পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

قوة ة AASAASAASAASAASAASAASAASAASAAS SeSeASASASeSeS যেই পাত্র হণ্ডে গুগে করে শিশু পান ক্রোধেও ভাঙ্গিয়া নাহি করে থান থান । তিনি যিনি নিজহাতে গড়িলা এ বাটি রাস করি ভঙ্গিবে না জানে| তথা পাটি। জ্যোতিধ কবি যখন বৃদ্ধ হইয়াছিলেন এবং ‘যৌবনের গ্রন্থ বন্ধ হইয়াছিল’, তখন তিনি ঈশ্বরবিশ্বাসী হইয়াছিলেন । আমাদের দেশে ৪ অনেককে যৌবনে উচ্ছৃঙ্খল থাকিয়া বাদ্ধক্যে পরম ঈশ্বরপরায়ণ হইতে দেখা যায় ; উচার কারণ হয় তাহারা স্বাধীন বিচার দ্বারা ধ্রুব সত্যে উপনীত হইয়া থাকেন, বা বাৰ্দ্ধক্যে চিন্তাশক্তি কেবল হইয়া যা যায়ীয় প্রচলিত গণ্ডির মধ্যে ধরা দিয়া থাকেন । কিন্তু ওমারের এষ্ট দুয়ের একটাও ঘটে নাই। তিনি এত ধাৰ্ম্মিক তষ্টয়াছিলেন যে সকসের চক্ষে তিনি অধাৰ্ম্মিক বলিয় প্রতিভাত হইয়াছিলেন। ইহ প্রাচ্য প্রকৃতির অন্তদায়ী প্রেমে একাগ্রতা ও মত্তত প্রাচ্যের স্বভাল । পারসোর দরবেশ ও শুফি সম্প্রদায়, ভারতের বাউল সম্প্রদায় প্রেমের ধন্ততায় চিব প্রসিদ্ধ। ওমার বলিয়াছেন--- বিগ্ৰহ বলিল ঢাকি ভক্ত পূঞ্জকেরে কেন ভক্ত পুজ মোরে নির্জীব প্রস্তরে' ? ভক্ত কহে, শুব নামে মারে আমি ঢাকি তোমারি মাঝারে আমি তাহারেই দেগি' ৷ পুনরপি একদা আমার আত্ম কহিল কতরে "সারধৰ্ম্ম শিখাও তে মোরে কুপ করে ।” আমি কহিলাম, ‘শিখ আলিফ কেবল, শিথিলে তাঙ্গার তত্ত্ব আয়ত্ত সকল' + অর্থাৎ ‘আলিফ’ পারস্য বর্ণমালার এবং “আল্লা’ শব্দের আদাক্ষর । যিনি সর্বদি আল্লা তাঙ্গকে জানিলেই সব জানা হয় । তাহার উন্নতচিত্ততা এবং প্রচলিত নিয়ম ও কুসংস্কারের প্রতিকুলতার পরিচয় দিয়াছেন সারা সপ্ত তৃষ্ণ বারি যেই করে দান, শুক্রবারে জলপানে নাহি অসন্মান হয় তার, ওহে ভাই ধৰ্ম্মধ্বজী শোন মোর ধৰ্ম্মে:দিন লয়ে ভেদাভেদ কোন নাহি, আমি সব দিন সমতুল্য বুঝি দিনের পুজক নহি, ভগবানে পূজি ।

  • "দেল গুস্কৃত মারা ইলম লদল্লী হওস অন্ত, তালিম কুন আগর তুরা দস্ত রসূ অস্ত,।

গুফতম আলিফ গুফত্ব দিগর হেচ্‌ মগে৷ দরখানা আগর কস অস্ত এক হরফ বস্ অস্ত ।" প্রবাসী । AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA ৭ম ভাগ । S AASAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS শুক্রবার মুসলমানদিগের পবিত্র দিন, সে দিন উপবাস বিধি ; এইরূপ তুচ্ছ বিধিনিষেধ হিন্দুধৰ্ম্মকে একেবারে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছে। ওমরের এই সত্যবাণী আমtদের হিন্দুমুসলমানের অবদান যোগ্য। ওমার সাধুকর্মী ও অদ্বৈতবাদী ছিলেন তাহার প্রমাণ— মিথ্যাধৰ্ম্মে সাধু কৰ্ম্ম তুচ্ছ স্বত্ত্বে রত্ন সম, পদি ভুলে-গেথে থাকি, বলিবার অাছে মম -- এক কভু দুই বলি ভ্ৰমে আমি পুজি নাই, আমার মুক্তির তরে যথেষ্ট হইবে তই । ওমার বাহ্যিক ক্রিয়াকলাপ পছন্দ করিতেন না— উনার ছায় না মিলতে মনে হ’ল যেন মদ্যশালার মাঝে ৬tfক কহে কণ্ঠ কোন মনের মাঝে সবার সেরা মন্দির থাকতে খড়া তন্দ্র আতুর পূজক কেন বাইরে মাথা খোড়া ? তিনি বর্তমানজাদা ও প্রাপ্ত ভবিষ্যবিশ্বাসী উভয়কেপ তুল্যরূপে ঘৃণা করিতেন--- আজিকার তরে যার করে শুধু আয়োজন, কিংব যার অঙ্গ ছেড়ে কালিকার প্রয়োজন, তাঁধার মিনার থেকে মোয়ামিন ফুকারিছে ‘মূঢ় তোর পুরস্কার না হেথা ন হেথা আছে । ওমার আয়ায় পরম স্থার আভাস পাইয়া বলিয়াছেন— একটা দুয়ার বন্ধ আছে চাবি পাইন খুঁজে পরদ। একটা ফেলা আছে আছি চক্ষু বুজে, আড়াল থেকেই তোমায় আমায় মুদ্র কণাকণি, বারেক হয়, পরেই মোদের নাহি জানাজানি । ইহা রবীন্দ্রের— “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই ন৷ ” গানটি স্মরণ করাইয়া দেয়। আবার ওমার বলিয়াছেন— আমি মাঝে তুমি যে গো আড়ালে বসিয়া-- অন্ধকারে খুজি আলো দেখিব বলিয়, অমনি শুনি গে। আমি তুমি ডেকে কও ‘ওরে অন্ধ! তেরি মাঝে মোরে দেখে লও!” ইহা হইতে বুঝা যায় ওমার বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী হইয়াছিলেন । স্বৰ্গ নরক বলিয়া যে কোন পৃথক স্থান নাই, নিজের মনই যে স্বর্গ নরক তাহা নিমের শ্লোকে ওমার বলিয়াছেন আয়ারে পাঠায়ে দিনু অদৃষ্ঠের মাঝে পরজন্ম কথা কিছু জানিবার তরে। অবশেলে মোর আত্মা ফিরে মোর কাছে উত্তরে নরক স্বর্গ তামারি ভিতবে!’