পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

০ম সংখ্যা । ] ড়ির আঁক প্রভৃতি দেখিয়া বুঝিয়া লয় যে যাত্রাটীর নিকট শেষ প্রাপ্তির আশা নাই। এইজন্য র্তাহার কুলি পাওয়া স্কর হইয়া উঠে। কুলিগণ · প্রয়োজনীয় কাৰ্য্যব্যপদেশে ছাত্ৰ চলিয়া যাইতে থাকে। এরূপ অবস্থায় ভদ্রলোককে শেষ কষ্টে পড়িতে হয়। হোটেল পরিত্যাগের সময় কোন ভৃত্যকে কত দেওয়া চিত তাহার কোন বাধার্বাধি হিসাব নাই ; তবে মোটামুটি সাব, যদি এক সপ্তাহকাল হোটেলে থাকা হয় ত যাইবার ময় অন্ততঃ নিম্নলিখিত হারে বক্শিশ, বণ্টন করা উচিত। দ্বার বেহারী ( head waiter ) পাচ শিলিং, বেহার waiter) আড়াই শিলিং, শয়নাগারের দাসী (chamber naid) s zvīR"#F (hall porter) 2TETIT QË ffeie, নিসপত্র রক্ষক দেড় শিলিং, এবং যে জিনিসপত্র গাড়ীতে ঠাইয় দেয় সে এক শিলিং। এইরূপ বক্শিশু পাইয়। ত্যগণ বিশেষ পরিতুষ্ট না হইতে পারে, কিন্তু একেবারে সন্তুষ্টও হইবে না থিয়েটারগুলিতে পূৰ্ব্বে বক্শিশ্ব দানপ্রথা ছিল না । iখানেও এখন এ প্রথা প্রবেশ লাভ করিয়াছে। যে ভৃত্যদর্শকবৃন্দকে স্ব স্ব বসিবার স্থান দেখাইয় দেয় তাহারা তোক দশকের নিকট হইতে অদ্ধশিলিং বক্শিশের আশা খে। যে কক্ষে দশকগণকে ওভারকোট ও যষ্ঠি রাথিতে , তাহার রক্ষক ও অনেক স্থলে প্রত্যেকের নিকট এক লিং বক্শিশ পাইবার প্রত্যাশা করে। পল্লীগ্রামের গৃহেও বকৃশিশু প্রথা প্রবেশ করিয়াছে। বার সেখানে বকৃশিশের পরিমাণ এত বাড়িয়া গিয়াছে যে কহ বন্ধুবান্ধবের গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করিলে সহরের বড় ড় হোটেলে তাহার যে খরচ হইত তাহা অপেক্ষা কম খরচ য় না। এই জন্ত অনেক সময় মধ্যবিত্ত লোকেরা পল্লীtমের বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে অর্থ হন না। অনেক গৃহে গৃহকর্তা ও কত্ৰীগণ এ কুপ্রথাকে মন করিতে চেষ্টা করেন বটে, কিন্তু তাহারা বিশেষ কিছুই রিয়া উঠিতে পারেন না। এখানে যে সকল ভূত্য শিকারের নদাবস্ত করিয়া দেয়, অন্তান্ত ভৃত্য অপেক্ষা তাহারা নেক অধিক বকৃশিশু পাইয় থাকে। এক দিনের কারের জন্ত যদি তাহারা দুই পাউণ্ড অর্থাৎ ত্রিশ - S AAAA S AA SAASAASAASAAAS AAAS বকৃশিশু। - - ** - ح ---- مح.. - *** سهم---م. مم----- - - - - - ه...-......-..... ..۔ -......--م....---...-----..-----..------.------..-----...---- .م۔۔-....-----...---۔.---- টাকা পাইল ত কিছু বেশী পাইল না। একবার একজন ভূত্যকে দুই পাউণ্ড দেওয়ায় সে উহা ফিরাইয়া দিয়া বলিল সে কাগজ ছাড়া অন্ত কিছু গ্ৰহণ করে না । কাগজের অর্থ এই যে সে পাচ পাউণ্ডের নোটের কম লয় না। ভদ্রলোকটী গুহস্বামীকে র্তাহার ভূত্যের এই অশিষ্টাচারের কথা জ্ঞাপনকরায় ভৃত্যটা সত্য সত্যই একখও কাগজ পাইল অর্থাৎ তাহাকে ছাড়াইয়া দেওয়া হইবে বলিয়া একমাসের নোটিস দেওয়া হইল। আর একবার একটী ভদ্রলোক এক বেলার শিকারের জন্ত বন্দোবস্তকারী ভৃত্যটাকে একটা পাউণ্ড অর্থাৎ পনর টাকা বকৃশিশৃ দিয়াছিলেন। ভদ্রলোকটী যখন লগুনে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন তখন দেখিলেন যে বন্দুকটা ভুলিয়া আসিয়াছেন। শিকার রক্ষককে বৃন্দুকট পাঠাইয়া দিতে লেখায় সে পত্রের এইরূপ উত্তর দিল, “মহাশয়, আপনার বন্দুকট আমার নিকট আছে। আপনি আমার যে চার পাউণ্ড ধারেন তাহ আমাকে যখন প্রদান, করিবেন তখন আপনার বন্দুকট পাঠাষ্টয়া দিব।” জলপথে ভ্রমণের সময়ও বকৃশিশের হাত হইতে নিস্কৃতি লাভ হয় না। জাহাজের তৃত্যদিগকে বকৃশিশূ না দিলে অনেক প্রকার অসুবিধা ভোগ করিতে হয়। যিনি বকৃশিশ না দিবেন তিনি দেপিতে পাইবেন যে সকালে ঠিকসময় তাহাকে ডাকা হইল না, মানের সময় মানগৃহ খালি নাই, আহারের সময় টেবিলের নিকট ভাল স্থান পাওয়া ভাগ্যে ঘটিল না, রাত্রিকালে তাহার ডেকের চেয়ার ঢেউ লাগিয়া ভাসিয়া গেল, এবং জাহাজ ত্যাগকালে র্তাহার জিনিষপত্রের কিয়দংশ আশ্চৰ্য্য রূপে অদৃশ্ব হইয়া গেল । কোন কোন জাহাজে প্রত্যেক ভৃত্যকে পৃথক ভাবে বকৃশিশ দানের প্রথা নাই । সেখানে ধূমপানাগারে কিম্বা সাধারণের বসিবার কক্ষে একটা বাক্স রাথী থাকে ; সেই বাক্সের ভিতরে ষাত্রীগণকে ইচ্ছানুরূপ বক্শিশ ফেলিয়া দিতে অনুরোধ করা হয় ; পরে এই বাক্সস্থিত অর্থ ভূতাদিগের মধ্যে যথারীতি বণ্টন করিয়া দেওয়া হয়। এরূপ নিয়ম যাত্ৰীগণের নিকট সুবিধা জনক ; কিন্তু ভৃত্যগণ ইহা বড় একটা পছন্দ করে না।. এইত সাদা আদমিদের দেশের কথা । এরাই আবার কাল আদমিদের দোষ দেখান। অলমতি বিস্তরেণ। শ্ৰীঅধরচন্দ্র মিত্র। "