পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ة بناه " حعه یع حتیو اخهها= পাইতেন এবং দেশের জনসাধারণের সঙ্গে কায়মনোবাক্যে যোগ দিয়া দেশের প্রাণকে দেশের শক্তিকে প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করিতেন তাহা হইলে কনগ্রেস সভার মঞ্চ জিতিয়া লইবার চেষ্টায় এমন উন্মত্ত হইয়া উঠিতেন না। কনগ্রেসে হার হইলেও দেশের মধ্যে হার হয় না ;—শনৈঃ শনৈঃ প্রত্যহ প্রত্যেকের অশান্ত চেষ্টায় দেশের হৃদয়ের মধ্য দিয়া পথ করিয়া চলিলে তবেই তাঁহাকে চলা বলে এবং সেই পথের চরম গম্য স্থান সভাপতির আসন নহে, এমন কি, ঐ মঞ্চটা তাহার পান্থশালাও নন্তে । আর যদিই মনে কর কনগ্রেসের কর্তৃত্বলাভ দেশহিতসাধনের একটা চরিতার্থতা তবে কি এতবড় একটা সম্পদকে এমন অধৈর্য্য ও প্রমত্ততার সহিত কড়াকড়ি করিতে হয় । ইহাতে যাহাকে চাই তাহাকেই কি অপমান করা হয় না ? কাজির বিচারের কথা মনে আছে ? দুই স্ত্রীলোক যখন একটি ছেলেকে নিজের ছেলে বলিয়া কাজির কাছে নালিশ করিয়াছিল তখন কাজি বলিয়াছিলেন ছেলেটাকে দুষ্টভাগে কাটিয়া দুষ্ট জনকে দেওয়া হউক। এই কথা শুনিয়া যথার্থ মা বলিয়া উঠিল ছেলে আমি চাই না অপরকেই দেওয়া হউক । যে যথার্থ মা সে ছেলেকে নষ্ট করার চেয়ে নিজের দখল ত্যাগ করা এবং মকদ্দমায় হারমানা অনায়াসে স্বীকার করে । এবারকার কাজির বিচারে কি দেখা গেল? দুষ্ট দিকেরই এই জিদ যে বরং কনগ্রেস ভাঙ্গিয়া যায় সেও ভাল তবু হার মানিব না। ইহাতে এই প্রমাণ হয় কোনো পন্থাই কন্‌গ্রেসকে তেমন সত্য ও তেমন বড় করিয়া মনে করেন না । ইহা যে একটা জীবধৰ্ম্মী পদার্থ, বিচ্ছিন্ন হইলে ইহার প্রাণহানি ও আঘাত লাগিলে ইহা দুৰ্ব্বল হয় তাহ কেহ নিজেব প্রাণের মধ্যে তেমন করিয়া অনুভব করেন না । তাহার কারণ কি এই নহে এই জিনিষটাকে বিশবৎসর তা’ দিয়াও ইহার মধ্যে প্রাণ পদার্থের পরিচয় পাওয়া যায় নাই ? সেই জন্তই ইহা আমাদের দেশকে ত্যাগে, ধৈৰ্য্যে দীক্ষিত করে নাই আমাদের পরে এই জন্তই কনগ্রেসের দাবী অত্যন্ত দুৰ্ব্বল—ইহা অতি অল্পও যেটুকু ভয়ে ভয়ে আমাদের কাছে চায় তাহাও পুরামাত্রায় পায় না। আমাদের অর্থসামর্থ্য অবসরের উদ্ধৃত্ত হইতে অতি অকিঞ্চিৎকর পরিমাণেই এই ASAAAAS AAAAASAAAeAAASAASAASAASAASAA AAAS ৭ম ভাগ ।[ تہہ تہ تم یہ-- কনগ্রেসের জন্ত রাখিয়া থাকি এবং র্যাহারা রাখেন সেই কয়জনের সংখ্যাও এই বিশাল ভারতের জনসংখ্যার মধ্যে অতি যৎসামান্ত । এই প্রসঙ্গে আমাদের নিবেদন এই যে, কনগ্রেসকে সত্য করিয়া তুলিতে গেলে তাহা কন্‌গ্রেসের মঞ্চে বসিয়াই করা যায় না। দেশের ভিতরে সত্য কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইলে, সমস্ত দেশের লোককে গ্রামে গ্রামে ধরে ঘরে গিয়া সত্যমন্ত্রে দীক্ষিত করিয়া তুলিলে তবেই সমস্ত দেশের যোগে ঐ কন্‌গ্রেস সত্য হইয়া উঠিবে—সেই দিকে চেষ্টা নিযুক্ত করিলে চেষ্টা সার্থক হইবে। বৃনুগ্রস-ক দিনে -দিনে বর্ষে বর্ষে দেশের ভিতর দিয়া সত্য ཧྲོས་ তুলিব এই চেষ্টাই কোনো এক পন্থার হউক। তাংকে এ বৎসর বা ও বৎসর কোনো রকমে দথল করিয়া বসিব এ চেষ্টা এমন মহৎ চেষ্টা নহে যাহার জন্ত দুই ভাইয়ে লড়াই করিয়া কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ডের অভিনয় করা যাইতে পারে । আমাদের পুরাণে একটি যজ্ঞভঙ্গের ইতিহাস আছে। দক্ষ যখন তাহার যজ্ঞে সতী অর্থাৎ সত্যকে অস্বীকার করিয়া মঙ্গলকে অপমানিত করিয়াছিলেন তখনই প্রচণ্ড উপদ্রব উপস্থিত হইয় তাহার যজ্ঞ বিনষ্ট হইয়াছিল। দক্ষ কেবল নিজের দক্ষতার প্রতি অন্ধ অভিমান বশত জগতে যে যুগে এবং যে ক্ষেত্রেই সত্যকে এবং শিবকে স্বীকার করা অনাবশ্যক মনে করিয়াছে সেইকালে এবং সেইখানেই কেবল যে কৰ্ম্ম পণ্ড হইয়াছে তাহা নহে মহান অনর্থ ঘটিয়াছে ! ক্ষমতাশালীর জিদ সত্যকে ক্ষণকালের জন্ত নিৰ্জ্জীব করিয়া ফেলিতেও পারে কিন্তু রুদ্রকে কখনই ঠেকাইতে পারে না—একথা ইংরেজ তুলিয়াছে বলিয়া আমরা অভিযোগ আনিয়াছি কিন্তু আমরা নিজেও যদি ভুলি—বল ও কলকোশলকেই অবলম্বন জ্ঞান করিয়া সত্য ও শিবকে যদি অবমানিত করি তবে প্ৰলয়কে জাগ্ৰত করিয়া তুলিব তাহাতে সন্দেহমাত্র নাই। সত্যকে যদি আমরা রক্ষা করি ও মঙ্গলকে বিশ্বাস করি তবে ধৈর্য্য, শান্তি ও উদারতা আমাদের পক্ষে সহজ হইবে, তবে বিলম্বে অসহিষ্ণু, পীড়নে ভাত ও পরাজয়ে হতাশ্বাস হইব না, বুদ্ধির পার্থক্য ও মতের অনৈক্যকে সহ করিব এবং স্বাধীনতা বা স্বরাজের যথার্থই অধিকার লাভ করিতে পারিব। শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।