, সঙ্গে সঙ্গে মানসিক জড়তা দূরীকরণে সাহায্য হয়, দুবৃত্ত লোকদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা ও দুৰ্ব্বলের রক্ষীর ক্ষমতা জন্মে। এরূপ ক্ষমতা জন্মিলে সাহসও বাড়ে । কোন সভ্য দেশেত আজকাল তীরধনু লইয়া যুদ্ধ হয় না । কিন্তু এখনও জাপানে ইহা শিক্ষা হিসাবে যোদ্ধাদের শিক্ষার প্রথম ধাপ বলিয়ঃ কার্যতঃ স্বীকুত হয় । ইংলণ্ডে অনেক তীরধলুর ক্লাব আছে : মেয়েরাও সেখানে তীর চুড়িতে শিখে। আমেরিকাতেও তাই । শারীরিক ও মানসিক উপকার হয় বলিয়াই জাপানে ও পাশ্চাত্য নানা দেশে তীর-ধনুর তাদের রহিয়াছে, যদিও যুদ্ধে ইহার প্রচলন আর নাই । তেমনি লাঠিখেলাও, যুদ্ধে প্রচলিত না থাকিলেও, অস্ত নানাপ্রকারে হিতকর । [ ইহার পর যtহ বলিয়াছিলাম, তাহা অস্ত্যত্র প্রকাশিত ময়মনসিংহের বক্তৃতার যুবকদের জন্য অভিপ্রেস্ত শেষ অংশের মত । ] গঙ্গাজলঘাটী অমরকানন আশ্রম গঙ্গাজলঘাটী গ্রাম বাকুড়া ও রাণীগঞ্জের মধ্যপথে অবস্থিত । এই গ্রামের নিকটে “অমর-কানন আশ্রম’ নামক একটি জাতীয় বিদ্যালয় আছে। তাহ দেখিতে গিয়াছিলাম। স্থানটি রমা। কোন গ্রাদের খুব নিকটে বা দূরে বা মধ্যে নহে। নিকটে হরীতকী, মহুয়া প্রভৃতির স্বাভাবিক উদ্যান আছে । আশ্রমের নিজের ধানের ও আকের জমী ও চাষ আছে। সাধারণ শিক্ষা ছাড়া স্থত কাটা ও হাতের তাতে কাপড় বোনা শিথান হয় । গোশালাও আছে। বিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের গৃহ, লাইব্রেরী ও ঔষধবিতরণ গৃহ ছাড়া স্বতন্ত্র একটি উপাসনার গৃহ আছে। অল্প দূরে একটি পাহাড়ের উপর হুগলী জেলার এক ভদ্রলোক একটি পাক বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে কথন কখন বাস করেন। তদ্ভিন্ন ঐ পাহাড়ের উপর একজন বাঙালী ব্রহ্মচারী থাকেন । স্বাস্থ্যকর-প্রাকৃতিকসৌন্দর্য্যপূর্ণ স্থানে অবস্থিত এই জাতীয় বিদ্যালয়টির সর্বাঙ্গীন উন্নতি ॐों ऍनौझ । আলোচনা “কলিকাতার ভাইস-চ্যান্সেলারের উপর আক্রমণ” এই শীর্ষক টিপ্পনীটি সম্বন্ধে আমার কিছু জিজ্ঞাস্ত আছে । টিপ্পনীটিতে নিম্নলিখিত অভিযোগগুলি উপস্থিত করা হইয়াছে : ( ১ ) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল “টাই” আছেন। উাহারা ঐযুক্ত যন্ধুবাবুর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা কথা রটাইতেছেন। অভিযোগটি অনির্দিষ্ট ও গুরুতর নয় কি ? কিন্তু ইহার প্রমাণ কোথায় ? প্রথমতঃ কি কি মিথ্যা প্রচারিত হইয়াছে, এবং সেগুলি যে মিথ্যা তাহার প্রমাণ কি ? কেহ সেগুলি মিথ্য এই কথা বলিলেই কি সেগুলি মিথ্যা বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে ? (২) "আগেবার কৰ্ত্তার আমলে পরীক্ষায় খুব বেশী পাশ তাহার আদেশে হুইত" । এই আগেকার কৰ্ত্তাটি কে ? তাহার আদেশে যে বেশী পাশ হইত তাহার প্রমাণ ? ভূতপূৰ্ব্ব কৰ্ত্তার