পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] SAASA SAASAASAASSAAAAAAS AAAAA AAASAAA SS AAAAS ঐতরের উপনিষদের (১০) তাকে শঙ্করাচাৰ্য প্রথমত এই আপত্তি উত্থাপন করিলেন যে, আত্মা-ভিন্ন ত অন্ত কোন উপাদান’ নাই, তবে আত্ম-চৈতন্ত হইতে এই বিকারি-জগৎ উৎপন্ন হইল কিরূপে ? এই আপত্তির উত্তর শঙ্কর এইরূপে নিজেই দিতেছেন—অব্যাকৃত নাম-রূপই জগতের উপাদান ; এই উপাদান আত্মারই স্বরূপভূত ; এই উপাদান হইতেই জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে। সুতরাং উপাদানরহিত হইলেও , আত্মা হইতে জগৎ সৃষ্টি সিদ্ধ হইতেছে। “নৈষ দোযঃ, আত্মভূতে নামরূপে অব্যাকৃতে আত্মৈকশব্দবাচ্যে জগৎ উপাদানভূতে সংভবতঃ; তন্মাদাত্মতৃতনামরূপেপাদানং সন জগন্নিৰ্ম্মিমীতে।” এস্থলে টীকাকার এই ভাষা এইরূপে বুঝাইয়া দিতেছেন —“প্রশ্ন হইতে পারে যে অদ্বিতীয় আত্মা নিজেই নিজের উপাদান, সুতরাং জগৎসৃষ্টির অন্ত উপাদানের আবশ্যক কি ? ইহার উত্তর এই যে, তাহ বলিতে পারা যায় না ; কেন না, স্পষ্টপদার্থগুলি পরিণামী ও বিকারী বলিয়, অবশুষ্ট ইহাদের একটী পরিগামি-উপাদান আছে। আত্মা নিরবয়ব, চেতন । সুতরাং ৰকারী জড় জগতের আত্মা উপাদান হইতে পারে না । অব্যাকৃত নামরূপই, সেই পখ্রিণামি-উপাদান ; আত্ম বিবর্তউপাদান মাত্র । “বিয়দাদেঃ পরিণামিত্বমঙ্গীকৃত্য তত্র মনভিব্যক্তনামরূপাবস্থং বীজভূতমব্যাকৃতং পরিণামুপিাদানমjীতি আহ নৈষ দোষ ইতি। পরিণমমানবিদ্যাধিষ্ঠানেন আত্মনো বিবৰ্ত্তোপাদানত্বং ” শঙ্কর-দর্শনে এই উভয়বিধ }পাদানই অঙ্গীকৃত হইয়াছে। বেদান্তভাষ্যের দ্বিতীয় ধ্যায়ে টীকাকার রত্নপ্রভা বলিয়া দিতেছেন যে,—“সাংখ্যের চেতন জড় প্রকৃতিকে জগতের উপাদানকারণ বলিয়া কেন । আমরাও ত্রিগুণাত্মক জড়মায়াকে উপাদানকারণ লি। কিন্তু সাংখ্যমতে এই উপাদান স্বাধীন ; আমরা ই উপাদানকে ব্রহ্মের নিতান্ত অধীন বলিয়া গ্রচুণ করি ; *াতিরিক্ত সত্তা ইহার নাই ।” “বেদান্তপরিভাষা” একনি অতি প্রামাণিক বেদান্তগ্রন্থ। ইহা শঙ্করাচার্য্যের তান্ত অনুগত গ্রন্থ। শঙ্করমত বুঝাইয়া দেওয়াই এ গ্রন্থের দপ্ত। এ গ্রন্থেও বুঝান হইয়াছে যে, বেদান্তে বিবর্ত ও রণাম উভয় বাদই গৃহীত হইয়াছে। “প্রকৃতিস্তু সাম্যাপিন্নসত্তরঞ্জস্তমোগুণময়ী অব্যাক্তনামরূপ পারমেশ্বরী (t শঙ্করাচাৰ্য্য ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিতেন কি না ?, 8૯૭ SAAAAAA AAAASAAAAeSAASAASAASAASAASAASAASAA শক্তিঃ ” প্রকৃতি বা মায়াশক্তি কাহাকেরলে তাহা বুঝাইয়া দিয়া বেদান্তপরিভাষা বলিতেছেন—“অবিদ্যাপেক্ষয় পরিণামঃ, চৈতষ্ঠাপেক্ষয় বিবর্তঃ ” মহামহোপাধ্যায় ত্রযুক্ত কৃষ্ণনাথ স্তায়পঞ্চানন ইহার টাকায় বলিয়া দিয়াছেন—“কাৰ্য্যংযুদায়কং তদ্রপকারণমূপাদানং। তথাচ উপাদানন্ত স্বসত্তাককাৰ্য্যভাবেন আবির্ভাবঃ পরিণমতে ইত্যর্থঃ ” কার্য্য যে প্রকার, উহাদের উপাদানও তদ্রুপ । কাৰ্য্যগুলি জড় ও পরিণামী ; সুতরাং উহাদের উপাদানশক্তিও জড় ও পরিণামী । সুতরাং মায়াশক্তি বা অব্যক্তই জগতের পরিণামি-উপাদান। আর, বিবর্ত-উপাদান ? “চৈতন্তোপাদানত্বেতু বিবৰ্ত্তত্বং ” অর্থাৎ বেদান্তমতে, যাবতীয় বস্তুর দুই প্রকার উপাদান। এক উপাদান—মীয়া বা অবিদ্যা । আর এক উপাদান—ত্ৰহ্মচৈতন্ত । অবিদ্যাক্ট পরিণত হয় ; এবং ইহারই সংসর্গবশতঃ চেতনের যে অবস্থান্তর প্রতীত হয়, তাহাই বিবৰ্ত্ত । এই দুই উপাদানের কথা লক্ষ্য করিয়াই ‘বেদান্তপরিভাষা’ লক্ষণ করিলেন যে,-“উপাদানত্বঞ্চ জগদধ্যাসাধিষ্ঠানত্বং, জগদাকারেণ পরিণমমানমায়াধিষ্ঠনত্বং বা ।” অর্থাৎ,;ব্ৰহ্ম জগতের অধিষ্ঠান-উপাদান এবং মায়া জগতের পরিণামি-উপাদান । “পঞ্চদশী” আর একখানি বৈদাস্তিক গ্রন্থ । ইহার গ্রন্থকার বিদ্যারণ্য,—শঙ্করের মতের নিতান্ত অনুগত শিষ্য। তিনিও এই দুই প্রকার উপাদান স্বীকার করিয়াছেন। ‘অচিন্ত্যশক্তিমায়ৈষ ব্রহ্মণ্যব্যাকৃতাভিধা । অবিক্রিয়ত্রহ্মনিষ্ঠাবিকারং যাতানেকধা” (১৩৬৫-৬৬)। পঞ্চদশী বলিতেছেন, ব্ৰহ্ম স্বয়ং নিৰ্ব্বিকার হইলেও, তাহাতে অবস্থিত শক্তি জগদাকারে পরিণত হইয়াছে। ব্রহ্মে অধিষ্ঠিত এই শক্তিরই পরিণাম হয় ; কিন্তু অধিষ্ঠানভূত ব্রহ্মের কোন পরিণাম হয় না। তবে ব্রহ্মচৈতন্ত জড়ের অনুগত বলিয়া, চেতনেরও অবস্থাস্তর প্রতীত হয় । ইহাই বিবৰ্ত্তবাদ। এস্থলে একটা কথা বলা আবশ্যক। শঙ্করাচাৰ্য্য, দুই প্রকার উপাদানই স্বীকার করিয়াছেন এবং মায় বা অব্যাকৃতশক্তিরও ব্রহ্মে অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। কিন্তু শঙ্করের বিশেষত্ব এই যে, তাহার ভাষ্যে এই শক্তির প্রাধান্ত মোটেই দেওয়া হয় নাই । তিনি ব্রহ্মেরই প্রাধান্ত দিয়া, শক্তিকে নিতান্ত অপ্রধান করিয়া তুলিয়াছেন। একথাটা মনে রাখিতে হইবে। এই শক্তি,--ব্রহ্মেরই শক্তি,