ঘোর ফের ক৭িার ੀ। প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু મક્રિમ ፴fqቨርፋ છે. W. বলুন মনে মনে গুর ·1 eF .এ প্রসঙ্গে বিনয়ের কথা ধে গঠতে পfর্মে পণি 2 কথমে স্ব. ও ভাপে না । বিশেষত গোর এবং fবলয় স্থির করিয়াছিল তাঙ্গর বিবাহ না করিখ দেশের কাজে জীবন উৎসর কবিদেTর তাই বলিল, “বিময় বিয়ে করবে কেন ?" মহিম কহিলেন—“এই বুঝি তোমাদের ঠি ঠুয়ানি! হাজার টিকি রাখ আর ফোট কাট সাথেপিয়ানা হাড়ের মধ্যে —ীিয় ফুটে ওঠে। শাঙ্গের মতে বিবাইট যে ব্রাহ্মণের ছেলের একটা সংস্কার তা জান ?" মহিম এপনকার ছেলেদের মত আচারও লঙ্ঘন করেন ন! আবার শাসের ধারাও পারেন না। হোটেলে পান থাষ্টয়া বাহাদুর করাকেও তিনি বাড়াবাড়ি মনে করেন আবার গোরার মত সৰ্ব্বদা শ্রতিস্কৃতি লইয়া ঘাটাঘাটি করাকেও তিনি প্রকৃতিস্থ লোকের লক্ষণ বলিয়া জ্ঞান করেন না । কিন্তু যখিন দেশে যদাচার –গোরার কাছে শাস্বের দোহাই পাড়িতে ইষ্টণ। এ প্রস্তাব ধদি দুইদিন আগে আসিত তবে গোরা একেবারে কামেই লইত না । আজ তাঙ্গার মনে হইল কথাট নিতান্ত উপেক্ষার যোগ্য নহে। অন্তত এই প্রস্তাবটা লইয় এখনি বিনয়ের বাসায় যাইবার একটা উপলক্ষ্য জটিল। গোরা শেষকালে বলিল—“আচ্ছা, বিনয়ের ভাবগান কি বুঝিয়া দেখি।” মহিম কহিলেন—“সে আর বুঝতে হবে না । তোমার কথা সে কিছুতেই ঠেলতে পারবে না। ও ঠিক হয়ে গেছে। তুমি বললেই হবে।” সেই সন্ধার সময়েষ্ট গোরা বিনয়ের বাসায় আসিয়া উপস্থিত। ঝড়ের মত তাঙ্গার ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিল ঘরে কেহ নাই। বেহারাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করাতে সে কহিল, বাবু আটাত্তব নম্বর বাড়িতে গিয়াছেন। শুনিয়া গোরার সমস্ত মন বিকল হইয়া উঠিল। আজ সমস্ত দিন যাহার জন্ত গোরার মনে শান্তি ছিল না সেই বিনয় আজকাল গোরার কথা মনে করিবার অবকাশ মাত্র পায় না। গোর রাগষ্ট করুক আর দুঃখিতই হউকৃ বিনয়ের শান্তিও সাত্ত্বনার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না ! معماری، معم-هم ه همه مه..."هه ه همه ۳ - مه পরেশ বাবুর পরিবারদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মসমাজের বিরুদ্ধে গোরার অন্তঃকরণ একেবারে বিষাক্ত হইয়া উঠিল। সে মণের মধ্যে প্রকাও একটা বিদ্রো বহন করিয়া পরেশ বাবর বাড়ির দিগে ছুটিল। ইচ্ছা ছিল সেখানে এমন সকল কথা উত্থাপন করিধে যাহা শুনিয়া এষ্ট ব্রাহ্ম পরিবারের হাড়ে জাল ধরিবে এবং নিয়েরও আরাম বোধ হইবে না। পরেশ বাবুর বাসায় গিয়া শুনিল তাহার কেহই বাড়ীতে নাই, সকলেষ্ট উপাসনামন্দিরে গিয়াছেন। মুহূৰ্ত্ত কালের জষ্ঠ সংশয় হুষ্টল বিনয় হয়ত যায় নাই--সে হয়ত এই ক্ষণেই গোরার বাড়িতে গেছে। থাকিতে পারিল না । গোর তাহার স্বাভাবিক ঝড়ের গতিতে মন্দিরের দিকেই গেল । দ্বারের কাছে গিয়া দেখিল বিনয় বরদাসুন্দরীর অনুসরণ করিয়া তাহীদের গাড়িতে উঠিতেছে —সমস্ত রাস্তার মাঝখানে নিলজের মত অন্য পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে এক গাড়িতে গিয়া বসিতেছে ! মূঢ় ! নাগপাশে এমনি করিয়াই ধরা দিতে হয় ! এত সত্বর ! এত সহজে ! তবে বন্ধুত্বের আর ভদ্রস্থত নাই। গোরা ঝড়ের মতই ছুটিয়া চলিয়া গেল-আর গাড়ির অন্ধকারের মধ্যে বিনয় রাস্তার দিকে তাকাচয় চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। বরদাসুন্দরী মনে করিলেন আচার্য্যের উপদেশ তাহার মনের মধ্যে কাজ করিতেছে—তিনি তাই কোনো কথা বলিলেন না । ᎼᏬ রাত্রে গোরা বাড়িতে ফিরিয়া আসিয়া অন্ধকার ছাতের উপর বেড়াইতে লাগিল। তাহার নিজের উপর রাগ হইল। রবিবারটা কেন সে এমন বৃথা কাটিতে দিল ! ব্যক্তিবিশেষের প্রণয় লইয়া অন্ত সমস্ত কাজ নষ্ট করিবার জন্ত ত গোরা পৃথিবীতে আসে নাই। বিনয় যে পথে যাইতেছে সে পথ হইতে তাহাকে টানিয়া রাখিবার চেষ্টা করিলে কেবলই সময় নষ্ট এবং নিজের মনকে পীড়িত করা হইবে। অতএব জীবনের যাত্রাপথে এখন হইতে বিনয়কে বাদ দিতে হইবে, জীবনে গোরার একটিমাত্র বন্ধু আছে তাহাকেই ত্যাগ করিয়া গোরা তাহার ধৰ্ম্মকে সত্য করিয়া তুলিবে। এই বলিয়া গোরা জোর করিয়া হাত নাড়িয়া ধিনয়ের সংস্রবকে নিজের চারিদিক হইতে যেন সরাইয়া ফেলিল ।
