পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓሻ ཀུངས། [ ] এই বিষ্ঠালয়ে প্রত্যেক ব্যবসায়ের ঔপপত্তিক ও ক্রিয়াfro (Theoretical and Practical) staffor দিয়া চতুর কুশলী কারুকর করিয়া তোলা হয়। দোকানে বা কারখানায় কাজ শিথিলে শুধু ক্রিয়াসিদ্ধ শিক্ষা হয়, ঔপপত্তিক শিক্ষার অভাবে বুদ্ধিবৃত্তি সতেজ ও চিন্তাশীলতার পরিমার্জন হয় না । এই বিদ্যালুয়ে সেই ক্রটির সংশোধন কয়। কৰ্ম্মকুশলতার সঙ্গে বৃদ্ধি সংযুক্ত হইয়া কারুকরদিগের প্রতিভা প্রকাশের অবসর ঘটে ও সুবিধা ঘটিলে তাহার জীবনে প্রভূত উন্নতি করিতে পারে। এই বিদ্যালয়ে স্ত্রীলোকদিগের শিক্ষারও ব্যবস্থা আছে। স্ত্রীবিভাগেও দিবা ও নৈশ অধিবেশন হয়। স্ত্রীলোকদিগকে পোষাক তৈয়ারি, নক্সা, ঘরকরণ গৃহস্থালীর কাজ, গৃহিণীপনা, হিসাব নিকাশ প্রভৃতি শিক্ষা দেওয়া হয়। স্ত্রীলোক যে যে কৰ্ম্মের উপযোগী এমন সকলবিধ কৰ্ম্মই তাহাদিগকে শিক্ষা দিবার বন্দোবস্ত এই বিদ্যালয়ে আছে। - বিদ্যালয় গৃহে যন্ত্রসাহায্যে জল, হাওয়া, তাপ, আলোক প্রভৃতি যোগান হয়। ঘরের দেয়ালের মধ্যে মধ্যে নল আছে, তাহার ভিতর দিয়া গরম জল চালাইয়া ঘর গরম করা হয়, কারণ আমেরিকা শীতপ্রধান দেশ। * প্রতি বৎসর ছাত্রসংখ্যা বাড়িতেছে। শীঘ্রই বিদ্যামন্দিরের আয়তন বৃদ্ধি করিতে হইবে। এই বিদ্যালয়ে একজন অধিনায়ক, একজন অধ্যক্ষ ও ৬৬ জন অধ্যাপক ও শিক্ষক আছেন। দাতা কার্ণেগী ৫ই এপ্রেল তারিখে ১৮ কোটি টাকা দান করেন, তন্মধ্যে ৬ কোটি টাকা কারুবিদ্যার জন্ত এই বিদ্যালয়ের ভাগে পড়িয়াছে। এই বিদ্যালয়ের বৃত্তান্ত মধ্যে মধ্যে প্রায়ই Scientific American Ff6 TGF প্রকাশিত হয়। বর্তমান প্রবন্ধ তাহারই সংক্ষিপ্ত সঙ্কলন । এই বিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের দেশের কারুবিদ্যালয়গুলি অতি ক্ষুদ্র বোধ হইবে। কিন্তু ধনকুবেরের বসতিভূমি অলকাপুরী সদৃশ আমেরিকায় যাহ একের দানে পরিপুষ্ট হইতেছে, আমাদের দরিদ্রদেশে তাহা সমবেত দানে সাধিত করিতে হইবে। দানশেও তাত আমাদের দেশে নিতান্তই দুর্লভ, তাহার উপর প্রতিকুহু রাজশক্তি আমাদের অভু্যদয়ের শত অন্তরায় ংলায় বিদেশী রুটি-বিস্কট । AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA प्रिश्ड शख्, देश }েললিও অপ্রতিকাৰ্য বা নিরাশ্বাসজনক নহে । বাংলায় বিদেশী রুটি-বিস্কুট। আমরা এমন পরভাগ্যোপজীবী হইয়া উঠিয়াছি যে এখন হিতোপদেশের হিত-উপদেশ স্মরণ হয় যে যিজীবনং তন্মরণং, যন্মরণং সোহস্ত বিশ্রামঃ স্বৰ্গীয় মনোমোহন ঘোষ নাকি ক্ষোভকাতর হইয়া বলিয়াছিলেন যে ‘আমার আস্তরিক ইচ্ছ যে ভারত মহাসাগর উচ্ছসিত উদ্বেলিত হইয়া, ভারতবক্ষের উপরদিয়া একবার পাঁচ মিনিটের জন্ত, সুনিশ্চিত হইবার জন্য দশ মিনিটের জন্ত, প্রলয়তাগুবে নাচিয়া যাক! ভারতের নাম পৃথিবীর পৃষ্ঠ হইতে সকল কলঙ্কপ্রলেপসহ মুছিয়া ধুইয়া লুপ্ত হইয়া যাক। ইহা অন্তগুঘিনব্যৰ্থ চিত্তের নিরাশ্বাসজনিত মৰ্ম্মস্তুদ আৰ্ত্তনাদ ! আমরা যে কিরূপ পরভাগ্যোপজীবী হইয়াছি তাহ সরকারি ব্যবসায় পত্রিকার হিসাবে বিদেশ হষ্টতে বাংলায় রুটি বিস্কুটের আমদানি দেখিলে বুঝা যায়। আমরা শুধু বস্ত্রের জন্যই পরের দ্বারস্থ নহি, বিদেশী বণিক রুটি পিষ্টক গড়িয়া না মুখে ধরিলে পেট ভরে না। আমাদের মুখে মায়ের অন্ন আর রুচে না ! অপরম্বা কিং ভবিষ্কৃতি তাহা ভবিতব্যতাই জানেন। সরকারি পত্রে প্রকাশ যে বৈলাতিক থাস্থ্যের পরিষ্কার পারিপাট্যের জন্য ও যান্ত্রিক উপায়ে উহা প্রস্তুত বলিয়া উহার এদেশে আদর । এদেশে দেশীয় যে সব পিষ্টক কারখানা হইয়াছে, তাহার তৈয়ারি বিস্কুট-রুটির তুলনায় বিদেশীয় জিনিষ যে কত ভালো তাহ প্রকাশ হইয়াছে। এবং সেই তুলনায় সমালোচনা বৈদেশিক খাদ্য আমদানির সাহায্য করিয়াছে ; অর্থাৎ বঙ্গবাবুরা দেশী খাদ্যের অপকৃষ্টতা দেখিয়া লেলিহান রসনায় বিলাতী টিনের • দিকে ঝুঁকিয়া পড়িয়া আমদানি বৃদ্ধি করিতে সাহায্য করিয়াছেন। বেশ কথা! বাঙালীর এই দুর্দিনে এই বাক্য গৌরবের না লজ্জার, থ্যাতির না পরিহাসের, তাহ সরকারি পত্রিক a let the Indian ocean sweep over India for fiye minutes, to make the result doubly sure I would say for ten minutes, -