পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Գե- প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ ཨ་ག་། །༽ དེ =সম্বর কল্পনা। হয়নি శ్లా পরিচয় তথাপি জানিও— অলীক স্বপ্নের মোহে কভু করিয়ো না— তোমা হতে চিনি আমি তারে ; সে আমায় সত্যের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ ৷ হও আত্ম-জী – বাসেনি এখনো ভালো। বৃথা আশঙ্কায় আপন কৰ্ত্তব্য জানি, সৰ্ব্ব দুঃখ সহি,’ উদ্বিগ্ন হোমোনা ! পরিণীতা, গৃহলক্ষ্মী ভাৰ্য্যারে হৃদয়ে অজয় । হয়—স্বয়ং আমার, বরি’ লহু সমাদরে । সুখে, দুঃখে, ভয়ে— এত অন্ধ তুমি! বুঝাই এ সংসারে তোমারেই অসীম নির্ভরে আর এ সংসারে তা’র তোমা বিনে নাই একমাত্র আপনার ভেবে, ভক্তি ভরে অন্ত চিন্তা কোন ওরে হিন্দু-নারী সে যে । যে তোমার মুখপানে সদা আছে চাহি,” সেই সে গোধূলি-লগ্নে উঠেছিল বেজে’ দিওনা—দিওনা তা’রে ব্যথা । যখন মঙ্গল-বাদ্য—শঙ্খ-ঘণ্টা-ধ্বনি, অরবিন্দ. পাপ নাহি মিলিল দু’হাত যবে, অজ্ঞাতে তখনি অকপট ব্যবহারে । কন্তু, সঙ্গোপন ওই ক্ষুদ্র বক্ষ-পুটে সমগ্র হৃদয় করি’ সত্যে, যদি আমি প্রতি আচরণ উচ্ছ্বসি উঠিয়াছিল ; কোলাহলময় করি তা’র সনে,—হ’বে ঘোর অপরাধ ; সেই শুভ সন্ধ্যালোকে, ধূপ-গন্ধ সনে, তা’ হ’লে, বিধাতুরোষে ভীষণ প্রমাদ তখনি মঙ্গল, দিব্য মন্ত্ৰ-উচ্চারণে ঘটিবে অচিরে। যারে নাহি ভালবাসি, ওই ক্ষুদ্র জীবনের উদ্যান-মাঝার কেমনে প্রফুল্লাননে তাহারে সম্ভাষি’ ফুটিয়া উঠিল ধীরে পুজা-উপচার— ছলনা করিব নিত্য ? নিত্য মনে মনে থরে থরে, মধুগন্ধি প্রস্থনের রাশি। আত্ম-প্রতারণা করি, স্বচ্ছন্দে কেমনে সেই শুভক্ষণে ধীরে উঠিল বিকাশি’ বিষাক্ত এ জীবন যাপিব ? অবলা সে– রমণীর মহাধৰ্ম্ম—আত্ম-বলি দান ! সে ছলনা না বুঝিয়া, সরল বিশ্বাসে তথনি হারা’ল বালা আপনার প্রাণ,— যদি আমারেই করে চিত্ত সমর্পণ,— পুজিল সৰ্ব্বস্ব দিয়ে তোমারে গোপনে ধৰ্ম্মে কি সহিবে তাহা ? হৃদি-মাঝে। আজি তা’র জীবনে, মরণে অজয় । হায়—মূঢ় জন, একমাত্র গতি—তুমি । নারী-ধৰ্ম্ম কিযে, এখনো কি বোঝ নাই সে নারীর মন ? বোঝনি এখনো তুমি। তাই, শুধু নিজে এখনো কি জানো নাই—জীবন-মরণ কল্পনারে ল’য়ে কর—আজে হাহাকার তোমারি চরণোপাস্তে দিয়াছে সঁপিয়া উপেক্ষার বিষ-বাণে হৃদয় তাহার সেই মুক, ক্ষুদ্র নারী-হিয়া ? যুক্তি দিয়া জীর্ণ করি’। ভ্রান্তিবশে, তাই, অকারণে যাহারে রাখিয়া দুরে—অন্তঃপুরকোণে, সাধ করে তুচ্ছ করি’ মহাৰ্হ রতনে আজি তুমি স্বার্থ-মগ্ন, সে যে কায়-মনে আজি তুমি সাধিতেছ স্বীয় সৰ্ব্বনাশ তোমারি চরণে ওগো বিকায়ে দিয়াছে সযতনে । আপনারে বিনামূলে ! অরবিন্দ । করেছিলে মোরে উপহাস— অরবিন্দ । মোর মনোমাঝে কল্পনা-প্রবণ বলি হে বন্ধু, এখন কেন বৃথা বাড়াও বিষাদ ? মিথ্যা মোরে কল্পনা-শিখরে তুমি করি আরোহণ বন্দী করিবারে চাহে ! এখনো যদিও স্বপ্নাবিষ্ট হ’য়ে আছ। শোনো নিবেদন—