পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] উঠাইবার এক প্রধান উপাদান ) খুব জোরে জোরে ঘধিয়া দিন । তৎপর কেরোদিন বা ভাল সরিষার তৈল স্বারা বারবার ঘধিতে থাকুন। অবশেষে সোডা ও কাপড়-কাচা সাবান দ্বারা কলচিয়া লইলে আলুকাতরার দাগ উঠিয়া যাইবে । পরীক্ষিত। ২ । জামিরের রসের ভিতর দাগযুক্ত স্থানটি কয়েক ঘণ্ট। ডিজাইয়া রাগিয়া পরে ভাল সাবান ও সমপরিমাণ চুণ গরমজলের সহিত মিশাইয়া লউন। এই মিশ্ৰিত জল দ্বারা কাপড় ধুইলে দাগের চিঙ্গও থাকিবে না । পরীক্ষিত । ীি রমেশচন্দ্র চক্রবর্তী ( : " ) ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষার স্কুল Rপ্রসিদ্ধ গ্রন্থকার শ্ৰীযুত সন্তোষ নাথ শেঠ মহাশয় Mahalajah Kasimbazar's Polytechnic Hostitute, 1-3 Nanda Lal Bose Lane, Calcutta তে হাতেকলমে ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষাদিবার ভার লইয়াছেন। উপরোক্ত ঠিকানায় চিঠি লিখিলে সমস্ত বিষয় জানা যায়। শ্ৰীমতী বীণাপাণি দত্ত ( >s ) শব্দের বুৎপত্তি "সাবেক' শব্দটা বিদেশীয় । আরবীয় ভাষা হহঁতে আসিয়াছে । "বাহার' সম্বন্ধেও ঐ কথা । “পয়মস্ত”, “টের” ও “হেঁসেল শব্দ দেশজ বলিয়াই মনে হয় । বাঙ্গালী ভাষায় ও সম্বন্ধে কোন বুৎপত্তিগত অর্থ পাওয়া যায় না । চমৃতিতেই প্রচলিত। “আইবুড়”—সংস্কৃতের অপভ্রংশ অবুঢ় চাইতে আসিয়াছে। "গড়" শব্দের প্রকৃত অর্থ পরিখ : ক্ষরিত অর্থেও দেপা মায় । প্রণাম অর্থভাবে ব্যবহৃত হয় । “ঘর” শব্দ সংস্কৃত গৃহ শব্দের অপভ্রংশ ! “ফলাহারের” প্রকৃতিগত অর্থ—ফলভোজন ( ফল + আহার ) { যদিও অধুন। ঐ অর্থে কলার অর্থাৎ দ্বধাদি সংযোগে চিপিটকাদি ভোজন বা লুচিসন্দেশ ভোজনই বুঝায়। ] "কবুল” ও আহাম্মুক” শব্দ আরবীয়। শেষোক্ত শব্দটি আহাম্মুক নহে—( যদিও আমরা ঐ শব্দের সহিত পরিচিত) আহ মক প্রকৃতরূপ । শ্ৰী বৈকুণ্ঠনাথ মুখোপাধ্যায় আহাম্মুক, আহাম্মুক এই শব্দ আরবী আহ মকৃ’ শব্দজ আহমকা শব্দের অপভ্রংশ ‘জাহান্মুক । উহার অর্থ নিৰ্ব্বোধ অর্থাৎ বেওকুফ । আইবুড়ো—প্রকৃতিবাদ অভিধানে ইহা আরব শব্দজ বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। কিন্তু খ্ৰীযুক্ত জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস মহাশয় বাঙ্গালা ভাষার অভিধানে ইহাকে সংস্কৃত অৰূঢ়" (অর্থ অবিবাহিত) শব্দজ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন অর্থাৎ সোজা কথায় বলিতে গেলে ‘অবুঢ় শব্দের অপভ্রংশে আইবুড়ো জাইবুড়ো বা আইবড় পদ হইয়াছে (এখানে বলিয়া রাখি যে, সংস্কৃত বৃদ্ধ হইতে প্রাকৃত ‘বুড়ে' বা বুড় চো এবং হিন্দী বুড় ঢ়া হইতে গ্রাম বুড়া, বুড়ো শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে ) { “বাহার" দেওয়া--"বাহার" শব্দটা ফারসী ‘বহার’ শব্দজ অর্থাৎ ‘বহা’ শব্দের অপভ্রংশে "বাহার" ; উহার অর্থ সৌন্দর্য, চটক । বাহার দেওয়া'-যাহাতে স্বল্পর দেখায়, এমন সাজ-করা। বেতালের বৈঠক సి) ) পয়মস্ত-পয় + মস্ত । পিয়’ শব্দটা সংস্কৃত ‘পদ হইতে হিন্দী ও’ হইয়া বাঙ্গালী ভাষায় পয়’ হইয়াছে। পয়’ অর্থ সৌভাগ্য, স্বলক্ষণ, আর "মস্ত যুক্ত। অতএব পরমস্ত শখের অর্থ ভাগ্যবান, সুলক্ষণাক্রান্ত । ‘টের" পাওয়া—সংস্কৃত ‘তিৰ্য্যকৃ’ (অর্থ বক্র ) শব্দের অপভ্রংশে (হিনী টেঢ়া শব্দজ ) ‘টের’। ‘টের পাওয়া অর্থ জানিতে পার । গাদা করিয়া রাখা—হিন্দী গান হইতে উত্তম পুরুষে গাদি, মধ্যম পুরুষে গাদ ১ম পুরুষে গাদেন এবং পরিশেষে প্রাদেশিক অসমাপিকা ক্রিয়ায় গাদা করিয়া রাখা (অর্থাৎ গাদিয়া বা স্ত,পকার করিয়া ঠাসিয়া রাখা ) হইয়াছে । ‘গড়’ হইয়া প্রণাম—সংস্কৃত গঠন, হিন্দী গঢ়নী, প্রাকৃত গঢ়ো" শব্দ হইতে বাঙ্গলায় ‘গড়’ হইয়াছে। গড় হইয়া প্রণাম করার অর্থ সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করা। কবুল করা—“কবুল আরবী কবুল" শব্দোৎপন্ন। কবুল করা অর্থ-স্বীকার পাওয়া , সম্মত হওয়া । ‘সাবেক—আরব সাবিকৃ’ হইতে সাবেক হইয়াছে। সাবেক শব্দের অর্থ পূর্বের, পুরাতন। ‘হেঁসেল—ইড়িশাল" ( রন্ধনস্থান, পাকশাল ) হইতে শব্দের উৎপত্তি। উহার অর্থ রঙ্গানাগার । ফলাহার—ফলের আহার হইতে (ফলাদির ভক্ষণ, অন্ন ভিন্ন অষ্ঠাস্ত আহারীয় সামগ্রী ভোক্তন ) ফলাহার এবং সংক্ষেপে ‘ফলার’ ( "ফলার' ) গ্রাম শব্দ হইয়াছে। N. B, বাবু জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস প্রণীত “বাঙ্গালা ভাষার অভিধান'এর সাহায্য গ্রহণ করিয়াচি ।

  • হেঁসেল

শ্রী রমেশচন্দ্র চক্রবর্তী পয়মস্ত শব্দ ‘পদমস্ত’ হইতে । পদমন্ত-পত্যমন্ত-পয়মস্ত । সাবেক আরবী শব্দ=পূর্বের। ‘বাহার' ফার্সী শব্দ = বসন্ত ; তারপর এখন বাংলায় সুন্দর অর্থে ব্যবহৃত হয় । গড়-ডাঃ নীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের মতে দেশী শব্দ । গত০ মাগধী প্রাকৃতে গট>গড় ( কৃষ্ণকীৰ্ত্তন ) কোথাও যাইবার সময় যে প্রণাম বোধ হয় পূর্কে তাহাই বুঝাইত। এখন অর্থের পরিবর্তন ঘটয়াছে। গাদী—স গাধ স্ত,প-গাদ +আ>গাদা। টের-দেশী শব্দ । আইবুড়ে—শ্ৰঅৰূঢ় ; অথবা স্বনীতি-বাবুর মতে সংস্কৃত আহ্বৃদ্ধ শবদ হইতে । হেঁসেলঘর <হাড়িশাল, হাত্তিশাল, হাড় সাল-হেঁস্কেল>হেঁসেল কবুল আরবী শব্দ eশ্বীকার আহাম্মক—আরবী আহ মক্‌ শব্দ হইতে, অর্থ নিৰ্ব্বোধ । সুরেশচন্দ্র দাস । ( → • ) সেলাই শিক্ষা খ্ৰীযুত যোগেন্দ্রকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত “সহজ সেলাই শিক্ষা' সৰ্ব্বপ্রকার পোষাকের দ্বtট কাট ও সেলাই শিথিবীর পক্ষে উৎকৃষ্ট পুস্তক । চারিখণ্ডে মূল মাত্র ৩/• । ঐসতীশচন্দ্র মিত্র ।