পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদকের মতই প্ৰলাপ, চিত্তভ্রম ও অবশেষে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয় ঘটাইয়া থাকে ৭ ৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে কোকার পাতার উত্তেজক পদার্থ কোকেন নামে আবিষ্কৃত হয়। ইহা শ্বেতবর্ণের দানাদার গুড়, গন্ধহীন ও ঈষৎ তিক্তস্বাদ । ১৮৬০ সালে ইহার শরীর ਬਸਿ করিবার ক্ষমতা প্ররিজ্ঞাত থাকিলেও ১৮৮৪ সালে প্রথম ইহা শরীর অসাড় করিবার জন্ত ব্যবহৃত হয় । ভিয়েনার ডাক্তার সি কোলার ইহা প্রথম ব্যবহার করেন। -,৮৮৪ সালে তিনিই প্রচার করেন যে কোকেন প্রয়োগে স্থানিক অসাড়ত উৎপন্ন হয়, এজন্য অস্ত্র-চিকিৎসায়, বিশেষতঃ চক্ষু অস্ত্র করিতে, ইহা বড় সুন্দর সাহায্যকারী হইতে পারে। তদবধি ইহা চক্ষু ও দন্ত চিকিৎসকদিগের মাদরের সামগ্ৰী ইষ্টয়া চিকিৎসকসমাজে সমাদৃত হইতেছে। অন্তান্ত গুণের মধ্যে আবিস্কৃত হয় যে কোকেন থাইলে স্বায়ু সকলের আরাম, ইন্দ্রিয় সকলের উত্তেজনা এবং এক রকম নেশা উৎপন্ন হইয়া আনন্দকর মানসবিভ্রম উৎপন্ন হয় । যতক্ষণ এই মাদকপ্রভাব শরীরে থাকে ততক্ষণ সেই আনন্দানুভূতি বোধ হয়, প্রভাব কমিয়া গেলেই আর এক মাত্রা সেবন করিয়া কৃত্রিম আনন্দানুভূতি প্রবাহিত ‘রাখিবার অদম্য লালসা হয়। বয়স্ক পুরুষ জীবনসংগ্রামের ক্লাস্তি অবসাদ দূর করিবার জন্ত ইহা ব্যবহার করে, বালকের জ্ঞান চর্চার সুবিধার জন্ত ইহার উত্তেজনা আকাঙ্ক্ষা করে, সুন্দরী ধনিকরমণীগণ বিলাসবিভব লীলাঠাটে ক্লান্ত হইয় অবসাদ গোপন করিবার জন্ত কোকেনের সেবা করে । কবির কথায় ইহার অভ্যাসের ফল হয়-- “একবার পানে আরো পিয়াস, স্থবারে জড়ত বচনে, তিনবারে তনু আর ত’ বহে না, মুরছে মুদিয়ে নয়নে!” . হায়, যাহারা দুৰ্ব্বলমনা তাহাদের কিছুতে চৈতন্ত হয় না, অলীক আনন্দের সন্ধানে কোকেনের দাস হইয় পড়ে। কোকেন-অভ্যাস আমেরিকায় বহু বিস্তৃত। সমাজের হই প্রান্তু ধনী ও দক্টি—ইহা দ্বারা বিষম আক্রান্ত। প্রতি বৎসর ইহার আমদানি বাড়িয়া চলিয়াছে। ইহা দিব্যদৃষ্ট’ বা দীপ্তচক্ষু নামে ধনীদিগের নিকট সমাদৃত হয়। কাফ্রি ۶ قم ***۶۴۰میتههای دهه ۹۰عی میه*** دهه۹۶۰-a » «چه কোকেন-অভ্যাস । ૭િ૧ઃ গণ ইহার নন্ত তৈয়ারি রিয়া বাকুরি করে। কোকেন চিনির সহিত মিশাইয় গুড়া করিয়া নস্ত হয়। কোকেন . খাওয়া বা সুচপিচকারী দ্বারা ত্বকের নীচে নিষিক্ত করা অপেক্ষা নস্ত টানিলে শীঘ্র মস্তিষ্কে গিয়া পৌছে। এই অভ্যাসের ফলস্বরূপ বাতুলালয় পরিপূর্ণ হইয় উঠতেছে : এবং সে দেশের আদিম অধিবাসী একেবারে ধ্বংসলুপ্ত হইবার আশঙ্কা হইয়াছে। ১৯০২-০৩ সালের মধ্যে চারিটি কোকেন ব্যবহার নিষেধক আইন বিধিবদ্ধ হইয়াছে ; ইহাতে কিছু উপকার দেখা যাইতেছে। সেই আইনে ডাক্তারের ব্যবস্থা ব্যতীত কোকেন বিক্রয় নিষিদ্ধ হইয়াছে ; ডাক্তারের অনুমতি ব্যতীত এক ব্যবস্থার পুনগ্রহণ বারণ হইয়াছে ; এবং ডাক্তারের অভ্যস্তদিগকে কোকেনের ব্যবস্থা করিতে পরিবেন না বিধি হইয়াছে। ইংলণ্ডে এই অভ্যাস অজ্ঞাত নহে । কোকেনথোর সেখানে সহজে কোকেন পায় না ; ডাক্তারের ব্যবস্থা লইয়ু একাধিক ডাক্তারখানা হইতে ব্যবস্থা দেখাইয়া কোকেন সংগ্ৰহ করিয়া মেীতাত চালাইয় থাকে। ইংলণ্ডে ইহা বিষশ্রণীভুক্ত ; এজন্ত যাহাকে তাহাকে শাস্ত্র বিক্রয় করা হয় না। বিংশ শতাব্দীর উগ্র সভ্যতার পন্ধে পড়িয়া ভারতেও কোকেন অধিকার বিস্তার করিয়াছে । কলিকাতা বোম্বাই ত ইহার প্রভাবে আচ্ছন্ন হইয়া উঠিয়াছে। যাহারা আফিং গাজার সেবক প্রায় তাহারাই কোকেন-ভক্ত দেখা যায়। কোকেনথোরেরা স্বীকার করে যে ইহার এমনি উৎকট মোহিনী যে একবার থাইলেই ইঙ্গর অভ্যাস ছাড়া দুষ্কর হইয় উঠে। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে এই মূল্যবান পদার্থ চিকিৎসকের শিশির মধ্যেই আবদ্ধ ছিল ; ইহার মাদকত্ব সকলে কেমন করুিয়া জানিল, এবং কেমন কফুি নিরন্ন ভারতে এই ব্যয়সাধ্য নেশা এমন প্রসার প্রাপ্ত হইল । জনশ্রুতি যে এই আমিরি নেশা ভাগলপুর হইতে কলিকাতার সংক্রমিত হয়। ভাগলপুর জেলাটা নাকি একেবারে কোকেনথোরের আড্ডা। আমি ( বর্তমান লেখক ) জানি, ভাগলপুরের নিকটস্থ কোন প্রসিদ্ধ জমিদার নিয়ার সকল রকম নেশা করিয়া এমন পাকা নেশাখের হইয়া উঠিয়া-প ছিলেন যে নেশা তাহার নিকট হার মানিয়া লজ্জা পাইয়াছিল। অবশেষে নেশার সেরা কোকেনসেবা করিয়া তিনি