পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۔۔۔۔۔ وہ ۔۔۔ و..۔۔۔۔جمعہ ...... ۔۔۔۔۔۔۔۔ ৯ম সংখ্যা । ] রেছে নিচে দৃষ্টর তির সাথে স্বচরিত মনে মনে অত্যন্ত ছোট হইয় গেল—কোনোমতেই সে নিজের গৌরব খাড়া করিয়া রাখিতে পারিল না । সকলের বিশেষ লক্ষ্যগোচর হওয়া আদর পাওয়া সুচরিতার অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছিল। সে যে মনে মনে এই আদর চাহিত তাহ নহৈ কিন্তু তাজ গোরার নিকট হইতে উপেক্ষা কেন তাহার কাছে এত অসহ্য হইল ? অনেক ভাবিয়া সুচরিতা শেষকালে স্থির করিল যে, গোরাকে সে বিশেষ করিয়া হার মানাষ্টতে ইচ্ছা করিয়াছিল পলিয়াই তাহার অবিচলিত অনবধান এত করিয়া হৃদয়ে আঘাত করিতেছে । এমনি করিয়া নিজের মলখানা লইয়া টানাৰ্ছেড়া করিতে করিতে রাত্রি বাড়িয়া যাইতে লাগিল । বাতি নিবাষ্টয়া দিয়া বাড়ির সকলেষ্ট ঘুমষ্টিতে গিয়াছে। সদর দরজা বন্ধ হইবার শব্দ হইল— বোঝাগেল বেতার রান্না খাওয়া সারিয়া এইবার গুষ্টতে যাইবার উপক্রম করিতেছে। এমন সময় ললিতা তাঙ্গর রাত্রির কাপড় পরিয়া ছাদে আসিল । সুচরিতাকে কিছুষ্ট ম! বলিয়া তাঙ্কণর পাশ দিয়া গিয়া ছাদের এক কোণে রেলিং পরিয়া দাড়াইল। স্বচরিত\মনে মনে একটু হাসিল, বুঝিল ললিত তাঙ্গর প্রতি অভিমান করিয়াছে । আজ যে তাহার ললিতার সঙ্গে শুইবার কথা ছিল তাহ সে একেবারেই ভুলিয়া গিয়াছে। কিন্তু ভুলিয়া গেছি বলিলে ললিতার কাছে অপরাধ ক্ষালন হয় না---কারণ, ভুলিতে পারাটাই সকলের চেয়ে গুরুতর অপরাধ । সে যে যথা সময়ে প্রতিশ্রুতি মনে করাষ্টয়া দিলে তেমন মেয়ে নয়। এতক্ষণ সে শক্ত হইয়া বিছানায় পড়িয়া ছিল- যতই সময় যাইতেছিল ততই তাহার অভিমান তীব্র হষ্টয়া উঠিতেছিল। অবশেষে যখন নিতান্তই অসহ্য হইয়া উঠিল তখন সে বিছানা ছাড়িয়া উঠিয়া কেবল নীরবে জানাইতে আসিল যে আমি এখনো জাগিয়া আছি । স্বচরিতা চৌকি ছাড়িয়া ধীরে ধীরে ললিতার কাছে আসিয়া তাহার গলা জড়াইয়া ধরিল-কহিল, “ললিতা, লক্ষ্মী ভাই, রাগ কোরে না ভাই ।” ললিতা সুচরিতার হাত ছাড়াইয়া লইয়া কহিল—“ন, বাগ কেন করব ? তুমি বোসে না।” Cre AAA 0SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS to

    • ਾ-- f ** ..." তাহার शङ िनिश লষ্টয়া কহিল—“চল ভাই,

গুতে যাই।” ললিতা কোনো উত্তর না করিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয় রহিল। অবশেষে সুচরিতা তাহাকে জোর করিয়া টানিয়া শোবার ঘবে লইয়া গেল। ললিত রুদ্ধকণ্ঠে কহিল—“কেন তুমি এত দেরি করলে ? জান এগারটা বেজেছে। আমি সমস্ত ঘড়ি শুনেছি। এথনি ত তুমি ঘুমিয়ে পড়বে।” সুচরিতা ললিতাকে বুকের কাছে টানিয়া লইয়া কহিল, “আজ আমার অন্ত্যায় হয়ে গেছে ভাই ।” যেমনি অপরাধ স্বীকার করা ললিতার আর রাগ রহিল একেবারে নরম হইয়া কহিল-“এতক্ষণ একলা বসে কার কথা ভাবছিলে দিদি ? পানু বাবুর কথা ?” তাহাকে তর্জনি দিয়া আঘাত করিয়া সুচরিতা কহিল— “দূর ” পানু বাবুকে ললিতা সহিতে পারিত না। এমন কি, তাণ্ডার অন্য বোনের মত তাহাকে লইয়া সুচরিতাকে ঠাট্টা করাও তাঙ্গর পক্ষে অসাধা ছিল। পায় বাবু সুচরিতাকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন এ কথা মনে করিলে তাহার রাগ হইত। هم একটুপানি চুপ করিয়া, ললিত কথা তুলিল--"আচ্ছা দিদি বিনয় বাবু লোকটি কিন্তু বেশ । না ?” সুচরিতার মনের ভাবট যাচাই করিবার উদ্দেশ্য যে এ প্রশ্নের মধ্যে ছিল না তাহা বলিতে পারি না । সুচরিত কহিল—“হুঁ, বিনয় বাবু লোকটি ভাল বইকি --বেশ ভাল মানুষ ।” ললিত যে সুর আশা করিয়াছিল তাহা ত সম্পূর্ণ বাজিল না। তখন সে আবার কহিল—“কিন্তু যাই বল দিদি, আমার গৌরমোহন বাবুকে একেবারেই ভাল লাগে নি। কি রকম কট কটা রং, কাটখোট্ট চেহারা, পৃথিবীর কাউকে যেন গ্রাহাই করে না। তোমার কি রকম লাগল ?” সুচরিতা কহিল---“বড় বেশি রকম হি দুয়ানি ।” ললিত কহিল-—“ন, না, আমাদের মেসোমশায়ের ত খুবই হিদুয়ানি কিন্তু সে আর এক রকমের। এ যেন— - ঠিক বলতে পারিনে কি রকম।” না |