পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । মিল্টনও বলিয়াছেন— । The mind is its own place It can make a hell of heaven anol a licaven of hell. স্বৰ্গনরক কাহাকে বলে ওমার তাহা বিশদ করিয়া বলিয়াছেন— স্বৰ্গ সেত পরিতৃপ্ত বাসনার ছায়া" নরক আত্মার কালো আঁধারের কায় যে আঁপার হতে মোরা এসেছি বহিরে আবার ত্বরীয় মোর। সেখী যাব ফিরে । অনেকের মতে ওমার দুঃখবাদী ছিলেন। আমরাও দেখিতে পাই তিনি প্রেম দিয়া জগতের দুঃখ জয় করিবার প্রয়াসী--- ওগো প্রেম। তুমি আমি পরামর্শ করি গব সাথে বিমাদ নিয়মসুল ভুগলের নিতে পারি তাতে— তা ত’লে ভাটিয়া তাঙ্গ করি চুরমার : তারপর মনের ম চন করি গড়ে তুলি বিশ্বচরাচর । সংশয় বিশ্বাসের প্রাণ : সাঙ্গর সংশয় নাই, তাঙ্গর বিশ্বাস মৃত : তাহার বিশ্বাস তন্ত্র মন্ত্র সংহিতাব নিষেধের ডোরে বঁাদ পড়ে ; তপন শুধু ক্রিয়াকলাপ, অনুষ্ঠান আয়োজনষ্ট ধৰ্ম্ম কষ্টয় পড়ে---ঈশ্বরের সঙ্গিত সংযোগ সাধন করাষ্ট যৈ ধৰ্ম্ম তাঙ্গ তপন মনে থাকে না। ওমারের ধৰ্ম্ম এরূপ ছিল না । বিধি নিষেধের বাধা বিরহিত স্বাধীন ধৰ্ম্ম তাহার ছিল ; গঙ্গার সংশয়বাদ বা অজ্ঞেয়বাদ জ্ঞানলিপা, আত্মার ব্যাকুলত মাত্র । তিনি প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক ছিলেন বলিয়া সমাজের চক্ষে অধাৰ্ম্মিক প্রতিপন্ন হইয়াছিলেন । তিনি অতি ধাৰ্ম্মিক ছিলেন বলিয়া তিনি বিশ্ব-দেব ছিলেন— প্রকৃতির প্রতিটি লীলায় ঈশ্বরের সত্তা ও বিকাশ অনুভব করিতেন । “র্তাহারি সাধনা করি জীবে, অচেতনে, যত ভুল যত ভ্রান্তি র্তাহারি সন্ধান ।” শ্ৰীচারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় । সমসাময়িক ভারত । ( সিরিউর ফরাসী হইতে ) / へ/ > বিলাতী ভাব ও বিলাতী শিক্ষা । আমি যখন আলিগড়ের ইঙ্গ-প্রাচ কালেজ দেখিতে গিয়াছিলাম, আমার ‘পাণ্ডা” একজন মুসলমান যুবক, প্রসন্ন সমসাময়িক ভারত। AeAeeSeASAeeeAeMMeA AeMMeeeeeeSeeeeeeeeee eeeeAeeSAMAAASAAAA همه ی هه ۶۰ همراه চিত্তে আমাকে সমস্ত বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন ; তিনি বলিলেন, অধ্যয়নের প্রণালী, ‘বোর্ডিং'এর ব্যবস্থা, দৈনিক যাতায়াতকারী ছাত্র—সমস্তই ছোটখাট দুই একটা কথা বাদে, ক্যামব্রিজকে মনে করাইয়া দেয়। এই কথার মাঝে তিনি হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন ;–“অত্রত্য বিদ্যালয়ে ক্রিকেটের দল, ভারতের সকল ক্রিকেট-দলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ * * * কলিকাতা ও বোম্বাইকে আমরা হারাইয়া দিয়াছি, এবং এই বৎসরে আমরা মাদ্রাজকে যুদ্ধে আহবান করিব।” একথা সত্য, কিন্তু পার্শি ক্রিকেটদলের জন্য বোম্বাইওঁ কম গৰ্ব্বিত নহে। ১৮৯৬ অব্দে, একজন রাজপুত রাজকুমার, ইংলণ্ডের বিজয়ী ক্রিকেটদলকে, তাহদের নিজের দেশে, নিজের জমিতে হারাষ্টয়া দিয়াছিলেন । তাহাতে টাইম্সপত্র বলিয়াছিল ;---এই যে জয়লাভ হইল, ইহাতে ইংরাজ-জনসাধারণের নিকট ভারত পরিচিত হইবে! এবং ঐ একই বৎসবে, একজন উচ্চশ্ৰেণীৰ ব্ৰাহ্মণ, সিভিল-সার্ভিস-পরীক্ষায় প্রথম আসন লাভ করেন, সমস্ত ইংরাজ প্রতিদ্বন্দ্বী তাহার বন্ত পশ্চাতে পড়িয়াছিল । চহা কম কথা নহে। ভারত বিলার্তাভাবে দীক্ষিত হইয়াছে। এখন ভারত, উহার প্রভৃদের অপেক্ষ ও বেশ বলবান, বেশ আধুনিক বেশী ‘শকেলে’ । ইংরাজি শিক্ষার ফল ফলিয়াছে । এসিয়ার পুরাতন আদর্শ পিছনে পড়িয়া গিয়াছে ! বায়াম-ক্রীড়ার জয় ! জীবনসংগ্রামে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নব্য-যুবকের দল তৈয়ারী হইতেছে । সামন্ত-তন্ত্রের পুরাতন রাজপুত, বড় বড় রাজা, বড় বড় শিকারী, বড় বড় যোদ্ধা, এখন তাহীদের পৌত্রদের মধ্যে হয় ত কোন একজন ক্রিকেটবিজয়ীকে দেখিতে পাইবেন। কিন্তু আমি বেশ কল্পনা করিতে পারিতেছি, দেব-ভক্ত, অতীতের ভক্ত, ভারতের সন্ন্যাসীরা, পবিত্র নদীতীরে বসিয়া র্যাহারা ধ্যানধারণায় মগ্ন থাকিতেন সেই সব মুনি ঋষিরা, এই নবজাত সামগ্রীকে বিস্ময়বিহ্বলনেত্রে অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখিবেন। জয়মাল্য ও প্রশংসাপত্রে বিভূষিত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হইতে উত্তীর্ণ, তাহদেরই একজন উচ্চশ্রেণীর ব্রাহ্মণ, র্তাহাদের চক্ষে “ভেড়ার লড়াইয়ের পশু” ভিন্ন আর কিছুই মনে হইবে না। মনে কর, একজন বোম্বায়ের ছাত্র, আর একজন কেন্থিজের ছাত্র ;–উভয়ের মধ্যে বেশ সাদৃশু আছে—প্রায়