পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भVनरथा । ] পোষাক পরিচ্ছদ । రిటన স্বচরিত శ్చా চলিয়া গেল এবং পরেশ বিনয়কে মনে করিয়া আমরা যদি র নিহাতে গড় উপাদানে দোতলার বারান্দায় লইয়া গেলেন। তাহার উন্নতি করিতে চাহি; তবে আমরা বিধাতার কার্য্যে ক্রমশ । সংশোধক বিচারক বা সমালে টক হইয়া উঠি । দেহ আত্মার আধার। পরিচ্ছদ দেহের আধার। —.. পরিচ্ছদ, দেহ ও আত্মার মধ্যে এমন সামঞ্জস্ত বিধান করিতে, পোষাক পরিচ্ছদ | হইবে যে পোষাকের চাপে দেহ আত্মা খৰ্ব্ব হইয়া না পড়ে। আমাদের দেশের পোষাক পরিচ্ছদ লইয়া একটা বিতণ্ড চলিয়া আসিতেছে । আমাদের পোষাক পরিচ্ছদ কিরূপ হওয়া উচিত, তৎসম্বন্ধে আমারো দুই একটি কথা বলিবার আছে। তাহা বলিবার প্রলোভন সংবরণ করিতে পারিতেছি না, বলিয়াই এই প্রবন্ধের অবতারণা । ঋতুপৰ্য্যায়ে আবহবিপ্লব হইতে দেহ রক্ষা করিবার জন্তই বোধ হয় পরিচ্ছদের প্রথম আবশুকতা উপলব্ধি হইয়াছিল। দ্বিতীয় কারণ হয় ত’ মামুষের পশু প্রকৃতিকে সংযত রাখিবার জন্ত । ক্রমে পরিচ্ছদে অভ্যস্ত হইয়া নগ্নতা মানুষের নিকট বিসদৃশ বোধ হইতে লাগিল। তখন মানুষের সৌন্দৰ্য্য-বুদ্ধি দেহকে সাজাইবার ভার গ্রহণ করিল। যাহা বাধ্য হইয়া গ্রহণ করিয়াছিল তাহী ক্রমশ নিতান্ত নিজস্ব ठहेग्नां छेठिंठ । প্রকৃতির যাহা সুন্দর সমস্তই মুক্ত নগ্ন। বিধাতার শ্রেষ্ঠ কৃষ্টি মানুষ, ধরাতলে যাহারা ঈশ্বরের সকল ঐশ্বর্য্যের আংশিক প্রকাশ, তাহারা যদি আপনার দেহ আবৃত করিতে বাধ্য হইয়াছে, তবে তাহাকে দেহের সহিত সামঞ্জস্ত রাখিয়া পরিচ্ছদ ব্যবহার করিতে হইবে। মনুষ্যদেহে অশোভন, অম্বন্দর আীে কিছু ছিল না, দেহ যে দেশে যতখানি আবৃত হইয়াছে, সে দেশে ততখানি নগ্নদেহের প্রতি অবজ্ঞা ও অরুচি আসিয়া পড়িয়াছে। বিলাতের মহিলারা পাদগুলফ দেখিলে অশ্লীলদৃপ্ত মনে করেন ; আমাদের দেশে প্রায়নগ্ন দেহ কাহারো মনে কোনো কুভাব জাগ্রত করে না । পরিচ্ছদ যখন মানুষের অনিবাৰ্য্য, তখন তাহ অন্ততপক্ষে দেহের সহিত সমঞ্জসূ হওয়া উচিত। দেহ-সৌষ্ঠব, অঙ্গঐশ্বৰ্য্য গুপ্ত বা লুপ্ত করিয়া দেয় যে পরিচ্ছদ তাহ প্রকৃতির প্রতি অত্যাচার, বিধাতার প্রতি অপমান। ভগবান যে দেহ চরমশিল্প বোধে প্রচার করিয়াছেন, তাহাকে ঘৃণ্য গোপ্য মানুষের কায্য প্রকৃতিকে সাহায্য করিবে, তাহা প্রকৃতিকে ছাপাইয়া চলিতে চাহিলেক্ট বিরোধ হইতে আপনাকে বিনাশের পথে টানিতে থাকিবে । অতএব ইহা স্থির যে পরিচ্ছদ ও দেহমনের সামঞ্জস্ত করিতে হইবে । যাহা সুন্দর তাহা চিরানন্দময় ; মানুষের সৌন্দর্যা-বুদ্ধি সত্যশিবসুন্দরের প্রতিফলন, তাই সে সুন্দরের ভিতর দিয়া মহাসুন্দরের আভাস পায় । সৌন্দর্যা চিত্ত প্রসন্ন করে ; চিত্তের প্রসন্নতা আত্মাকে নিৰ্ম্মল করে ; নিৰ্ম্মল আত্মা সুন্দরের উপভোগে সত্যশিবের অভিমুখী হয়। তাই, আমাদের দৈনিক জীবনের ক্ষুদ্রতম তুচ্ছতম বস্তুকেও আমরা সুন্দর দেখিতে চাতি ; মানুষের প্রত্যেক ক্ষুধিত প্রবৃত্তি সৌন্দয্য ভোগের জন্য লোলুপ হইয়া সুন্দরকে লক্ষ্য করিয়াই ছুটে, পথের মাঝে যাহা পায় তাহাই গ্রাস করে না । সৌন্দয্যের উপাসনা মানুষের নিত্যকালের উপাসনা ; যে অবহিত হইয় তাহা বুঝিতে পারে সে সৌন্দয্যের মাঝে শিব ও সত্যের আভাস পাষ্টয়া ধন্ত হয় । সৌন্দৰ্য্য জগদ্ব্যাপারের মধ্যে ঈশ্বরের ঐশ্বৰ্য্যকে প্রকাশ করে, বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে আনন্দময়ের আভাস দেয়। অতএব ইহাও স্থির যে পরিচ্ছদ সুন্দর হওয়া আবশুক । যে দেশে আধ্যাত্মিক জ্ঞান যে পরিমাণ পরিপুষ্ট হইয়াছে, সে দেশে সেই পরিমাণ পুরিচ্ছদপারিপাটাও পূর্ণতা লাভ করিয়াছে। ভারত, মিশর, গ্রীস ও রোমে আধ্যাত্মিকতার দিক হইতে সৌন্দর্য্য চর্চা বা সৌন্দৰ্য্যচর্চার দিক হইতে আধ্যাত্মিকতা প্রস্ফুট হইয়াছিল ; তাই দেখা যায় এই সকল দেশের পরিচ্ছদ বাহুল্যহীন তবুও সুন্দর, কারণ তাহারী দেহ মন ও পরিচ্ছদের সামঞ্জস্ত রক্ষা করিয়া চলিয়াছে। মধ্যযুগের যুরোপও শুধু ইহকাল লইয়াই এতদূর উন্মত্ত হইয়া উঠে নাই, তখন তাহার পোষাকও দেহকে ক্লিষ্ট পিষ্ট নষ্ট করিয়া উদাম আস্ফালনের জন্তই রচিত হয় নাই, সে