পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏరి 8

  • ハヘ-* ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘふ.

কিন্তু এখন ৭৭-২ এর পর ৫৩,৯কেও বড় বেশী ফেল বলিয়া চীৎকারে গগন বিদীর্ণ করা হইতেছে ; যেহেতু এখন ভাইস-চ্যান্সেলার যদুবাবু! প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তার বিষয়ে ধনীদের কর্তব্য আষাঢ়ের প্রবাসীর বিবিধ প্রসঙ্গে সম্পাদক মহাশয় লিখিয়াছেন, "অন্ত অনেক লোকে মেরূপ আয় ও অগ্রামের জন্য বিস্তর পরিশ্রম করিতে বাধ হয়, জমিদারের বিনপরিশ্রমে সেইরূপ আয় ও আরাম পান। ইহার জষ্ঠ্য উপহার কৃষক ও শ্রমিকদের নিকট ঋণী অতএব জমিদারীর প্রত্যেক গ্রামে পাঠশালা চালান প্রত্যেক জমিদারের কৰ্ত্তবা।” এসম্বন্ধে আমার কিঞ্চিৎ বক্তবা আছে ; তাহ নিম্নে লিখিতেছি। প্রথমতঃ, বাংলা দেশের প্রত্যেক জমিদারই যে (প্রায় নহে, সম্পূর্ণ) বিনা পরিশ্রমে আয় ও আরাম ভোগ করিতেছেন একথা সত্য নহে। প্রজাদের নিকট হক পাওনা আদায়ের জন্তও অনেক জমিদারকে বিস্তর পরিশ্রম করিতে বাধা হইতে হয়। যাহারা সেই পরিশ্রমের ভার অষ্ঠের উপর স্বাস্ত করেন, তাহাদিগকে বহুদিন তায় ও আরাম ভোগ করিতে হয় না। দ্বিতীয়তঃ, পৈত্রিক জমিদারীর মালিক পুরাতন জমিদার সম্বন্ধে কোন কোনও ক্ষেত্রে পরিশ্রমের অভাবের দোষ বিদামান থাকিলেও র্যাহার নিজে জমিদারী উপার্জন করিতেছেন, তাহাদের সম্বন্ধে ঐ দোষ আরোপিত হইতে পারে না। তৃতীয়তঃ, জমিদার ব্যতীত বাংলা দেশে অন্য শ্রেণীর লোকও আছেন যাহারা আয় ও আরামের জন্ত, প্রত্যক্ষে নাই হউক পরোক্ষে, কৃষক ও শ্রমিকদের নিবট ধর্ম, কোম্পানীর কাগজ বাঙ্কে গচ্ছিত রাশিয়া যাহারা পায়ের উপর পা তুলিয়া তারামে দিন কাটাইতেছেন, তাহাদের আয় অংশতঃ হক্টলেও কৃষক ও শ্রমিকগণের কণ্ঠজ্জিত অর্থ হইতে তালিতেছে । কিন্তু এই শ্রেণীর লোক সম্বন্ধে সম্পাদক মহাশয় কোনও মন্তব্য প্রকাশ করেন নাই। চতুর্থত:, কায়িক পরিশ্রমের অভাব লক্ষা করিয়া ঘদি সম্পাদক মহাশয়ের মন্তব। লেখা হইয়া থাকে, তবে কায়িক পরিশ্রমে পরায়ুধ, অথচ আয় ও আরাম ভোগকারী ব্যারিষ্টার, উকীল, মোক্তার ও সম্পাদকগণ গ্রামে গ্রামে না হউক, অন্ততঃ নিজ নিজ গ্রামেও ত পাঠশালা স্থাপন করিতে পারেন । আয় ও আরামের জষ্ঠ কায়িক পরিশ্রম করা একান্তই কৰ্ত্তব্য, আশা করি, সম্পাদক মহাশয় সেরূপ মনে করেন না। পঞ্চমতঃ, কঠোর চেষ্টা সত্ত্বেও মহালের বাকী বকেয়ার অনাদায়ে ঘে-সমস্ত জমিদারকে ঋণ করিয়া লাট রক্ষা করিতে হইতেছে, সেইসমস্ত জমিদারগণের কওঁব্য সম্বন্ধে সম্পাদক মহাশয় কি একই উপদেশ দিবেন ? এসম্বন্ধে বক্তব্য বহু আছে। সব জমিদারই কিছু পরিশ্রমে কাতর নহেন । অনেক জমিদারেরই প্রজাদের প্রতি কৰ্ত্তবা-জ্ঞান আছে । কিন্তু দুঃখের বিষয় সব দিক বিবেচনা না করিয়াই সম্পাদক মহাশয় জমিদার শ্রেণীর উপর কটাক্ষপাত করিয়াছেন। ঐযতীন্দ্রমোহন ভট্টাচাৰ্য্য সম্পাদকের মন্তব্য , শিক্ষা-বিস্তারে জমাদারদের খুব সুযোগ আছে। এইজষ্ঠ সেবিষয়ে তাহদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিলাম। কাহারও প্রতি কটাক্ষপাত করা আমাদের অভিপ্রেত নহে । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার কি কি উপায়ে কোন কোন শ্রেণীর লোফের স্বারা হইতে পারে, সে-বিষয়ে আমরা যদি একখানা বহি কিংবা অন্ততঃ একটা দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখিতাম, তাহা হইলে তাহাতে সকল শ্রেণীর লোকের উল্লেথ না থাকিলে তাহ বিশেষ ক্রটি মনে করা যাইতে পারিত। কিন্তু "বিবিধ প্রসঙ্গে” কোন বিষয়েরই আলোচনা নিঃশেধে করা যায় না । সুতরাং যদি শিক্ষা-বিস্তারে জীদার ছাড়া অন্ত কোন কোন শ্রেণীর লোকের কর্তৃব্যের উল্লেখ না করিয়া থাকি, তাহা গুরুতর অপরাধ নহে । জমাদারদের মধ্যে পরিশমী, শিক্ষা-বিস্তারে উদ্যোগী লোক আছেন, জানি। আমরা কথাটা শ্রেণীগত ভাবে বলিয়াছি ; তাহাদের মধ্যে কেহই পরিশ্রমী নহেন বা শিক্ষা-বিস্তারে মনোযোগী নহেন, এরূপ অপ্রকৃত কথা বলি নাই। অধিকাংশ জমাদার শিক্ষবিস্তারে মনোযোগী, উহা কেহ আমাদিগকে বুঝাইয়া দিলে কৃতজ্ঞ-চিত্তে অtহলাদের সহিত আমাদের মন্তব। প্রত্যাহার করিব । খাজানা আদায়ের জন্ত জমাদারদের বা তাহীদের কৰ্ম্মচারীদের পরিশ্রম, সমান পরিমাণ টাকা রোজগারের জন্ত অন্য অনেক শ্রেণীর লোকদের দৈহিক-মানসিক শ্রমের সমতুলা নহে। র্যাঙ্কার ধণ করিয়া লাট রক্ষা করেন, জমীদারী মোটের উপর লাভজনক না হইলে উtহার। তাছা করিতেন না –-করিতে পারিতেনও না। কারণ, যাহা লাভজনক নহে, তাহা বন্ধক রাখিয়; মহাজন ঋণ দেয় না । যাহারা নিজে জমাদারী উপজ্জন করেন, তাহারা ওকালত। বারিষ্ঠার প্রভৃতি দ্বারা অর্থ সঞ্চয় করিয়া করেন। ওকালতী প্রভৃতি কাজ শিক্ষা সাপেক্ষ । শিক্ষিত লোকেরা সবাই গরীব শ্রমজীবী প্রভূতির নিকট শিক্ষার জন্য অংশতঃ ঋণী । শিক্ষা-বিস্তার দ্বারা এই ঋণ শোধ করা তাহদের কত্ত্ববা । এইরূপ কথা আষাঢ়ের ‘বিবিধ প্রসঙ্গে” আমরা লিখিয়াছি। সুতরাং নিজে জমাদারী-উপার্জক, বা উকীল, বা বারিষ্টার, বা মোক্তার প্রভৃতি শিক্ষিত শ্রেণীর লোকদের কৰ্ত্তব্য ঐরাপ কথা দ্বারাই উল্লিখিত হইয়াছে ; প্রত্যেক শ্রেণীর পুথক পৃথক উল্লেখ না করায় কোন দোষ হয় নাই । যাহার কোম্পানীর কাগজ ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখিয় তাহার সুদ হইতে আরামে কালক্ষেপ করেন, তাহারা শিক্ষিত লোক হইলে, উগ্ৰহাদেরও উল্লেখ করা হঠয়াছে ধরিতে হক্টবে। যদি তাহারা অশিক্ষিত হন, তাহা হইলে তাহার। আমাদের উল্লিখিত কোন শ্রেণীর অন্তর্গত নহেন বটে। ইহা দেখাইয়া দেওয়ায় আমরা প্রতিবাদকারীর নিকট কৃতজ্ঞ । জমাদারদের মধ্যে সকলেই শিক্ষিত কি না জানি না, অনেকে শিক্ষিত তাহাতে সন্দেহ নাই । তাছাদের দায়িত্ব বেশী—শিক্ষিত বলিয়া দায়িত্ব, জৰ্মীদার বলিয়া দায়িত্ব । পরিশেষে বক্তব্য এই, যে, জর্মীদারদের যাহা কৰ্ত্তব্য বলিয়। আমরা বলিয়াঢ়ি তাহ বাস্তবিক তাহদের কৰ্ত্তব্য কিনা, তাহাই আসল প্রশ্ন । যে কারণে, আমরা তাহা উগ্ৰহাদের কৰ্ত্তব্য বলিয়াছি, সে কারণটা যদি ঠিক না হয়, তাহা হইলেও কৰ্ত্তবাটি অকৰ্ত্তব্য হইয়া যাইবে না। অন্ত কাহারও কৰ্ত্তব্য নির্দেশ আমরা যদি না করিয়া থাকি, কেবল মাত্র সেই কারণেও জর্মীদারদের কর্তব্যটি অকৰ্ত্তব্য হুইবে না। অতএব শিক্ষা-বিস্তার তাহদের কৰ্ত্তব্য কি না, তাহা তাহার, তাহাদের কৰ্ম্মচারীরা ও উtহাদের পক্ষ-সমর্থকেরা বিবেচনা করিলে ভাল হয়। asa~: