পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] এবারেও তাহারা পরাজিত হইল এবং জগলুল ছয় ঘরের জন্ত নিৰ্ব্বাধিত হইলেন । কিন্তু মিশরের অশান্তি দমন হইল না । জগলুলের অবর্তমানে উপহার সহচরগণ দেশবাসীকে উপহার আদর্শে অনুপ্রাণিত করিতে লাগিল । ইতিমধ্যে ইউরোপে মহাসমর বাধিল । যুদ্ধের অবসানে মিশর সন্ধি-সভায় প্রতিনিধি প্রেরণের দাবী উত্থাপন করিল, কারণ রাষ্ট্রপতি উইলসনের জাতীয় স্বরাষ্ট্রবাদের কথায় তখন পরাধীন জাতির উল্লসিত হইয়া উঠিয়াছে। তাহাদের আশা যে সন্ধি-সভায় নিজেদের জাতীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত করাইবে । কিন্তু ইংরেজ এই দাবী অগ্রাহ করিল। জাতীয় দলের নেতা জগলুল প্রতোক মিশরবাসীকে হয় স্বাধীনতার গৌরব-মুকুট কিম্ব স্বদেশের মুক্তি কামনায় আত্মবিসর্জনের মহিমাময় মৃত্যু বরণ করিতে আহ্বান করিলেন। জগলুলকে আবার অন্তরারিত করা হইল। মিশরের জাগ্ৰত জনমত ইহার তীব্র প্রতিবাদ করিল। জগলুলের অনুচরদলের ইঙ্গিতে মিশরের জাতীয়দল সরকারের সহিত অসহযোগ করিলেন। ফলে মিশরের অবস্থা সঙ্গীন হইল । ইংরেজ কমিশন বসাইয়া মিশরে দেশ রাজা স্বীকার করিয়া এই প্রবল আন্দোলন কিছুকালের জন্ত থামাইলেন। কিন্তু জগলুল ও উপহার দেশবাসী সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাইবার জন্ত বাগ্র । তাহারা এই ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হইয়া আরও আন্দোলন করিতে লাগিল। নির্বাচনে জগলুলের দল জয় লাভ করিয়া জগণুল প্রধান মন্ত্রী হইলেন । মন্ত্রী-সভা মিশরে ইংরেজের সামরিক কত্ত্ব ত্ব উচ্ছেদ করিবার দাবী করিলেন । এই সময় হঠাৎ সুদানের ইংরেজ শাসন-কত্ত স্তার লি ষ্ট্যাক নিহত হইলেন । ইংরেজ মিশরউপকূলে সাজোয় জাহাজ পাঠাইয় বিপুল ক্ষতিপূরণ ও জগপুলের পদত্যাগে দাবী করিল। গুগলুল পদত্যাগ করিলেন কিন্তু পুননির্বাচনে আবার জয়ী হইলেন । ইংরেজ আবার নিতাস্ত অসঙ্গত ভাবে দাবী করিল যে গুগলুলকে মন্ত্রী গঠন করিতে দেওয়া হইবে না । বলদৃপ্ত ইংরেজের দাবীতে জগলুল ভীত হইলেন না কিন্তু দেশে অশান্তি ঘটাইতে নারাজ বলিয়া তিনি মন্ত্রীমণ্ডল গঠন করিলেন ন—মধ্য-পষ্ঠীরা মন্ত্রীগঠন করিল। জগলুল আইন সভায় সভাপতি হইলেন। গার্হস্থ্য জীবনে জগপুল খুব স্বর্থী লোক ছিলেন। তাহার পত্নী সদাসৰ্ব্বদা স্বামীয় কার্যো সহায়তা করিতেন। জগলুল-মহিী মিশরের নারী-জাগরণের প্রধান নেত্রী । ইউরোপীয় মহাযুদ্ধের অবসানে জগলুল ও তাহার সহকৰ্ম্মীগণের নির্বাসনের পর এই মহিয়সী নারী দেশবাসীকে আহবান করিয়াছিলেন এই বলিয়া, “ইংরেঞ্জদিগকে অস্বীকার কর । তাহাদিগকে কোনও রকমে সাহায্য করিও না । হে সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর, তুমি আমাদের পরম অন্তরঙ্গ নির্বাসিতদিগকে আমাদের নিকট প্রস্তার্পণ কর। উাহারা যেন মুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল স্বাধীনতার আলোকের সঙ্গে শীঘ্রই স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন।" বীর স্বামীর মহাপ্রয়াণের পর তিনি স্বামীর আরগ্ধ কাৰ্য্যে নিজেকে নিয়োজিত করিয়াছেন। সমগ্র মিশরবাসী জগলুল-মহিষীর সহায়তা করিবেন সন্দেহ নাই । গুগলুলের জন্ত মিশরবাসীর দেশজোড়া শোকচ্ছ,সি দেখিয়া কতকটা অনুমান করা যায় তিনি মিশরবাসীর কিরূপ প্রিয় ष्ट्रिप्शन । भित्रप्झग्न छोडौग्न औक्रनग्न अिक अडि मकोोश्रङ्ग भूक्ष्ट्र्ड রাষ্ট্রীর জগলুল পাশার পরলোকগমন সংবাদে স্বাধীনতাকামী প্রত্যেক নরনারীই মর্যাহত হইবেন। দেশবিদেশের কথা—বিদেশ >○ SS S SSAS SSASAS SS SS م۔ -یں۔ --۶ \۔r. r.- ت"۰ ء * কানাডায় হীরক-জুবিলি-উৎসব— সম্প্রতি ইংলণ্ডের যুবরাজের উপস্থিতিতে অত্যস্ত ধুমধামের সহিত কানাডায় জাতীয়তার উৎসব অনুষ্ঠিত হুইয়াছে। যাট বৎসর হইল ঐ প্রদেশের বিভিন্ন প্রদেশগুলি এক হইয়া একটি রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া এই উৎসব। ১৮৬৭ সালে ইংরেজের ইঙ্গিতে এই একত্রীকরণের সময় যদিও কোন কোন প্রদেশ যথা নোভাস্কোশিয়া, নিউরান্সউইক প্রভৃতি রাষ্ট্র আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিল কিন্তু তাহ গ্রাহ হয় নাই ! এখন যুক্তকানাডায় আর কোন অসন্তোষের বীজ নাই। কিন্তু এই ষাট বৎসরে সংযুক্ত কানাডা জাতীয় স্বাধীনতার দিক দিয়া ও দেশের ধন-সম্পদের দিক দিয়া অনেক উন্নতি লাভ কগ্নিয়াছে । এখন কানাডা আর ভারতের মতন সব বিষয়ে ইংরেজদের অধীন নহে । কানাডার গভর্ণর বিলাত হইতে প্রেরিত হইলেও তিনি কানাডা রাষ্ট্রপরিষদের অমতে কোন কাৰ্য্য করিতে পারেন না । কানাডায় মন্ত্রীসভা বিলগতের মন্ত্রীসভার সহিত রাজকাৰ্য্যের আদান প্রদান করে ও বিদেশে রাজদূত পাঠায় । ১৯২৬ সালের ডোমিনিয়ন কন্‌ফারেন্সের আলোচনার ফলে কানাডা, আয়ালাও ও দক্ষিণ আফ্রিকার এইরূপ জাতীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত হইয়াছে । ভারতবর্ষ এই সভায় আহুত হইয়াছিল, কিন্তু সে যে তিমিরে সেই তিমিরেই রহিয়া গেল । প্রবাসী ভারতবাসীদের কথ!— কেনিয়া কেনিয়া স্বায়ত্বশাসন বিভাগের রিপোর্টে প্রকাশ নে ভবিষ্যতে নাইরোবি ও মোম্বাসা মিউনিসিপ্যালিটিতে ভারতীয়গণ অল্প সংখ্যক - প্রতিনিধি পাঠাইবে । কিন্তু ঐ দুই প্রতিষ্ঠানে ইউরোপীয় বণিকদের জষ্ঠ প্রতিনিধি সংখ্যা বৃদ্ধি করা হইয়াছে একেনিয়ার ভারতীয় সম্প্রদায় এই ব্যবস্থার তীব্র প্রতিবাদ করিয়াছেন, কিন্তু তাহাতে কি ফল হুইবে তাহ জানা যায় নাই । o নেটাল নেটলের ‘ইণ্ডিয়ান ভিয়ুস নামক সংবাদ-পত্র লিখিতেছেন যে, তথাকার শতকরা ৭৩ জন ভারতীয় বালক-বালিকা অশিক্ষিত । উক্ত পত্র লিখিতেছেন যে ভারতবাসীরা প্রাচীনকালের গৌরবের বড়াই না করিয়া যেন ভারতের ভবিষ্যৎ বংশধরগণকে হুশিক্ষিত করিয়া তুলিতে প্রয়াসী হন। নেটলের ভারতীয় শিশুদের হশিক্ষা দিবার নিমিত্ত ভারতবর্ষ হইতে কতকগুলি গ্রাজুয়েট পাঠাইলে ভাল হয়। ডারবান মাইরোবির ডিমোক্রাট’ সংবাদপত্রে প্রকাশ যে প্রার ৪০০ ভারতীয় শ্রমিক ডারবান হইত বসত উঠাইয়া সে স্থান পরিত্যাগ করিয়াছে । পূৰ্ব্ব-আফ্রিকা পূর্ব-আফ্রিকায় ভারতীয় সমস্ত জটিলতর হইয়া উঠিতেছে। সেখানকার ভারতীয় ব্যবসায়াদিগকে উচ্ছেদ করিবার জন্ত বিপুল ষড়যন্ত্র হইতেছে । স্তার সিডনি হেন নামক একজন পালর্ণমেণ্টের সদস্ত সম্প্রতি লণ্ডলের একটি সভায় পূৰ্ব্ব-জাফ্রিকার ভারতীয়দের বিরুদ্ধে কতকগুলি অযথা ও মিথ্যা কুৎসা আরোপ করিয়াছেন। তিনি বলিয়ছেন, “পূর্ব আফ্রিকার ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ভারতের রাজনৈতিক । আন্দোলনকারীদের হাতের ক্রীড়নক মাত্র। ব্যবসা সম্পর্কে ও ব্যক্তিগত ব্যাপারে তাহদের নৈতিক চরিত্র অত্যন্ত হীন এবং তাহাদের দেখাদেশি পূৰ্ব্ব-স্বাফ্রিকার অধিবাসীরাও অধঃপতনে যাইতেছে।”