পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88७ প্রতিনিধিগণ অবস্থিতি কৱিগ যুদ্ধ করি ع " مه و یا ۶ مه و * های ه» * ، ۰ - ۰ "۶۰ ه. ه. , r دهه به সিপাহীগণ প্রবেশ দ্বার, রুদ্ধ করিয়া সহরে ঘোর অত্যাচার করিতেছিল। এই সময়ে রোতকের সৈন্তাগণ আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহারা দ্বার খুলিতে বলায় ভিতর হইতে উত্তর অমিল, তোমরা আমাদের স্বপক্ষ কি বিপক্ষ কিরূপে বুঝিব ? প্রথমে ইংরাজের সহিত যুদ্ধ করিয়া পরীক্ষা দাও পরে ভিতরে আসিতে পাইবে। তাহারা যখন যুদ্ধে ব্যাপৃত হইল, রাসবেহারী বাবু তখন পলায়নের প্রকৃত অবসর বুঝিয়া যথাসৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়া কেবলমাত্র পথসম্বল স্বরূপ ২• • মাত্র টাকা লইয়া একদিন সন্ধ্যাকালে প্রস্থান করিলেন। সমস্ত রাত্রি অনবরত চলিয়া সকালে রোতকে আসিয়া পৌছিলেন। দৈবশক্তিবলে তিনি এক রাত্রে দিল্লী হইতে রোতকে আসিলেন বটে কিন্তু তাহার পদদ্বয় এত ফুলিয়াছিল যে জুতা কাটাইয়া খুলিতে হইয়াছিল! তিনি রোতকে ফিরিয়া আসিলেন বটে কিন্তু সেথানে তখন মহা বিশৃঙ্খলা, বড়ই গোলমাল । সময় পাইয়া সহরের যত বদমায়েস ডাকাইতি লুট খুন করিতে লাগিল। সাধু সন্ন্যাসী ফকিরগণও তাহদের হাতে নিস্কৃতি পাইল না । তাহারা পথিক সন্তাসী ফকির প্রভৃতি দেখিলেই ছদ্মবেশী গৃহস্থ ভাবিয়া নিৰ্য্যাতন আরম্ভ করিল। আবার সিপাহীরাও ইংরাজের গুপ্তচর ভাবিয়া তাহদের হত্যা করিতে লাগিল! সে ভয়ানক বিপ্লবের কথা বর্ণনাতীত ! চারিদিকে সেই ঘোর বিপদের সময় রাসবেতার বাবু রোতকে ফিরিয়া আসিলেন। লুট, মার, হত্যা ক্ৰন্দনে সহর তোলপাড় হইতেছে । কেহ কাহাকে আশ্রয় দেয় না। একস্থানে একটা বড় মাটির স্ত,প ছিল। তাহার উপর একজন সন্ন্যাসী বাস করিতেন। তিনি সেখানে আশ্রয় লইলেন। পূৰ্ব্বে রোতকে বাস কালীন সন্ন্যাসী তাহাকে চিনিতেন । আশ্রয় দিয়া সন্ন্যাসী তাহার বেশ পরিবর্তন করাইয়া রীতিমত সন্ন্যাসী সাজাইলেন । বলিলেন, “ও বেশে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে ধরা • পড়িবে এবং দুজনেরই প্রাণ যাইবে।” তিনি বলিলেন, “সন্ন্যাসীরাই নিরাপদ কোথায় ? তবে যতক্ষণ যায় ততক্ষণ उंॉछ !” একদিন সেখানে জন কয়েক সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত হারা ইহঁাদের নিকট বসিয়া গল্প করিতে লাগিল। প্রবাসী । নানা কথার পর একজন সার্স রাসবিহার বাবুকে তামাকু [ ৭ম ভাগ । সাজিতে বলায় তিনি উঠিলেন। নুতন সন্ন্যাসীরা স্ত,পবাসী ' সন্ন্যাসীকে বলিল “তোর কাছে কি আছে দে নচেৎ তোকে হত্যা করিব।” তাহদের কথার প্রণালী ও পরম্পর ইঙ্গিত প্রভৃতি দেখিয়া রাসবেহারী বাবুর মনে প্রথমাবধি সন্দেহ হইয়াছিল। পরে তাহাদের পূৰ্ব্বোক্ত কথা শুনিয়া ইহার যে সন্ন্যাসী বেশে দম্য বেশ বুঝিতে পারিলেন। তিনি কলিকার ছিদ্রে দিবার ঢিল খুজিতে খুজিতে স্ত,প হইতে নীচে অবতরণ করিয়া ভাবিলেন ইহাদের অভিপ্রায় দেখিতেছি ভাল নয় ; ইহার ৫৭ জনে আক্রমণ করিলে আমরা কিছুই করিতে পারিব না ; বিশেষত ইহারা সশস্ত্র। এই ভাবিয়া ধীরে ধীরে তাহাদের অলক্ষিতে যাইয়া একটি বৃক্ষে আরোহণ করিয়া বসিয়া রছিলেন। ডাকাষ্টতের গুপ্ত ধনের জন্ত সন্ন্যাসীকে অত্যন্ত যাতন দিতে লাগিল। তাহার হাত পা বাধিয়া চিমটা গরম করিয়া স্থানে স্থানে পোড়াইয়া দিল । সন্ন্যাসী যাতনায় চীৎকার করিতে লাগিলেন । যে স্থানে সন্ন্যাসী বসিত ডাকাতেরা সে স্থান খুড়িয়াও যখন কিছু পাইল না তখন তাহারা তাহাকে সেই অবস্থায় সেখানে, ফেলিয়া রাসবেহারী বাবুকে এদিক ওদিক খুজিল। র্তাহাকে দেখিতে না পাইয়া নানাবিধ অকথ্য ভাষায় গালি দিতে দিতে প্রস্থান করিল। তাহার। চলিয়া গেলে রাসবেহারী বাবু বৃক্ষ হইতে অবতরণ করিয়া সন্ন্যাসীর বন্ধন মোচন করিয়া তাহার চৈতন্য সম্পাদন করিলেন। সন্ন্যাসী তাহাকে দেখিয়া বলিলেন, “সাধু তুমি কোথায় ছিলে ? ঈশ্বরকৃপায় তুমি যে রাত্মাদের হাতে পড় নাই এজন্য তাহাকে ধন্যবাদ দাও। দেখ আমার কি দুর্দশা হইয়াছে। চল আমরা দুজনে এখান হইতে প্রস্থান করি।” এই বলিয়া তাহারা দুজনে সেখান হইতে প্রস্থান করিলেন। কিয়দর গমন করিয়া তাহার জানিতে পারিলেন, ডাকাতের তাহদের অমুসরণ করিতেছে। র্তাহারা অতি দ্রুত বেগে চলিয়া সম্মুখে এক বৃহৎ জলাশয় দেখিয় তাহাতেই ঝম্প প্রদান করিয়া সন্তরণে পার হইতে লাগিলেন। সেই জলাশয়ের ভিতরে খানিকটা পাথরের ঢিবি ছিল ; তাহা জানা ছিল না বলিয়া অসাবধানত বশতঃ সন্ন্যাসীর মাথায় তাহাতে দারুণ আঘাত লাগিল। রক্তপাত হইয়া চৈতন্ত বিলুপ্তপ্রায় হইল