পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] যাওয়ার পর হইতে তিনি চোখে ঝাপসা দেখিতেন তথাপি তিনি লেখাপড়ায় বিরত ছিলেন না। চসম চোখে দিয়া আবখ্যকীয় কাজ নিৰ্ব্বাহ করিতেন । রাসবেহারী বাবু অনেক সৎকাজ করিয়াছেন। এলাহাবাদে ৬ কালীবাড়ী করিয়া কালিকাদেবী প্রতিষ্ঠিত করেন (তাহাদেরই জমীতে কালীবাড়ী তৈয়ার হইয়াছে) ; ও কৃষ্ণানন্দ ব্ৰহ্মচারীকে তিনিই আনয়ন করেন (এই ব্রহ্মচারী উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের অনেক স্থানে ৬ কালী স্থাপনা করেন, তন্মধ্যে দিল্লীতে কালীবাড়ী করিয়া বিশেষ বিখ্যাত হইয়াছিলেন)। ধৰ্ম্মে ঐকান্তিক ভক্তি ছাড়া আরও একটি সন্ধুদ্দেশ্রে কালীবাড়ী স্থাপিত হয় ; বিদেশী আশ্রয়হীন ব্যক্তিরা দুই চারি দিন বিশ্রাম করিয়া ও আহার পাইয়া পরিতৃপ্ত হইয়া গন্তব্য স্থানে যাইতে পারিবে । পূৰ্ব্বে এই সহরের সমস্ত ময়লা ও আবর্জনা গঙ্গার জলে ফেলা হইত। হিন্দুমাত্রেই ইহাতেই বিরক্ত হইতেন কিন্তু অপ্রিয় হইবে ভাবিয়া কেহ কথন কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করিতেন না। রাসবেহারী বাবু তদানীন্তন কলেক্টর রবার্টসন সাহেবকে উক্ত বিষয় জ্ঞাপন করিলে উগ্রপ্রকৃতি রবার্টসন প্রথমতঃ রাগিয়া উঠিলেন। পরে তাহার দ্যায়যুক্তিতে পরাস্ত হইয়া অন্যায় স্বীকার করিলেন। তদবধি গঙ্গার জলে ময়লা ও জঞ্জাল ফেলা বন্ধ হইয়া এলাহাবাদের প্রান্তভাগে রাজাপুর নামক স্থানে ফেলা হইতে লাগিল। সেই সকল ইট প্রস্তুতের বড় বড় গর্ত ভরাট হইয়া সার প্রস্তুত হইয় গবর্ণমেণ্টের যথেষ্ট লাভও হইতে লাগিল। এই কাৰ্য্য করাতে তিনি সাধারণের ধন্যবাদার্হ হইয়াছিলেন । তিনি এমনই কাৰ্য্যক্ষম ও সুস্থদেহ ছিলেন যে, দীর্ঘকাল গবর্ণমেণ্টের চাকুরী করিয়াছিলেন কখন কামাই হয় নাই , কখন ছুটী লয়েন নাই ! তাহার কৰ্ম্মদক্ষতা ও স্বস্বাস্থ্যের গুণে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত তাহার বল অটুট ছিল। ৮৫ বৎসর বয়সেও অপরের সাহায্য ব্যতীত নিজের সমুদায় কাজ নিজে নিৰ্ব্বাহ করিতেন ! ২৮ বৎসরকাল পেনসন ভোগ করিয়া ৮৪ বৎসর বয়সে ১৯• • সালের ৭ই ডিসেম্বরে তিনি ইহলোক ত্যাগ, করিয়া শঙ্করাচার্য্য ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিতেন কি না ? • .গ্রন্থের শ্লোক সমস্ত কণ্ঠস্থ করিয়াছিলেন। জ্যেষ্ঠপুত্র নার 88s -- जनड পুণ্যম স্থানে अमन ". • ** शक ،۰۰،۰ ਵਿਜ পুত্র ও তিন কস্তা রাখিয়া গিয়াছেন।" - - জনৈক প্রবাসী। N/ শঙ্করাচার্য্য ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিতেন কি না ? শঙ্করাচার্য্যের উপরে যত প্রকার অবিচার করা হইয়াছে, তন্মধ্যে এইটাই সৰ্ব্বপ্রধান। বিদেশীয় পণ্ডিতবর্গের ত কথাই নাই, ভারতেরও অনেক পণ্ডিত পূৰ্ব্বাপর বিচার না করিয়াই সিদ্ধান্ত করিয়া লইয়াছেন যে, “শঙ্কর ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করেন নাই”, “শঙ্করদর্শনে জগতের স্থান নাই,” এবং “শঙ্কর কেবলমাত্র বিবৰ্ত্তবাদী ও তিনি পরিণামবাদ স্বীকার করিতেন না”। আমরা এই প্রবন্ধে, শঙ্করোক্তি দ্বারাই দেখাইতে চেষ্টা করিব যে, এ সকল মত অত্যন্ত ভ্রমপূর্ণ। শঙ্কর-ভাষ্য অত্যন্ত বিপ্রকীর্ণ। নানা স্থানে নানা প্রকারের তত্ত্ব ভাষ্যে বিকীর্ণভাবে উক্ত হইয়াছে। স্থানবিশেষমাত্র দেখিয়াই, অল্পধী ব্যক্তিগণ একটা একটা ভ্ৰমাত্মক সিদ্ধান্ত করিয়া বসিয়া থাকেন। শঙ্করকে বুঝিতে হইলে, ভাস্থ্যের অংশগুলির একবাক্যতা করিয়া লইতে হয়। কিন্তু একবাক্যতা করিয়া লইতে যতটা পরিশ্রম স্বীকার করা আবগুক, অনেকেই সে কষ্ট স্বীকার করেন না ; কিন্তু সিদ্ধান্ত করিতে অত্যন্ত মজবুৎ। আমরা বড় দুঃখেই এই সকল অপ্রিয় কথা বলিতে বাধ্য হইতেছি । আমরা এ প্রবন্ধে শঙ্করোক্তি উদ্ধৃত করিব ; কিন্তু সাধারণ পাঠকের পক্ষে সংস্কৃত বুঝিতে কষ্ট হইতে পারে, এই জন্ত আমরা তাহার বঙ্গানুবাদ করিয়া দিব। অনুসন্ধিৎস্থ পাঠক মূল ভাষাংশ দেখিয়া লইবেন। এ কথা সকলেই জানেন যে, শঙ্করাচাৰ্য্য নিগুণ ও সগুণ ভেদে—ব্রহ্মের দুই প্রকার অবস্থা বর্ণন করিয়াছেন। নিগুণ ব্ৰহ্মই যখন সৃষ্টিকাৰ্য্যে নিযুক্ত, তখন তাহাকেই সগুণ বা কারণ ব্ৰহ্ম বলিয়া তিনি নির্দেশ করিয়াছেন.

  • নিগুণ, নিষ্কি র ব্রহ্মের অর্থ পূর্ণগুণ ও পূর্ণ শক্তিস্বরূপ। | প্রণীত “উপনিষদের উপদেশ" গ্রন্থের ১১৯ হইতে ১৩৩ পৃষ্ঠায় নিগুণাদি भप्लब वाॉथ कब्र इश्ब्रांप्इ । .