পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা । ] ব্ৰহ্মদেশে আফিমের প্রচলন বৰ্দ্ধিত হইতেছিল বলিয়া অহিফেন বিক্রয়ে কড়াকড়ি করা হয়। তখন রেজুনের বৰ্ম্মিজ ও চীনা আফিংথোরেরা আফিংসার ও কোকেনের শরণাগত হয়। কোকেনের বিক্রয়ে কড়াকড়ি হওয়ায় গোপন বিক্রয় আরম্ভ হইয়াছে।.. গোপনবিক্রেতাদিগকে শাস্তি দেওয়া হইতেছে। কোকেনের সৰ্ব্বনাশী গ্রাস হইতে ভারতকে রক্ষা করিতে ব্যক্তিগত ও সমবেত চেষ্টার আবশুক হইয়াছে। গবর্ণমেণ্ট আইন দ্বারা চেষ্টত হইয়াছেন। ইঙ্গ এক্ষণে গাজ, ভাং, আফিং প্রভৃতির মত অনুমতি প্রাপ্ত ব্যবসায়ী ভিন্ন অন্ত কেহ বিক্রয় করিলে দণ্ডনীয় হয় । ১৯০২ সালে আরো ব্যবস্থা হইয়াছে যে প্রকৃত চিকিৎসা উপলক্ষ ভিন্ন অন্ত কোন কারণে কোকেন বিক্রয় হইতে পরিবে না। এইজন্য বিশিষ্ট ঔষধবিক্রেতা ভিন্ন আর কাহাকেও কোকেন বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়া হয় না। খুচরা বিক্রেতারা ৬০ গ্রেণের অধিক এককালে রাখিতে পরিবে না । যে পদার্থ সেবনে স্বাস্থ্যহানি এবং দুৰ্ব্বল লোকের প্রাণহানি হইতে পারে তাহার প্রসার নিবারণ জন্ত সকল ভারতহিতেচ্ছ মহাশয়ের কৰ্ত্তব্য। সময়ের একটি সাবধান-বাণী অনেককে রসাতলের পিচ্ছিলপথে রক্ষা করিয়া নিরাপদ করিতে সক্ষম হয়।

পুরাতন মালদহ।

যেখানে কালিন্দীস্রোত আসিয়া মহানন্দস্রোতের সহিত মিলিত হইয়াছে, তাহার অনতিদূরে—অপর তীরে—মালদহ। তাহ এখন “পুরাতন মালদহ” নামে পরিচিত। ইংরেজাবাদ মালদহ নামে পরিচিত হইবার পর, তাহার সহিত পার্থক্যস্বচনার জন্ত এই নাম প্রচলিত হইয়াছে প্রকৃতপক্ষে ইংরেজাবাদ আধুনিক নগর, মালদহ পুরাতন স্থান। তথায় প্রাচীনত্বের যথেষ্ট পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। - কোন সময়ে এই পুরাতন নগর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার তৃথাবিষ্কারের সম্ভাবনা নাই। সকল স্থানই কালক্রমে শ্ৰীহীন হইয়া পড়িয়াছে। তথাপি মালদহের অনতিদুরবর্তী স্ববৃহৎ সরোবরাদি দর্শন করিলে, ইহাকে পুরাকালের शूबांऊन बांलनए । ७११. সম্পন্ন নগর বলিয়াই স্বীকাল করিতে হয়। প্রাকৃতিক ংস্থান এরূপ বিশ্বাসের সম্পূর্ণ'অমুকুল - উভয় স্রোতৃস্বতীর সন্মিলন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হইয়া এই পুরাতন নগর এক সময়ে পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের প্রবেশদ্বার বলিয়া পরিচিত হইয়াছিল। এখনও মালদহ হইতে পৌণ্ডবৰ্দ্ধৰ পৰ্য্যন্ত একটি পুরাতন রাজপথের চিহ্ন নানা স্থানে দেখিতে পাওয়া যায় । কাটরা । 皺 মালদহ নগরপ্রাচীর ও নগরতোরণে সুরক্ষিত ছিল। প্রাচীর নাই ; তোরণদ্বারের ভগ্নাবশেষ পড়িয়া রহিয়াছে। তাহাকে একালের লোকে “কাটরা” বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। “কাটরা” কত পুরাতন, অধিবাসিগণ তাহার কোনও সন্ধুত্তর প্রদান করিতে পারেন না । গঠনপ্রণালী পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে, ইহাকে নগরতোরণ বলিয়াই স্বীকার করিতে হয়। মধ্যস্থলে রাজপথ, তাহার উপর খিলানযুক্ত নগরতোরণ, —মুদৃঢ় প্রস্তরগঠিত বলিয়া এখনও সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হক্টতে পারে নাই । ইহার পাশ্বে এবং শিখরদেশে প্রহরীমন্দির বর্তমান ছিল। শিখরদেশ ভাঙ্গিয়া পড়িয়া গিয়াছে, ভূগর্ভে প্রহরীমন্দির প্রোথিত হইয়া রহিয়াছে, লতাগুল্মে ভগ্নাবশেষ আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছে। নগরের দক্ষিণাংশে আর একটি নগরতোরণের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। উভয় তোরণের রচনাপ্রণালীর তুলনা করিলে, দক্ষিণতোরণকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক বলিতে হয়। প্রাচীন তোরণ পরবত্তাযুগে “কাটরা” রূপে ব্যবহৃত হইত। বণিকেরা তথায় বিবিধ পণ্যদ্রব্য সঞ্চিত করিয়া, তথা হইতে পৌণ্ড বদ্ধনে ক্রয় বিক্রয় ব্যাপারে লিপ্ত হইত। তৎস্বত্রে এই নগরতোরণটি “কাটরা” নামে পরিচিত হইয়া থাকিবে । রাভেনশা ইহাকে দুর্গদ্বার বলিয়াই বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন।+ মালদহের ইতিহাসলেখক ইলাহিবক্স স্বপ্রণীত “খুরশেদ মালদহের অনতিদূরে উত্তর দক্ষিণ লম্ব অনেক স্ববৃহৎ সরোবর হিন্দুকীৰ্ত্তির পরিচয় প্রদান করিতেছে। 參 + “The Katral or Fort Gate stands near the river, and leads to a strong enclosure, which appears, of late years, to loave been used as a Sarai or resting place for travellers. It is said to have answered formerly as a place of safety for valuable merchandise landed at old Maldah, and intended for transmission to the Court at Panduah," p. 42.