পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૯૨ শক্তিস্বরূপ হইলেও, তাহাকে মুখ্য-ভাবে সৰ্ব্বজ্ঞ’ ও ‘সৰ্ব্বশক্তিমান (কর্ত) বলা যাইতে পারে। কেন বলা যাইতে পারে ? “ঈশ্বরস্তাপি বিবিধস্তষ্টিসংস্কারায়াঃ অবিদ্যায়াঃ সর্গোমুখং কশ্চিৎ পরিণাম, তস্তাং স্বশ্নরূপেণ নিলীন সৰ্ব্ব কাৰ্য্যবিষয়কং ঈক্ষণং তম্ভ কাৰ্য্যত্বাং কৰ্ম্মসদ্ভাবাচ্চ তৎকর্তৃত্বং মুখ্যম্।” স্মৃষ্টির প্রাক্কালে, অনন্তশক্তিস্বরূপ ব্রহ্মচৈতন্ত, আপন হইতে কতকগুলি শক্তিকে পৃথকু করিয়া দিয়া, স্বষ্টিকাৰ্য্যে নিযুক্ত করিলেন। এই শক্তিগুলি তাহারই শক্তি ; কিন্তু তথাপি ব্ৰহ্ম হইতে কিঞ্চিৎ পৃথককৃত। এই শক্তিগুলিকেই সমষ্টিভাবে “মায়াশক্তি” বা “অব্যাকৃত শক্তি” বলে। এই আগস্তুক পরিণাম ক্রিয়াকে লক্ষ্য করিয়াই, ব্ৰহ্মকে কৰ্ত্ত বলা যায়।* এই ভাবেই ব্ৰহ্ম নিগুৰ্ণ হইলেও জ্ঞাতা ও কর্তা হইয়া থাকেন। এই জন্তই ব্রহ্মকে নিগুণ জ্ঞাতা ও কর্তা বলায় দোষ হয় না। ইহাই শঙ্করাচার্যের সিদ্ধান্ত। এই জন্তই পাঠক দেখিবেন, শঙ্কর নিগুণব্ৰহ্মকে সৰ্ব্বপ্রকার বিশেষণ বর্জিত বলিয়াও, তাহাতে সৰ্ব্বজ্ঞ’ ও ‘সৰ্ব্বশক্তিমান এই দুইটী বিশেষণ রাখিয়াছেন। ব্ৰহ্ম, -এই শক্তি হইতে পৃথক্ বলিয়াই, তিনি বিকার দ্বারা দুষিত বা সংস্পৃষ্ট হন না। শক্তি ও শক্তিমানে ভেদ নাই ; সুতরাং শক্তির বিকার দ্বারা শক্তিমানেরও বিকার হইতে পারে। সুতরাং ব্রহ্মে শক্তির আরোপ করা যায় না।” কেহ কেহ এইরূপ তর্ক করেন । কিন্তু তাহারা শঙ্করের সিদ্ধান্ত বুঝেন নাই। শক্তি কদাপি শক্তিমান ব্রহ্ম হইতে স্বতন্ত্র নহে ;—শক্তি ব্রহ্মেরই আত্মভূত, উহা ব্ৰহ্মই। একথা অত্যন্ত সত্য। এই অর্থে ই শক্তি ও শক্তিমানে অভেদ বলা যায়। কিন্তু এ কথার অপর একটী অংশ আছে। লোকে সে অংশটার কোন খবর রাখে না বলিয়াই পূৰ্ব্বোক্ত আপত্তি করিতে সাহস করে। শঙ্কর,—শক্তিকে যেমন ব্রহ্মেরই অধীন এবং উহা ব্ৰহ্ম হইতে স্বতন্ত্র নহে,—এ কথা বলিয়াছেন ; তেমনি আবার শঙ্কর ইহাও বলিয়াছেন যে, ব্রহ্ম সেই শক্তি হইতে স্বতন্ত্র ও ভিন্ন। ইহা না বলিলে, ব্রহ্মের

  • ন চ নিত্যজ্ঞানেনৈব কর্তৃত্বনিৰ্ব্বাস্থাৎ কিমীক্ষণেনেতিবাচ্যং ; ...... BBBB BBBBBD BBBBD DDBBSYBBBBBSBBB প্রাকালে শক্তির এই পৃথক করণকে লক্ষ্য করিয়াই, কোন কোন স্থলে মায়াশক্তির উৎপত্তি বলা হইয়াছে। নতুবা নিত্য পঞ্জির আবার ७९°खि कि ? “फरफोश्ब्रभछिझब्रिट्ठ”-द्देशंङ्ग छाया ७ जैक cलथ ।

প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । সমগ্র স্বরূপকে জগদাকারে বিকাশিত বলিতে হয়।—ইহা না বলিলে, নিগুণ ব্রহ্মের স্থান থাকে না। শক্তিকে ব্রহ্মের অধীন বলিয়া দিয়া, এবং ব্রহ্ম হইতে শক্তির পৃথক সত্তা নাই, সুতরাং শক্তি ব্রহ্মে ‘কল্পিত এই কথা বলিয়া দিয়া,— টীকাকার স্পষ্ট বলিতেছেন—“কল্পিতস্ত অধিষ্ঠানাইভেদেপি অধিষ্ঠানস্ত ততো ভেদঃ” (বেদান্ত দর্শন, ১।১১৭)। শ্রুতি এই জন্তই—“পাদোহন্ত বিশ্বাভূতানি, ত্রিপাদস্তাযুতং দিবি৷” বলিয়াছেন । এই জন্তই শক্তির বিকার হইলেও, শক্তিমানের কোন বিকার হয় না । * এ তত্ত্বটা না বুঝিয়াই লোকে বলে যে নিগুণ ব্রহ্মে শঙ্কর শক্তির আরোপ করেন নাই ! কিমাশ্চৰ্য্যমতঃপরম্ ?” এখন আমরা দেখাইব যে, শঙ্কর কেবল যে “বিবৰ্ত্তবাদ” স্বীকার করিতেন, তাহা নহে ; তিনি “পরিণামবাদ”ও স্বীকার করিতেন। এ তত্ত্বটাও না বুঝিয়া লোকে শঙ্করের উপর যারপর নাই অবিচার করিয়া থাকে ! উপরে আমরা শক্তি সম্বন্ধে যে সকল ভাৰ্য্য অনুবাদ করিয়া দিয়াছি, তদ্বারাই কথাটা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হইয়াছে ; তথাপি এস্থলে শঙ্করের আরো সুস্পষ্ট উক্তি আমরা দেখাইব । } বেদান্ত দর্শনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের, প্রথম পাদে, ১৪ স্থত্রের ভায্যের শেষাংশে শঙ্কর স্পষ্ট করিয়া বলিতেছেন যে, ব্যবহারতঃ স্বত্রকার -পরিণাম বাদ’ই স্বীকার করিয়াছেন— “অপ্রত্যাখ্যায়ৈব কাৰ্য্যপ্রপঞ্চং পরিণাম-প্রক্রিয়াঞ্চ আশ্রয়তি (স্বত্রকারঃ)।” টাকাকার বলিতেছেন—“ন কেবলংলৌকিক ব্যবহারার্থং পরিণামপ্রক্রিয়াপ্রয়ণং কিন্তু উপাসনার্থঞ্চ ।” কিন্তু পরমার্থতঃ বিবৰ্ত্তবাদই এই স্থত্রে পরিগৃহীত হইয়াছে। শঙ্করও বলিতেছেন—“পরমার্থভিপ্রায়েণ তদনন্তত্বমিত্যাহ” । পাঠক জানেন যে, শঙ্করের মতে পরমার্থতঃ এ জগৎ ব্ৰহ্মই। কিন্তু তথাপি ব্যবহারতঃ এ জগৎ জড় ও পরিণামী । সুতরাং আমরা দুেখিতেছি যে, শঙ্কর পরিণামবাদও স্বীকার করিতেন। । শঙ্করের টীকাকারগণেরও এ সম্বন্ধে অভিপ্রায় কি তাহা । দেখাও নিতান্ত আবশুক। কেননা, এই অংশটা অনেকেই । বুঝেন না। না বুঝিয়াই শঙ্করকে ‘মায়াবাদী’ ও ‘প্রচ্ছন্ন । বৌদ্ধ বলা হয়। - . سیسمه আনন্দগিরিও মাণ্ডুক্য ভাবে এতৰ বলিয় দিয়াছেন—ময় ৰায় । ব্ৰহ্মপুপ্তং সম্বন্ধেপি, স্বরূপ দ্বারাম তৎসম্বন্ধোহস্তীতি।” |