পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Q8 হজরত পাণ্ডুয়া । পুরাতন পৌণ্ডবৰ্দ্ধন এখন “পাণ্ডুয়া" নামে পরিচিত। মালদহের লোকে তাহাকে আর ও সংক্ষিপ্ত করিয়া লইয়া “পরুয়া” নামে অভিহিত করিতেছে ! হগলী জেলায় পাণ্ডুয়া নামে আর একটি পুরাতন স্থান দেখিতে পাওয়া যায়। তাহার সহিত পার্থক্য রক্ষার্থ গ্রন্থকারগণ মালদহের পাণ্ডুয়াকে “হজরত পাণ্ডুয়া” নামে অভিহিত করিয়া থাকেন। ইলাহি বক্সের হস্তলিথিত ইতিহাসে পাণ্ডুয়ার বিবিধ বিবরণ সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে। তিনি লিপিয়া গিয়াছেন,--“পুরাকালে পাণ্ডুয়া একটি বৃহৎ নগর বলিয়া সুপরিচিত ছিল । তাহ ইংরাজবাজার হইতে দ্বাদশ মাইল উত্তরে অবস্থিত। তথায় এক সময়ে বহু লোকের বসতি দেখিতে পাওয়! যাইত । সামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের সিংহাসনারোহণের সময় হইতে রাজা কংসের ( গণেশের ) রাজ্যাধিকারের শেষ পর্য্যন্ত অৰ্দ্ধশতাব্দীকাল ছয়জন গৌড়ীয় বাদশাহ পাণ্ডুয়ার রাজধানীতে বাস করিয়া গিয়াছেন । হিজরী ৭৯৫ সালে ( ১৩৯২ খৃষ্টাব্দে ) কংসপুত্র জালালুদ্দীন গৌড়ে রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন "* পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের পুরাতন রাজধানীতে হিন্দু এবং বৌদ্ধমন্দিরের অভাব ছিল না। তাহার কথা হিয়াঙ্গথসাঙ্গের ভ্রমণকাহিনীতে এবং “রাজতরঙ্গিণী"তে উল্লিখিত আছে । ইলাহিবক্স লিখিয়া গিয়াছেন,—“কংস সিংহাসনে আরোহণ করিলে, পাণ্ডুয়া আবার দেবমন্দিরে পূর্ণ হইয়। উঠিয়াছি । এই সকল হিন্দু এবং বৌদ্ধমন্দির হইতে ইষ্টক প্রস্তর ভাঙ্গিয়া আনিয়া মুসলমানগণ র্তাহাদিগের সমাধিমন্দিরাদি গঠিত না করিলে, পৌণ্ডবৰ্দ্ধনে এখনও অনেক হিন্দু ও বৌদ্ধমন্দির বর্তমান থাকিতে পারিত !

  • Pandua was a lange city in ollen times, and is situated twelve miles north of Angrezabad. It used to be well-peoplecl, a nel froni tlie begining of the reign of Shamsuldin Ilyas Shah to the end of the reign of Rajah Kans, six kings ruled there for the period of fifty-two years. In 795 A. H. (1392) Jalaluddin, the son of Rajali Kans, renoved the seat of sovereignty to Gour.--Khursidjahannamah, as published in J. A.

S. B. (1895.) প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । এখন আর পাণ্ডুয়ার সে পুরাতন সৌভাগ্যগৰ্ব্ব বর্তমান নাই,–চারিদিকে বিজন বন,—তাহার মধ্যে মুসলমান কীৰ্ত্তির কতিপয় ধ্বংসাবশেষ, তাহাই এখন পাণ্ডুয়ার একমাত্র দৃত। তাহাতেও কত ভাগ্যবিপর্যায় সংঘটিত ইষ্টয়ছে। যে সকল স্বাধীন ভূপতি "গৌড়-বাদশাহ" নামে পাণ্ডুয়ায় রাজশক্তি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, একালের অধিবাসিগণের নিকট র্তাহীদের নাম পর্য্যস্ত অপরিচিত হষ্টয়া উঠিয়াছে। তাছাদের আশ্রয়ে থাকিয়া যে সকল মুসলমান সাধুপুরুষ ধৰ্ম্ম বিস্তার করিতেন, তাহাদিগের কথাই পাণ্ডুয়ার আধুনিক অধিবাসিগণের নিকট প্রাতঃস্মরণীয় হইয়৷ রহিয়াছে। সুতরাং পাণ্ডুয়ার পুরাকীৰ্ত্তির উল্লেখ করিতে হষ্টলে, সৰ্ব্বাগে তাহাদের কথারই উল্লেখ করিতে হয়। পাণ্ডুয়ার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে “বড় দরগা” এবং “ছোট দরগা” নামক দুইটি দরগা দেখিতে পাওয়া যায়। “বড় দরগা” মকৃঢ়ম শাহ জালালের এবং “ছোট দরগা” কুর কুতব আলমের নামে পরিচিত হইয়া রহিয়াছে। উভয় দরগাই ভূসম্পত্তির অধিকার প্রাপ্ত হইয়া অদ্যাপি আত্মরক্ষা করিয়া আসিতেছে। “বড় দরগার” ভূসম্পত্তি “বাইশ হাজারী” এবং “ছোট দরগার ভূসম্পত্তি “যস্ হাজারী” নামে কথিত ইষ্টয়া থাকে। রাজপথপাথে যে, তোরণদ্বাৰ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার ভিতর দিয়া কিয়দর অগ্রসর হইলে, উভয় দরগা দৃষ্টি পথে পতিত হয়। বড় দরগা। “বড় দরগা” নামক স্থানে অনেকগুf আটালিকা বৰ্ত্তমান আছে। সকল গুলিই অপেক্ষাকৃত আধুনিক বলিয়া বোধ হয়। মক্‌ছম শাহ জালালের বাসের জন্ত হিজরী ৭৪২ সালে ( ১৩৪১ খৃষ্টাব্দে ) সুলতান আলি মবারক এক অটালিকা নিৰ্ম্মিত করিয়া দিয়াছিলেন। সে পুরাতন অট্টালিকা এক্ষণে দেখিতে পাওয়া যায় না। গোলাম হোসেন “রিয়াজ-উস্-সলাতিন” রচনা করিবার সময়েও তাহার কিছু কিছু ধ্বংসাবশেষ দর্শন করিয়াছিলেন । * ইলাহি বক্স লিখিয়া গিয়াছেন,—“তাহার সময়ে সে পুরাতন অট্টালিকার

  • Ghulain Husain, writing in 1786, speaks of there still being traces of the building---H. Beveridge.