পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] গ্রহণ করিয়া উঠতে অনেক দিন চলিয়া যায়, ইহাই পরস্পরের * মধ্যে পার্থক্যভাবের একমাত্র কারণ। যাহা হউক এ স্থলে সাধারণ ভাবে উভয় সম্প্রদায়েরই কথা বিবৃত করিতে চেষ্ট করা হইল । প্রাথমিক কর্তব্য । श्रूळ फूभिर्छ হইলে আত্মীয় স্বজনকে ভোজন প্রদান এবং অবস্থাবিশেষে বাজী পোড়ান প্রভৃতি আনুসঙ্গিক উৎসবও চলিয়া থাকে। কিন্তু দুহিতা লাভে এবম্বিধ অনুষ্ঠান অতি অল্পই ঘটে। নামকরণ বলিয়া ইহাদের কোনও ক্রিয়াবিশেষ নাই । অথর! এতদুদ্দেশ্র্যে কোন দৈবীশক্তির উপর ভারাপণ করিবার ব্যবস্থাও দেখা যায় না । পিতামহ, পিতামহী প্রভৃতি বয়োবৃদ্ধগণ মেহগর্ভ সংক্ষিপ্ত নাম নিৰ্ব্বাচিত করে ; তাহাই শেষে ‘ডাক নাম হইয়া দাড়ায়, নিতান্ত বিকৃত শুনাষ্টলেও তাদৃশ নামে সন্তানের প্রকৃতি উপলব্ধি হয়। যথা, “কুৰ্য্যা” ( কুড়ে ) নামে বুঝা যায় ছেলেট বড়ই অলস, এবং “পিড়াভাঙা" নামধেয় ব্যক্তির ভারে যে কোনদিন “পিড়া” (পিড়ি ) ভাঙ্গিয়াছিল অর্থাৎ সে যে স্থূলকায় সহজেই হৃদয়ঙ্গম হয়। জন্মস্থান বিশেষেও নামকরণ হইয়া থাকে। যেমন,“বড়কলে”* জন্ম হইলে পুত্র “বড়কল্যা” এবং কন্ঠ “বড়কলী নামে আখ্যাত হয়। কালের কবলে অনেক পুত্র কন্যা হারাইয়া যদি পরিশেষে কোন সন্তান লাভ হয়, তাহা হইলে সেই সন্তানের জন্য অতি জঘন্ত নাম নির্দেশ করা গিয়া থাকে। বিশ্বাস তাদৃশ নামে যমেরও ঘৃণা হইবে । শেষে সন্তান বয়স্ক হইলে স্বীয় পছন্দানুরূপ বা গুরুগণ কর্তৃক একটা সভ্যভব্য নামে আখ্যাত হয়। অনেক স্থলে স্কুলে ভৰ্ত্তি হইবার সময়ে শিক্ষকগণই শিশুদিগের বিকৃত নাম পরিবর্তন করিয়া লইয়৷ থাকেন। আবার পিতা মাতা কর্তৃক এমন নাম সকলও নির্বাচিত হইতে দেখা যায়, যেন তাহাতে সস্তানের জীবন দীর্ঘ ও গৌরবস্থচক হয়। এই আশায় প্রায় বামায়ণ এবং মহাভারতোক্ত নামই রাখা গিয়া থাকে, কৃষ্ণ, দুর্গ, কালী প্রভৃতি হিন্দু দেব দেবীর নামেও অনেকে সন্তানের নামকরণ করে। তাহা অজামিলের তার ফাঁকতালে বৈকুণ্ঠ চাক্মাজাতির সংস্কার কৰ্ম্ম । 劇

  • "বড়কল”-কর্ণফুলী নদীর জলপ্রপাত বিশেষ, ইহা মোহন হইতে མtཟླ "°° बारेज छै:ारङ्ग अबहिङ । विरोब्रिद्ध विषब्रण ४७ss भोर्लङ्ग
  • "डिड" "क्‘रनै अष वज्रन” *** अकर जोश।

8Qむ প্রাপ্তির কামনায় নহে। ইহারা আশা রাখে সস্তানকে তামধেয় দেবতা অনুগ্রহ করবেন। " এইরূপে চাক্মা সমাজের প্রায় সমস্ত নামই হিন্দুসমাজামুমোদিত। অন্নপ্রাশনেরও কোন বিধিবদ্ধ নিয়ম নাই ; সুতরাং তজ্জন্ত অমুষ্ঠানবিশেষেরও প্রয়োজন হয় না। সস্তানের আগ্নেক” দিন ধরিয়া মাতৃস্তন্য পান করিতে থাকে । তিন বৎসরের শিশু তাহার কনিষ্ঠ ভাই ভগিনীর সহিত স্তন্যপান করিতেছে এ হেন দৃশু বিরল নহে। কর্ণবেধ । কর্ণবেধের প্রথা থাকিলেও ইহাদের সমাজে ‘কৰ্ণবৈধ’ বলিয়া কোনও ক্রিয় বিশেষ নাই। উচ্চ পরিবারে এই উপলক্ষে মাত্র আমোদ আহলাদাদি করা হয় ; ত’ ছাড়া ধৰ্ম্মার্থে কিছুই অনুষ্ঠিত হয় না। সাধারণতঃ সন্তান ছয় সাত বৎসরের হইলে সিজ বা অন্তবিধ বন্যবৃক্ষের কণ্টক দ্বারাই কাণ দুখানি ছিদ্র করিয়া লয় । পুরুষেরা দুই কৰ্পণে দুইটামাত্র ছিদ্র করে, কেহ কেহ তাহাতে রূপার আঙ টী ধারণ করে। নতুবা ছিদ্র রক্ষা করিবার চেষ্টা করে না। কিন্তু স্ত্রীলোকদিগের দুই কাণে অনুন বার এবং বাম নাসিকায় একটা ছিদ্র করাই সাধারণ নিয়ম । বাস্তবিক অবলাগণ গহনা পরিধানের নিমিত্ত কিদৃশ নিষ্ঠুররূপে ক্ষতবেদনা সহ করে। ইহা যে কেমন সখ, সহজ বুদ্ধিতে আসে না । দীক্ষা | আট নয় বৎসরের সময় শুভদিনে সচরাচর বিষ্ণু ও বৈশাখ, আষাঢ়, আশ্বিন এবং মাঘের পূর্ণিমায় বালকগণের “চামনি” অর্থাৎ দীক্ষা হয়। “ঠাকুর” (ভিক্ষু) তদভাবে “রড়ীগণ” (শ্রমণের) এই দীক্ষা প্রদান করেন। দীক্ষা গ্ৰহণার্থী পূৰ্ব্বাহ্লে মস্তক মুণ্ডিত করিয়া যথাবিধি পবিত্রত সাধন এবং কাষায়বস্ত্র পরিধান পূর্বক সপল্লব ঘট-দ্বীপ-তণ্ডুল ইত্যাদি সম্মুখে পশ্চিমান্ত হইয়া উপবেশন করে। অনন্তর সপ্তগুণ স্বত্র দ্বারা এ সমুদায় বেষ্টন করত: তৎপ্রান্তদ্বয় • হস্তে লইয়া “দশশাল” আচরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। অবশেষে ভূমিষ্ঠ প্ৰণিপাত ও গুরুদক্ষিণ দান করিয়া শ্রমণ-ব্রত গ্রহণ করে। কিন্তু এই কৃচ্ছসাধ্যত্রত পালনে অনেকেই পরাম্মুখ হয় ; অধিকাংশ সকলে সাত দিন মাত্র আচরণেই