পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88b" দুইজন সৈনিক প্রতি ঘরে ঘরে ৰাষ্ট্র বা "ল | § বাবুকে তোমরা কে লুকাইয়া রাখিয়াছ শীঘ্র বাহির করিয়া দাও নচেৎ তোমাদের গ্রাম শুদ্ধ তোপে উড়াইয়া দিব ।”. গ্রামবাসিগণ তাহদের "সাধু কে "পণ্টনের বাবু বলিয়া । কেহই জনিত না। সুতরাং সৈনিকদের কথায় তাহার মহাভীত হইয়া এ বিপদ হইতে উদ্ধার পাইবার জন্য সন্ন্যাসীর আশ্রয়ে গিয় তাহাকে সকল কথা নিবেদন করিল। তিনি সৈন্তদের ডাকাইয়া বলিলেন, “আমাকে তোমাদের প্রভুর নিকট লইয়া চল, পল্টনের বাবুর সন্ধান আমি বলিয়া দিব।” পরে তিনি গ্রামবাসীদের আশ্বাসিত করিয়া নিজ নিজ গৃহে যাইতে বলিয়া সৈন্তদের সঙ্গে হডসন সাহেবের নিকট আসিয়া নিজ পরিচয় প্রদান করিলেন, হডসন সাহেব তাহাকে সবিশেষ জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া পূৰ্ব্ব লেখার সহিত হাতের লেখা মিলাইয়া তাহাকে সঙ্গে করিয়া সৈন্ত সহিত দিল্লীতে পৌছিলেন। দিল্লীতে পৌঁছিয়া সেবিয়ার সাহেবের আজ্ঞার নিমিত্ত লোক পাঠাইলেন। সাহেবের হুকুম ও সে দিনের “প্যারোলের” সঙ্কেত জানিয়া দূত ফিরিয়া আসিলে, তাহারা ভিতরে প্রবেশ করিলেন। সেবিয়ার সাহেব তাহাকে দেখিয়াই চিনিতে পারিলেন। তাহার বেশ দেখিয়া বীর সেবিয়ারের চক্ষে জল আসিল । সেই দিনই সাহেব র্তাহার বেশ পরিবর্তন করাইয় দিলেন। দিল্লীতে শান্তি স্থাপিত হইলে তাহারা অম্বালায় আসিলেন এবং তথা হইতে সপরিবারে এলাহাবাদে আইসেন। এই ভয়ানক বিপ্লবের সময় তাহার পরিবারবর্গ অত্যন্ত উদ্বেগে কালযাপন করিতেছিলেন। তিনি জীবিত আছেন এই সংবাদের জন্ত কতই অর্থ ব্যয় করিয়াছেন ; কিন্তু এ সংবাদ কেহই নিশ্চয়রূপে দিতে পারে নাই। অধিকন্তু অর্থলোভে অনেকে তাহাকে দেখিয়া আসিয়াছি বলিয়া অর্থ আদায় করিত। র্তাহার বন্ধুগণ সকলেই মনে করিয়াছিলেন তাহার মৃত্যু হইয়াছে, কিন্তু জগদীশ্বর তাহাকে দীর্ঘ জীবন দিয়া 'পৃথিবীতে পাঠাইয়াছিলেন, সিপাহী বিদ্রোহের পর তিনি ৪৩ বৎসর জীবিত ছিলেন। এলাহাবাদে আসিয়া তিনি পুনরায় কলেক্টরি আফিষে কৰ্ম্ম করিতে লাগিলেন ; এবং কিছুদিন কৰ্ম্ম করণাস্তর যথাকলে পেন্সন লইলেন ; পেন্সন লইয়া সমস্ত সাংসারিক প্রবাসী । डात्र जलब डेगन शिनिॉकड भन्न श्रेक्बाश्रीगन ७ . [ ৭ম ভাগ । অবকাশ মত চিকিৎসা:ব্যবসায় করিতে লাগিলেন । প্রত্যহ অনেক লোক তাহার নিকট আসিত (বাটা হইতে তিনি বড় একটা কোথাও যাইতেন না ) । কেহই বিফলমনোরথ হইত না, তাহার হাভে রোগী প্রায় মুরিত না। অনেক ইংরাজও তাহার নিকট প্লীহা ঝাড়াইয়া আরোগ্য হইয়াছেন। ছোট ছোট ইংরাজের ছেলে মেয়ে তাহার নিকট অনেকেই ঝাড় ফুকের জন্ত আসিত। একবার একটি স্ত্রীলোককে সাপে কামড়াইয়াছিল। বিখ্যাত ডাক্তার মহেন্দ্রনাথ ওহদেদার তার চিকিৎসা করেন ; কিছুতেই তাহাকে আরোগ্য করিতে না পারিয়া মৃতজ্ঞানে ফেলিয়া দিতে আদেশ করিলেন । তাহার অভিভাবকেরা একবার শেষ চেষ্টা দেখিবার জন্য সেই মৃত দেহ পালকী করিয়া রাসবেহারী বাবুর নিকট লইয়া আসিল । তাহার এরূপ অবস্থা হইয়াছিল যে কোন বিচক্ষণ ডাক্তার তাহাকে দেখিয়া মৃত দেহ ভিন্ন আর কিছু মনে করিতে পারিতেন না। কয়েক ঘণ্টা পরিশ্রম করিয়া তিনি তাহাকে আরোগ্য করিলেন । ! ; রাসবেহারী বাৰু জীবনে অনেক শোক পাইয়াছিলেন কিন্তু শেষ দশায় পৌত্রের শোক আর তাহাকে পাইতে হয় নাই। তাহার মৃত্যুর কয়েক মাস পরে পৌত্রটা মারা যায়। তাহার জীবদ্দশায়ই জ্যেষ্ঠ পুত্র বেহারী বাবু মারা যান, দুটি জামাতা ও জ্যেষ্ঠা কন্যার শোকও তাহাকে পাইতে হইয়াছিল। উপযুপিরি অনেক শোক পাইয় তাহার পত্নী ভয়ানক কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হইয়া প্রায় চারিবৎসরকাল কষ্ট পাইয় অবশেষে সকল যন্ত্রণা হইতে মুক্তি পাইয়াছেন। কিন্তু রাসবেহারী বাবু এই সকল ভয়ানক শোক সমস্ত জগদীশ্বরের চরণে সমৰ্পণ করিয়া জীবনের শেষ দিন পর্য্যস্ত ঈশ্বরারাধনায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদাই ধৰ্ম্ম ও যোগশাস্ত্র আলোচনা করিতেন। র্তাহার নিকট সতত সাধু সন্ন্যাসিগণের সমাগম হইত। তাহদের সহিত আলাপে তিনি পরম পরিতুষ্ট হইতেন। অনেকেরই ধারণা অধিক বয়সে লেখাপড়া হয় না ; কিন্তু এত বয়সেও তিনি শিবসংহিতা ঘেরগুসংহিতা প্রভৃতি