পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలి8 কাৰ্য্যলন্ধ অভিজ্ঞতা আছে, এরূপ অধ্যাপক কতকগুলি না হইলে ছাত্রদের শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ হয় না। সেইরূপ র্যাহার মেডিক্যাল কলেজ ও স্কুল সমূহে এবং আয়ুৰ্ব্বেদ বিদালয় সমূহে অধ্যাপকতা করেন, তাহার যে চিকিৎসাও করেন, তাহাতেও ছাত্রের অভিজ্ঞ লোকদের উপদেশ পাইবার সুযোগ পায়। কিন্তু র্যাহার ওকালতী ব্যারিষ্টারী করেন, র্তাহারা আইন কলেজের অধ্যাপক তা ছাড়া যদি আবার ইংরেজী সাহিত্য প্রভৃতিরও অধ্যাপক হন, তাহা হইলে নানা দিকৃদিয়া তাহ আপত্তির কারণ হয়। ওকালতী ব্যারিঞ্জারী করিবার জন্ত আইন জান ও আইনের চর্চা রাখা আবশ্যক । এই জ্ঞান ও চর্চা আইন কলেজে অধ্যাপনার সময় কাজে লাগে । কিন্তু আইনের ব্যবসা করিতে করিতে, আইন কলেজের অধ্যাপকত; করিতে করিতে, যাহারা কেবলমাত্র সাহিত্যাদির অব্যাপকতা করেন, সাহিত্যাদি বিষয়ে তাহাদের সমকক্ষ হওয়৷ দুঃসাধ্য। তা ছাড়া, আইনব্যবসায়ী লোককে সাহিত্যাদির অধ্যাপক করিলে, অব্যাপকতাকেই যাহা জীবনের কার্য্য করিয়াছেন বা করিতে প্রস্তুত, এরূপ লোকেদের উপর অবিচার করা হয় । যাহারা উকিল ব্যারিঃার নহেন, কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যাদি শ্রেণীতে অধ্যাপকতা করিতে প্রস্তুত এবং করিবার যোগ্য, এরূপ লোক কলেজের অধ্যাপকদের মধে। অনেক আছেন, এবং বাহিরেও আছেন। সেরূপ লোক থাকিতে, কোনও উকীল বা ব্যারিষ্টারকে আইনকলেজের অধ্যাপকের পদের উপর আরও অন্ত অধ্যাপকতা দেওয়া উচিত নহে, দিবার আবশ্যক ও নাই। কিন্তু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বৎসর হইতে এক একজন মানুষের বহুপদ-অধিকার কুপ্রথা চলিয়া আসিতেছে । ইহা বন্ধ করা উচিত। এই কুপ্রথার দৃষ্টান্ত দিতেছি । ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেণ্ডারে আইন কলেজের অধ্যাপকদের মধ্যে নিম্নলিখিত নামগুলি দেখিতে পাইতেছি – 彰 প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যার, এম-এ, বি-এল ; রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, এম এ, বি এল ; রাধাবিনোদ পাল, এম-এ, ডি-এল ; মোহিনীমোহন ভট্টাচাৰ্য, এম-এ, বি-এল ; கள் প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ SAAAAAA AAAA AAAA BBBBBBBSBBBBAeiMMMMSMMMMA AeeeAAAA [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড অজয় দত্ত, এম্-এ, বি-ণি-এল ; এম্-এ খুদা বখশ, এম-এ, বি-লি-এল তামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, এম-এ, বি-এল ( ছুটতে ) ৷ ইহঁাদের মধ্যে মোহিনীমোহন ভট্টাচাৰ্য্য ও রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আবার ইংরেজীর অধ্যাপক, শু্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ( ছুটতে ) আবার ভারতীয় দেশভাষার অধ্যাপক, প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ইতিহাস এবং অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান এই দুটি বিভাগের অধ্যাপক, অজয় দত্ত ও খুদা বখশ আবার ইতিহাসের অধ্যাপক, এবং রাবাবিনোদ পাল আবার বাণিজ্যের অধ্যাপক । আমরা ইহাদের যোগ্যতা সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করিতেছি না। আমরা কেবল ইহাই জানিতে চাই, যে, যাহারা কেবল অধ্যাপকতা করেন বা করিতে প্রস্তু ত, এমন আটজন যোগ্যলোক কি বাংলাদেশে বা ভারতবর্ষে ইহঁার। যে-বেতন পান সেই বেতনে সপ্তাহে ইহঁাদের সমাল সময় ইহঁদের অব্যাপনার কাজগুলি করিবার জন্ত পাওয়া যায় না ? নিশ্চয়ই আগে ও পাওয়৷ যাইত, এখনও পাওয়া যায় । বাংলা দেশে নারীনিগ্ৰহ বাংলা দেশে দুবৃত্ত লোকদের দ্বারা নারীদের উপর যত অত্যাচার হয়, তাহার সবগুলা খবরের কাগজে প্রকাশিত হর না, সবগুলার জন্ত আদালতে মোকদ্দমাও হর ন৷ { লোকলজ্জার ভয়ে, সামাজিক পাতিত্যের ভয়ে, দুবৃত্তদের প্রতিহিংসার ভয়ে এবং সাক্ষীদের ভীরুতায় অনেক ঘটন। চাপা পড়িয়া ষায়। বাকী যাহা প্রকাশিত হয়, সঞ্জীবনী কাগজে তাহার তালিকা অনেক সপ্তাহ ধরিয়া প্রকাশিত হইতেছিল ৷ ১৩২৯ সাল হইতে ১৩৩৩ পর্য্যস্ত যত ঘটন} ঘটিয়াছে, সহযোগী তাহার তালিকা দিয়া সংক্ষেপে কয়েকটিতালিকায় তাহার সার সংগ্ৰহ করিয়া দিয়াছেন । আমরা তাহা হইতে কতকগুলি সংখ্যা সংকলন করিয়া দিতেছি। প্রথমে দিতেছি কোন জেলায় কোন সালে কতগুলি ঘটন। ঘটয়াছে তাহার সংখ্যা।