পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] \ ---...---...--عs..۔ مس. হ মাত্রও বর্তমান ছিল না।”* নিরক্ষর মুসলমানগণ tহা স্বীকার . করিতে অসম্মত। তাহারা বর্তমান ট্টালিকাকেই পুরাতন অট্টালিকা বলিয়া বিশ্বাস রিয়া আসিতেছে । তাহাদিগের বিশেষ অপরাধ নাই । অট্টালিকাটি এক্ষণে শাহ জালালের নিবাসস্থান বলিয়া শিত হইয়া থাকে, তাহার রচনাকাল ১৬৬৪ খৃষ্টাব্দ। শাহ রামতুল্লা নামক মোতওয়াল্লি কর্তৃক তাহ নিৰ্ম্মিত হইয়াল। কিন্তু প্রস্তরফলকে লিখিত আছে,–শাহ নিয়ামতুল্লা রাতন অট্টালিকার জীর্ণ সংস্কার সাধিত করিয়াছিলেন।+ হা সত্য হইলে, নিরক্ষর লোকের আর অপরাধ কি ? কিন্তু হার সহিত গোলাম হোসেন এবং ইলাছি বক্সের উক্তির মঞ্জস্ত রক্ষিত হয় না। শাহ নিয়ামতুল্লা কি নূতন অট্টাকি নিৰ্ম্মিত করিয়া, তাহাকে মিথ্যা করিয়া “জীর্ণসংস্কার” লিয়া প্রস্তর ফলকে লিখিয়া গিয়াছেন ? বর্তমান আটালিকা রাতন অটালিকা হইলে, গোলাম হোসেন ও ইলাচিবক্স মিথ্যা করিয়া পুরাতন অট্টালিকা লুপ্ত হইবার কথা থিয়া গিয়াছেন ? ইহা একটি ঐতিহাসিক কৌতুহলের iপার হইয়া রহিয়াছে! প্রকৃত ব্যাপার এই সকল তর্ক তর্কে আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছে। শাহ জালাল যথন পৌণ্ডমনে উপনীত হইয়াছিলেন, তখন কোন নির্দিষ্ট বাসস্থান গুমান ছিল না। তিনি সে কালের মুসলমান সাধুপুরুষের পরিচিত ব্যবহার অনুসারে কোনও ধ্বংসাবশিষ্ট পুরাতন ন্দরে আশ্রয় গ্রহণ করিয়! থাকিবেন। তাহাই সেকালে tহার আদিবাসস্থান বলিয়া পরিচিত ছিল। গোলাম ২াসেন তাহার কিছু কিছু চিহ্ল দর্শন করিয়াছিলেন, ইলাহিক্সের সময়ে তাহা সম্পূর্ণরূপে লুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। পরে iহ জালালের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠালাভ করিলে, সুলতান লি মবারক তাহার জন্য এক নুতন অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত রিয়া দিয়াছিলেন। শাহ নিয়ামতুল্লা তাহারই জীর্ণসংস্কার ধিত করিয়া থাকিবেন। “বড় দরগার” ইষ্টক প্রস্তরে দুও বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ লুক্কায়িত হইয়া রহিয়াছে।

  • It is now so destroyed that no trace of it reains.—Khursigljahannamah.

f This is the building of the holy Shah Jalal, the Sly Shah Niamutulla repaired it.—Translation of the scription. হজরত পাণ্ডুয়া । 444/ তাহার প্রতি লক্ষ্য করিলে, এই সিদ্ধান্তকেই প্রকৃত সিদ্ধান্ত বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। নচেৎ শাহ নিয়ামতুল্লা অথবা গোলাম হোসেন, এতদুভয়ের মধ্যে একজনকে না একজনকে মিথ্যাবাদী হইতে হয় ! এই সকল কারণে, শাহ জালালের “বড় দরগাকে” একটি পুরাতন হিন্দু বা বৌদ্ধ মন্দিরের অবস্থানভূমি বলিয়াই ব্যক্ত করিতে হয়। লক্ষণসেনী দালান । বড় দরগার অট্টালিকাদির মধ্যে একটি অট্টালিকা “লক্ষ্মণসেনী দালান” নামে পরিচিত। তাহা একটি সরোবরতীরে প্রতিষ্ঠিত । রাভেনশা ইহার উল্লেখ করেন নাই। কিন্তু ইলাহিবক্স ইহার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ইহা একটি পুরাতন অট্টালিকা। প্রস্তরফলকে দেখিতে পাওয়া যায়,— “বিকল রাজের পুত্র রামরাম কর্তৃক মহম্মদ আলি নামক অধ্যক্ষের আদেশে বাঙ্গালা ১১১৯ সালে এই পুরাতন অট্টালিকার জীর্ণসংস্কার স্বসম্পাদিত হইয়াছিল।” ইহা “লক্ষ্মণ-' সেনী দালান” নামে কথিত হইতেছে কেন, কেহ তাহার সন্ধান প্রদান করিতে পারে না । ইলাহিবক্সের সময়ে কেহ সেরূপ সন্ধান প্রদান করিলে, তাহা তিনি লিপিবদ্ধ করিতে ক্রট করিতেন না । বহুকাল পুৰ্ব্বে তাহার সমস্ত জনশ্রুতি বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, কেবল সেই পুরাতন নাম এখনও লোকসমাজ হইতে বিলুপ্ত হইতে পারে নাই। এই অট্টলিকা প্রকৃত প্রস্তাবে লক্ষ্মণসেনের অট্টালিকা হইলে, মুসলমানগণ ইহাকে না ভাঙ্গিয়া যত্নপূর্বক জীর্ণসংস্কার করিয়া রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়া আসিয়াছেন কেন, তাহাও অল্প কৌতূহলের বিষয় নহে। এই কৌতুহল এক্ষণে চরিতার্থ করিবার উপায় নাই। “লক্ষ্মণসেনী দালানের” প্রস্তরফলকে প্রসঙ্গক্রমে একটি ঐতিহাসিক তথ্য চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে। গৌড়ীয় অট্টালিকার গঠনপ্রতিভা কাহার গৌরব ঘোষণা করিতেছে, ইহাতে তাহার একটি আনুসঙ্গিক প্রমাণ ব্যক্ত হইয়া রহিয়াছে। যে সকল মুসলমান নরপতি এই প্রদেশে অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছেন, তাহদের জন্মভূমি কখনও অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণের জন্ত প্রসিদ্ধ ছিল না। র্তাহারা এদেশে আসিয়া বহুসংখ্যক দেবমন্দির দর্শন করিয়া মসজিদ নিৰ্ম্মাণের জন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠিলে, মন্দির ভাঙ্গিয়